somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নিজেদের সংস্কৃতির প্রতি এতোটা নাক সিটকানো মনোভাব দুনিয়াতে আর কোন জাতির আছে?

১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



দুনিয়াতে এতো এতো জাতি আছে তার মধ্যে এক বাঙ্গালি মুসলমান ছাড়া আর কোন জাতি আছে কিনা আমার জানা নেই যাদের নিজেদের সংস্কৃতির প্রতি এতোটা ঘৃণা আর অবজ্ঞা রয়ে গেছে। প্রত্যেকটা জাতির নিজেদের দেশের জন্য নববর্ষ উৎসব আছে, যেটা তারা তাদের প্রতি বছর পালন করে থাকে। আমাদের এতো সমৃদ্ধ একটা সংস্কৃতি আছে আমাদের একটা সমৃদ্ধ নববর্ষ উৎসব আছে অথচ সেই আমাদেরই বিশাল এক জনগোষ্ঠী এটাকে মানতে চায় না। স্রেফ ধর্মের অজুহাতে। অথচ মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের অনেক মুসলিম দেশই আছে যাদের নিজস্ব সংস্কৃতির সাথে তাল রেখে নিজেদের নববর্ষ উৎসব আছে এবং সেটা তারা প্রতি বছরই পালন করে থাকে। সেটা নিয়ে তাদের কোনও সমস্যা হয়না।

সমস্যা হয় শুধু আমাদের।

ক্রমেই প্রচণ্ড রকমের ধর্মান্ধ হয়ে উঠতে থাকা এক জাতি নিজেদের নিয়ে এতোটাই হীনমন্য হয়ে উঠতে শুরু করেছে যে আজ নিজেদের আবহমান সংস্কৃতি পর্যন্ত তারা বাদ দিয়ে দিতে চাইছে, অস্বীকার করতে চাইছে।

এগুলো নাকি শিরক। এগুলা নাকি ইসলামবিরোধী।
আচ্ছা তাহলে আমাকে বলেন তো, এগুলা শিরক কিভাবে হয়?
ইসলামে শিরকের কথা বলা আছে। একটা কাজ তখনই শিরক হবে যখন আপনি আল্লাহর সাথে কাউকে ইলাহ বলে মেনে নিবেন। অথচ, এখানে সেরকম কোনও ব্যাপারই নেই। আপনি নিজেদের প্রথম বছরের প্রথম দিনটিকে উদযাপন করতে যাচ্ছেন। এর ভেতরে তো কাউকে আল্লাহর সাথে তুলনা করা হচ্ছে না বা কাউকে তার সমকক্ষ ভাবা হচ্ছে না। তাহলে এটা কিকরে শিরক হয়?
ওয়েল, ধরে নিলাম যে এটা শিরক। তাহলে কি এরা বলবেন যে ইন্দোনেশিয়া, ইরান, কাজাকিস্তান, উজবেকিস্তান, আলবেনিয়া এরাও তাহলে শিরক করছেন। এদের মতো প্রমিনেন্ট মুসলিম দেশ তারাও তো নিজেদের ধর্ম আর নিজেদের জাতীয় সংস্কৃতি একই সাথে পালন করে বেড়াচ্ছেন। তাদের তো কখনোই এসব নিয়ে নিজেদের সাথে নিজেদের দ্বন্দ্ব দেখা যায়না।
তাহলে আমাদের কেন এ সমস্যা?
একটা উত্তর হতে পারে যে আমরা আসলে অত্যন্ত হীনমন্য একটা জাতি।
ধর্মের খাতিরে নিজেদের সংস্কৃতিকে বিসর্জন দিয়ে ক্রমেই “হটেনটট” হয়ে ওঠা একটা জাতি। বহু বছর আগে প্রখ্যাত লেখক সৈয়দ মুজতবা আলী আমাদের এহেন নানা কীর্তির সমালোচনা করতে গিয়ে শব্দটা ব্যবহার করেছিলেন। এখন দেখছি তিনি ভুল বলেন নি।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০২
৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

একাত্তরের এই দিনে

লিখেছেন প্রামানিক, ০১ লা মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৬


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

আজ মে মাসের এক তারিখ অর্থাৎ মে দিবস। ১৯৭১ সালের মে মাসের এই দিনটির কথা মনে পড়লে এখনো গা শিউরে উঠে। এই দিনে আমার গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসলামের বিধান হতে হলে কোন কথা হাদিসে থাকতেই হবে এটা জরুরী না

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ১০:৫৫



সূরাঃ ৫ মায়িদাহ, ৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩। তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে মৃত, রক্ত, শূকরমাংস, আল্লাহ ব্যতীত অপরের নামে যবেহকৃত পশু, আর শ্বাসরোধে মৃত জন্তু, প্রহারে মৃত... ...বাকিটুকু পড়ুন

লবণ্যময়ী হাসি দিয়ে ভাইরাল হওয়া পিয়া জান্নাতুল কে নিয়ে কিছু কথা

লিখেছেন সম্রাট সাদ্দাম, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১:৫৪

ব্যারিস্টার সুমনের পেছনে দাঁড়িয়ে কয়েকদিন আগে মুচকি হাসি দিয়ে রাতারাতি ভাইরাল হয়েছিল শোবিজ অঙ্গনে আলোচিত মুখ পিয়া জান্নাতুল। যিনি একাধারে একজন আইনজীবি, অভিনেত্রী, মডেল ও একজন মা।



মুচকি হাসি ভাইরাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবন চলবেই ... কারো জন্য থেমে থাকবে না

লিখেছেন অপু তানভীর, ০২ রা মে, ২০২৪ সকাল ১০:০৪



নাইমদের বাসার ঠিক সামনেই ছিল দোকানটা । দোকানের মাথার উপরে একটা সাইনবোর্ডে লেখা থাকতও ওয়ান টু নাইন্টি নাইন সপ ! তবে মূলত সেটা ছিল একটা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। প্রায়ই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×