ইঁদুর খাচ্ছে ধান, ইঁদুরকে খাচ্ছে সাপ, সাপকে খাচ্ছে ময়ূর, মারছে বেজি, বেজিকে শেষ করে দিচ্ছে ঈগল। ঘাস পাতা খাচ্ছে খরগোশ, তাদের খাচ্ছে চিতা বাঘ। বাঘ-সিংহ'র মারা পশুর অবশিষ্টাংশ খাচ্ছে শকুন, হায়েনা সহ নানা রকম পাখি। পশুর জন্মের মধ্যে যেমন আনন্দের কিছু নেই, মৃতুর মধ্যেও বিশেষ দুঃখের কিছু নেই।
পৃথিবীর ঋণ আপনি কতটা শোধ করেছেন? এই পৃথিবীর কাছে প্রত্যেকটা মানুষই নানা ভাবে ঋণী। যে যেমনই হোক, যত বড় বা ছোট, তার উচিত সেই ঋণ একটু করে শোধ করা। রোজ শোধ করা। যে-মানুষ পৃথিবীর ঋণ শোধ করে না, কিন্তু সুখ ভোগ করে, ঐশ্বর্য সঞ্চয় করে- সে একজন লুটেরা। আর যাই করো, শুধু নিজেকে নিয়ে থেকো না মানুষ। মানুষ চোখ দিয়ে দেখে, বুদ্ধি দিয়ে বিচার করে। কিন্তু চোখ আর বুদ্ধিই তো সব নয়। অনুভব করতে হয়। ভাবতে হয়। বিশ্বজগতের সঙ্গে নিজেকে একাকার করে দিতে হয়।
ছোট ছোট বাচ্চাদের সাথে তাদের খেলনা দিয়ে খেলতে আমার অনেক ভালো লাগে। ব্যাটারি চালিত ভিডিও গেমস, রিমোট চালিত গাড়ি অথবা হেলিকাপটার- বাচ্চাদের সাথে খেলায় মেতে উঠি। তাতে আমার মাথার ভার কমে যায়, মন হালকা হয়। শৈশবের পৃথিবীটা অনেক সুন্দর। বড় হয়ে গেলেই পৃথিবীটা বিচ্ছিরি হয়ে যায়। শিশুদের জগতকে স্পর্শ করার জন্য সবচে আগে যেটা প্রয়োজন সেটা হচ্ছে একটি শিশুসুলভ সুন্দর মন।
যদি জীবন বিমুখ হয়ে একটা কোটরের মধ্যে নিজেকে ভরে রাখতে পারো, তাহলে তুমি তোমার মতো শান্তি পেয়ে যাবে। আর যদি খোলা জীবনের মধ্যে এসে দাঁড়াতে চাও তাহলে সংঘর্ষ হবেই। পৃথিবীর কিছু মানুষ কেন এত খারাপ? কেন এত নিষ্ঠুর? কেন চারিদিকে সব সময় এত বিপদ-আপদ? এত সব ঝামেলা আর গন্ডগোলের মধ্যে কী করে বেঁচে থাকবে আগামী প্রজন্ম? মুশকিল হলো- এদেশে বাস করে কয়েক কোটি ভেড়া আর কয়েকটা বাঘ। এক লক্ষ ভেড়াও একটা বাঘ দেখলে পালায়। আমি কিন্তু ভেড়া নই। কত ছেলে দুনিয়া জুড়ে কত কী করছে! তের বছরের ছেলে প্লেন চালাচ্ছে, সতের বছরের ছেলে রাইফেল কাঁধে যুদ্ধে যাচ্ছে, কেউ আটলান্টিক পেরোচ্ছে নৌকায়। আমি না হয়- কয়েকটা বদমাশকে শায়েস্তা করবো।
কবি জীবনান্দ দাশের মত হলো- সকলেই কবি নয়, কেউ কেউ কবি।
কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর মত হলো- সকলেই কবি, কেউ কেউ নয়।
কবিতা অনেকেই লিখেন, কিন্তু শিল্পের বিচারে সব কবিতা উর্ত্তীণ হয় না। সে কারণে অবশ্য কবিতা লিখলেও সকলেই কবি নন। সে যাই হোক, কিছু কবিতাপ্রেমী মানুষ আছে যারা কবিতা লিখেন, কবিতা পড়েন, কবিতা ভাবেন। বাংলা কবিতার শুরু যে কবিতা, সেই চর্যা পদের কবিতা গুলো সুর করে গাওয়া হতো। বৌদ্ধ সহজিয়া সাধকেরা গাইতেন। কবিতা ও গানের সম্পর্ক তাই যমজের মতো।
হিটলারকে হত্যা করার পরিকল্পনা করে ছিলো স্টাউন ফেনর্বগ। এক সম্মেলনর সময় গোপনে 'স্টাউন ফেনর্বগ' হিটলারের টেবিলের নীচে রেখেছিল টাইম বোমা। সেই বোমার বিস্ফোরনে সম্মেলনে কক্ষের অনেকের মৃত্যু হলেও হিটলার অলৌকিক ভাবে বেঁচে যায়। এ ঘটনায় দোষী চিহ্নিত করে হিটলার ৫ হাজার লোককে ফাঁসি দিয়েছিলেন। হিটলারের ছিল প্রচন্ড রকমের ইহুদি বিদ্বেষ। তিনি একথা বিশ্বাস করতেন, পৃথিবীর সব অশুভ ঘটনার জন্য একমাত্র দায়ী হচ্ছে ইহুদিরা। হিটলার অসংখ্য বার বলেছেন, ইহুদি জাত হলো ছার পোকা আর ইদুরের মতো প্রানী। তারা ইতর শ্রেনীর।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১২:২৬