somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

কুশন
আলো –অন্ধকারে যাই- মাথার ভিতরে স্বপ্ন নয়,- কোন এক বোধ কাজ করে! স্বপ্ন নয়- শান্তি নয়-ভালোবাসা নয়, হৃদয়ের মাঝে এক বোধ জন্ম লয়! আমি তারে পারি না এড়াতে, সে আমার হাত রাখে হাতে; সব কাজ তুচ্ছ হয়,-পণ্ড মনে হয়। -জীবনানন্দ দাশ

রেইন লিলি

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১২:২৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



ইঁদুর খাচ্ছে ধান, ইঁদুরকে খাচ্ছে সাপ, সাপকে খাচ্ছে ময়ূর, মারছে বেজি, বেজিকে শেষ করে দিচ্ছে ঈগল। ঘাস পাতা খাচ্ছে খরগোশ, তাদের খাচ্ছে চিতা বাঘ। বাঘ-সিংহ'র মারা পশুর অবশিষ্টাংশ খাচ্ছে শকুন, হায়েনা সহ নানা রকম পাখি। পশুর জন্মের মধ্যে যেমন আনন্দের কিছু নেই, মৃতুর মধ্যেও বিশেষ দুঃখের কিছু নেই।

পৃথিবীর ঋণ আপনি কতটা শোধ করেছেন? এই পৃথিবীর কাছে প্রত্যেকটা মানুষই নানা ভাবে ঋণী। যে যেমনই হোক, যত বড় বা ছোট, তার উচিত সেই ঋণ একটু করে শোধ করা। রোজ শোধ করা। যে-মানুষ পৃথিবীর ঋণ শোধ করে না, কিন্তু সুখ ভোগ করে, ঐশ্বর্য সঞ্চয় করে- সে একজন লুটেরা। আর যাই করো, শুধু নিজেকে নিয়ে থেকো না মানুষ। মানুষ চোখ দিয়ে দেখে, বুদ্ধি দিয়ে বিচার করে। কিন্তু চোখ আর বুদ্ধিই তো সব নয়। অনুভব করতে হয়। ভাবতে হয়। বিশ্বজগতের সঙ্গে নিজেকে একাকার করে দিতে হয়।

ছোট ছোট বাচ্চাদের সাথে তাদের খেলনা দিয়ে খেলতে আমার অনেক ভালো লাগে। ব্যাটারি চালিত ভিডিও গেমস, রিমোট চালিত গাড়ি অথবা হেলিকাপটার- বাচ্চাদের সাথে খেলায় মেতে উঠি। তাতে আমার মাথার ভার কমে যায়, মন হালকা হয়। শৈশবের পৃথিবীটা অনেক সুন্দর। বড় হয়ে গেলেই পৃথিবীটা বিচ্ছিরি হয়ে যায়। শিশুদের জগতকে স্পর্শ করার জন্য সবচে আগে যেটা প্রয়োজন সেটা হচ্ছে একটি শিশুসুলভ সুন্দর মন।

যদি জীবন বিমুখ হয়ে একটা কোটরের মধ্যে নিজেকে ভরে রাখতে পারো, তাহলে তুমি তোমার মতো শান্তি পেয়ে যাবে। আর যদি খোলা জীবনের মধ্যে এসে দাঁড়াতে চাও তাহলে সংঘর্ষ হবেই। পৃথিবীর কিছু মানুষ কেন এত খারাপ? কেন এত নিষ্ঠুর? কেন চারিদিকে সব সময় এত বিপদ-আপদ? এত সব ঝামেলা আর গন্ডগোলের মধ্যে কী করে বেঁচে থাকবে আগামী প্রজন্ম? মুশকিল হলো- এদেশে বাস করে কয়েক কোটি ভেড়া আর কয়েকটা বাঘ। এক লক্ষ ভেড়াও একটা বাঘ দেখলে পালায়। আমি কিন্তু ভেড়া নই। কত ছেলে দুনিয়া জুড়ে কত কী করছে! তের বছরের ছেলে প্লেন চালাচ্ছে, সতের বছরের ছেলে রাইফেল কাঁধে যুদ্ধে যাচ্ছে, কেউ আটলান্টিক পেরোচ্ছে নৌকায়। আমি না হয়- কয়েকটা বদমাশকে শায়েস্তা করবো।

কবি জীবনান্দ দাশের মত হলো- সকলেই কবি নয়, কেউ কেউ কবি।
কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর মত হলো- সকলেই কবি, কেউ কেউ নয়।
কবিতা অনেকেই লিখেন, কিন্তু শিল্পের বিচারে সব কবিতা উর্ত্তীণ হয় না। সে কারণে অবশ্য কবিতা লিখলেও সকলেই কবি নন। সে যাই হোক, কিছু কবিতাপ্রেমী মানুষ আছে যারা কবিতা লিখেন, কবিতা পড়েন, কবিতা ভাবেন। বাংলা কবিতার শুরু যে কবিতা, সেই চর্যা পদের কবিতা গুলো সুর করে গাওয়া হতো। বৌদ্ধ সহজিয়া সাধকেরা গাইতেন। কবিতা ও গানের সম্পর্ক তাই যমজের মতো।

হিটলারকে হত্যা করার পরিকল্পনা করে ছিলো স্টাউন ফেনর্বগ। এক সম্মেলনর সময় গোপনে 'স্টাউন ফেনর্বগ' হিটলারের টেবিলের নীচে রেখেছিল টাইম বোমা। সেই বোমার বিস্ফোরনে সম্মেলনে কক্ষের অনেকের মৃত্যু হলেও হিটলার অলৌকিক ভাবে বেঁচে যায়। এ ঘটনায় দোষী চিহ্নিত করে হিটলার ৫ হাজার লোককে ফাঁসি দিয়েছিলেন। হিটলারের ছিল প্রচন্ড রকমের ইহুদি বিদ্বেষ। তিনি একথা বিশ্বাস করতেন, পৃথিবীর সব অশুভ ঘটনার জন্য একমাত্র দায়ী হচ্ছে ইহুদিরা। হিটলার অসংখ্য বার বলেছেন, ইহুদি জাত হলো ছার পোকা আর ইদুরের মতো প্রানী। তারা ইতর শ্রেনীর।

সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১২:২৬
৬টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×