বিএনপির নেতাদের সাথে গণপরিষদের নেতাদের ঘন ঘন সাক্ষাতের বিষয়টি মিডিয়াতে প্রচারিত হচ্ছে।বিষয়টি প্রথম আলোচনায় আসে যখন বিএনপি হাই কমান্ড থেকে পটুয়াখালী -৩(দশমিনা-গলাচিপা) আসনের নেতাকর্মীদের কাছে চিঠি দেয়া হয় ( হাইস্যকর) যাতে ভিপি নুর সুন্দরভাবে সমাবেশ সম্পন্ন করতে পারে।
পটুয়াখালী -৩ আসন থেকে ভিপি নুর নির্বাচন করার কথা রয়েছে। বিএনপির হয়ে ২০১৮ সালে ঐ আসনে নির্বাচন করেছিলেন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, সোশ্যাল ইনফ্লুয়েঞ্জা গোলাম মাওলা রনি । ভিপি নুর কে বিএনপির হাই কমান্ড থেকে সহযোগিতার করার নির্দেশে রনি কাগু মনে মনে বেজার হয়েছেন।সাথে সাথে তিনি বিএনপির সমালোচনা করে দুইটি ভিডিও বানিয়ে ইউটিউবে ছেড়েছেন। রনির আশংকা ভবিষ্যতে ভিপি নুর কে বিএনপি পটুয়াখালী -৩ আসন থেকে মনোনয়ন দিতে পারে। ভিপি নুর অবশ্য বলেছেন তিনি সমাবেশ করতে গেলেই নাকি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় তাই বিএনপি বড়ো দল হিসাবে তাকে সাহায্য করলে সুষ্ঠু ভাবে সমাবেশ করতে পারবেন।
২০২১ সালে লকডাউনের শেষ দিকে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় আসে ২০১৮ সালের কোটা আন্দোলনের নেতা ভিপি নুর রাজনৈতিক দল গঠন করবে।দল গঠনের জন্য ফান্ডিং করবেন প্রবাসী জামায়াত নেতারা। দলে ইসলামী ছাত্র শিবির-ছাত্রদলের পদ বঞ্চিত কর্মীরা সদস্য হবে।গণপরিষদের নেতারা অবশ্য বারবার বলেছেন তাদের সাথে বিএনপি নেতা তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে।
৷ স্বৈরাচার আওয়ামী সরকারের পতনের উদ্দেশ্যে ২০২২ সালে বিএনপি -গণপরিষদ- গণতন্ত্র মঞ্চ সহ ৩১ টি দল জোট বাধে। বিএনপির সাথে জোট বাধা দল গুলোর সাম্প্রতিক সময়ে ধারাবাহিক মিটিং হচ্ছে। তার অংশ হিসাবে গণপরিষদের সাথে বিএনপির লিঁয়াজো কমিটির মিটিং হয়েছে বলে গণপরিষদের নেতারা জানান। গণপরিষদের নেতা ভিপি নুর বলেন একক ভাবে গণপরিষদ ৩০০ আসনে প্রার্থী দিবে।
৷ রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা গণপরিষদের সাথে বিএনপির সখ্যতা কে ভিন্ন ভাবে দেখছেন। ভিপি নুর ২০১৮ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত যারা কোটা আন্দোলনে যুক্ত ছিলেন তাদের লিডার বা তাত্ত্বিক গুরু হিসাবে পরিচিত। এবারের কোটা আন্দোলনের অধিকাংশ সমন্বয়ক বিভিন্ন অরাজনৈতিক ব্যানারে আন্দোলন করলেও তাদের বেশিরভাগ কোনো একটি ইসলামিক রাজনৈতিক দলের ছাত্রশাখার সদস্য। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভবিষ্যতে ছাত্রদলের পক্ষে পুরো নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিএনপির হাই কমান্ড সন্দিহান। অরাজনৈতিক ব্যানারে থাকা রাজনৈতিক দলের ছাত্রশাখার সদস্যরা পুরো ক্যাম্পাসে তাদের প্রভাব ধরে রেখেছে।ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করায় ছাত্রদলের প্রকাশ্যে রাজনীতি করাও কঠিন হয়ে পড়েছে।বিএনপি যদি ভিপি নুর কে সমর্থন দেয় এবং নুর বিজয়ী হয় তবে নুরের কানেকশন কাজে লাগিয়ে ছাত্রদলের প্রভাব ক্যাম্পাসে বাড়ানো যায় কিনা বিএনপির হাই কমান্ডে এমনটাই আলোচনা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যেহেতু সকল আন্দোলন সংগ্রামে নেতৃত্বদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসাবে পরিচিত তাই ঢাবি ছাত্রদলের নিয়ন্ত্রণে আসা জরুরী। ভবিষ্যতে কি ঘটে তা জানার জন্য আমাদেরকে নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।