
আজ খ্রিষ্টীয় নববর্ষের প্রথম দিন। গতকাল খুবই উৎসব মুখর পরিবেশে ২০২৪ সালের শেষ দিনকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছর কে স্বাগত জানানো হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষের জাতীয় ও রাজনৈতিক জীবনে ২০২৪ সালের মতো অস্থির সময় খুব একটা পরিলক্ষিত হয় নি। তবে ২০২৫ সালে আমরা এক নতুন প্রজন্ম পেতে যাচ্ছি যারা বাংলাদেশে এক ধরণের ভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক বাস্তবতায় বেড়ে উঠবে। আমাদের দেশের বিভিন্ন প্রজন্ম বিভিন্ন ধরণের আন্দোলন সংগ্রাম দেখেছে, অংশ নিয়েছে। তবে বিগত এক যুগের বেশি সময় ধরে চলতে থাকা স্বৈরশাসনের সময়ে যারা জন্ম নিয়েছিল (আলফা জেনারেশন) তাদের জন্য সময়টি খুব অস্বাভাবিক ছিলো। শেষ পর্যন্ত তাদের কে সেই অস্বাভাবিক অবস্থা থেকে মুক্ত করেছে বাংলাদেশের অন্য এক প্রজন্ম যাদের বলা হয় জেনারেশন জেড। জেনারেশন জেড শুধু তার পরবর্তী জেনারেশন আলফার জন্য নতুন পরিবেশ সৃষ্টি করেনি বরং আলফা জেনারেশনের পরবর্তী জেনারেশন গুলো তার সুফল ভোগ করতে যাচ্ছে। অর্থাৎ জেনারেশন জেডের কাছে তার পরবর্তী সকল জেনারেশন কোন না কোন ভাবে ঋণী থাকবে।
২০২৫ সালের পহেলা জানুয়ারী যারা পৃথিবীতে ভূমিষ্ঠ হবে তারা হবেন ' জেনারেশন বিটা ' প্রজন্ম। এই প্রজন্মকে প্রযুক্তিগত ও রাজনৈতিক বিভিন্ন পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যেতে হবে। বাংলাদেশ সহ বিভিন্ন দেশে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত ও সামাজিক বন্দোবস্ত চালু হবে যা জেনারেশন বিটার বেড়ে ওঠায় প্রভাব বিস্তার করবে। আলফা জেনারেশন বাংলাদেশে প্রযুক্তির আধুনিকতার ছোয়া স্পর্শ করেও রাজনৈতিক কারণে সুন্দর ভাবে বেড়ে উঠতে পারে নাই আশা করি জেনারেশন বিটার ক্ষেত্রে এমনটি ঘটবে না। জেনারেশন বিটা প্রযুক্তির সর্বোচ্চ আধুনিক রূপের সংস্পর্শে আসার পাশাপাশি একটি সুন্দর সামাজিক ও রাজনৈতিক মিথস্ক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যাবেন সেই প্রত্যাশা রাখি। বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ মূলত আলফা ও বিটা জেনারেশনের উপর নির্ভরশীল। তার জন্য একটি স্থিতিশীল পরিবেশ থাকা জরুরি। সকলের উচিত তাদের জন্য এই সুন্দর পরিবেশের ব্যবস্থা করে দিতে সহায়তা করা। প্রতিহিংসা ও হানাহানি নয় বরং সকলের মধ্যে পরমতসসহিষ্ণুতা থাকলেই কেবল তা সম্ভব হবে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।

