

" আমরা পুরোপুরি সরকারের পাশে রয়েছি। আমরা চেষ্টা করব প্রধান উপদেষ্টা যেভাবেই আমার বা আমাদের সাহায্য চাইবেন, আমরা সেভাবেই উনাকে সহযোগিতা করব- সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার–উজ–জামান। "
'' পেছনে থেকে মানে আমরা অন্তর্বর্তী সরকারকে সহায়তা করছি। তারা আমাদের কাছ থেকে যে ধরনের সহায়তা চাইছে, সেভাবেই সহায়তা দিচ্ছি এবং দেব। যে দিন অন্তর্বর্তী সরকার বলবে, ‘আপনাদের অনেক ধন্যবাদ, আপনারা আপনাদের কাজটা সম্পন্ন করেছেন, এখন পুলিশ আইনশৃঙ্খলার দায়িত্ব নেবে।’ আমরা তখন সানন্দে সেনানিবাসে ফিরে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান.।
''জেনারেল ওয়াকার: আমরা পুরোপুরি সরকারের পাশে রয়েছি। আমরা চেষ্টা করব প্রধান উপদেষ্টা যেভাবেই আমার বা আমাদের সাহায্য চাইবেন, আমরা সেভাবেই উনাকে সহযোগিতা করব। এটাতে যদি আমাদের অসুবিধা হয়, সৈনিকদের যদি সাময়িক অসুবিধাও হয়, তারপরও সরকারকে সহযোগিতা করে যাব। দেশ ও জাতির স্বার্থেই আমরা এটা করব। এই জাতির জন্য, দেশের জন্য ও দেশের মানুষের স্বার্থে যেকোনো ত্যাগ স্বীকার করতে আমরা তৈরি আছি। "
উপরে কিছু খন্ডিত বাক্যাংশের উল্লখ করা হয়েছে। উপরের কথা অনুযায়ী সেনাবাহিনী রাষ্টের সংস্কার কার্যক্রমে ড. ইউনূসকে স্বতন্ত্রভাবে সাহায্য করছেন। কিন্তু বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী কি সেনাবাহিনী সরকার কে সহযোগিতা করতে বাধ্য নয় ? এই যে সেনাবাহিনী ড. ইউনূস সরকারকে একক ভাবে সহায়তা করছে সেটা কি নিজেদের সর্বোচ্চ ক্ষমতার কেন্দ্র থেকে করেছে নাকি প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসাবে বাধ্য হয়ে করেছে তা সঠিক ভাবে জানা প্রয়োজন।
আমাদের সেনাবাহিনী মূলত বিদেশি শক্তির আজ্ঞাবহ দায়িত্ব করছে। এই যে সেনাবাহিনী নিয়ে বাংলাদেশের মানুষের এত আবেগ সেই সেনাবাহিনী কিন্তু ২০১৪ ও ২০১৮ সালে সাধারণ মানুষের পক্ষ না নিয়ে তৎকালীন সরকারের পক্ষ নিয়েছিলো। এবার কি এমন ঘটনা ঘটলো যে ২০২৪ সালে সেনাবাহিনী শেখ হাসিনা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলো? সেনাবাহিনীর প্রধান ঘন ঘন মিডিয়াতে কথা বলেছেন। তিনি এখন নিজেকে সুপ্রীম পাওয়ার ভাবতে শুরু করেছেন কিনা তা নিয়ে যথেস্ট আলোচনা ও সমালোচনা হচ্ছে ফেবু পাড়ায়। একজন সরকারি কর্মচারী হিসাবে সেনাবাহিনী ড.ইউনূস সরকারের যে কোন আদেশ মানতে বাধ্য।
জেনারেল ওয়াকার নিজেকে মিশরের সিসি অথবা পাকিস্তানের জিয়াউল হকের মতো মনে করছে নাকি ? তিনি তার বক্তব্যে যে ভাবে বারবার বলে যাচ্ছেন যে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে সরকারের প্রতি সহযোগিতা করার আশ্বাস দেয়া হচ্ছে তাতে যে দেশের চুড়ান্ত ক্ষমতার নাটাই সেনাবাহিনীর হাতে রয়েছে তা ক্রমেই প্রকাশ পাচ্ছে।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১:২৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



