

দেশের রাজনীতিতে পুরাতন ও নতুন কাউয়ারা কা কা করছে। এতে জনগুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলো বারবার ঢাকা পড়ে যাচ্ছে। জনগণ যে সব বিষয় নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কথা সচতুর ভাবে তা ঢেকে দেওয়ার জন্য নতুন দৃশ্য সামনে আনা হচ্ছে। অথচ জুলাই অভ্যুত্থানের পর নিরাপত্তা ইস্যু নিয়ে কাউকে তেমন সরব দেখি না। প্রিন্ট মিডিয়ায় হোম এডভাইজারের " দেশ এখন আল্লায় চালাচ্ছেন " শুনে স্বস্তির নিশ্বাস ফেললে বোকামী হবে। কারণ এখন পর্যন্ত পুলিশ থানা ও ফাঁড়ি হতে লুট যাওয়া দেড় হাজার অস্ত্র এখনো উদ্ধার করা যায় নি। গোলাবারুদ উদ্ধার হয়নি ২ লাখ রাউন্ডের বেশি। পুলিশ সদর দপ্তর জানিয়েছে, লুট হওয়া অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে, এসএমজি, এলএমজি, বিভিন্ন ধরনের রাইফেল, পিস্তল, শটগান, গ্যাসগান। এ ছাড়াও রয়েছে কাঁদানে গ্যাস লঞ্চার, কাঁদানে গ্যাসের শেল, কাঁদানে গ্যাসের স্প্রে, সাউন্ড গ্রেনেডসহ বিভিন্ন অস্ত্র লুট হয়েছে।
এদিকে, গণভবনের দায়িত্বে থাকা এসএসএফ সদস্যদের বিশেষায়িত অস্ত্র ও বিভিন্ন সরঞ্জামাদি এখনো উদ্ধার হয়নি। শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পরপরই বিক্ষুব্ধ জনতা গণভবনে ঢুকে লুট করে। এসবের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ট্যাক্টিক্যাল গিয়ার, অস্ত্র, গোলাবারুদ, সাজসরঞ্জাম, বেতার যোগাযোগ ও অপারেশনাল সরঞ্জামাদির মজুত ছিল। এ ছাড়া জাতীয় সংসদ ভবনেও এসএসএফের অস্ত্র গোলাবারুদ মজুত ছিল। ৫ই আগস্ট জনতা গণভবন ও জাতীয় সংসদ ভবনে প্রবেশ করার পর ঐসব অস্ত্র লুট হয়ে যায়। লুট হওয়া অস্ত্রের মধ্যে অত্যাধুনিক অ্যাসল্ট রাইফেল, স্নাইপার রাইফেল, ফ্ল্যাশব্যাং গ্রেনেড, অ্যান্টি-ড্রোন সিস্টেম, বেতার যোগাযোগের ডিভাইস ও বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদসহ ৩২টি ভারী অস্ত্র এখনো উদ্ধার হয়নি।
এছাড়া জুলাই অভ্যুত্থানের সময় ২০০০ এর বেশি আসামি লোক থানা থেকে পালিয়েছিলো। তাদের মধ্যে ৭০০ জন এখনো গ্রেফতার হয়নি। উপরের মহলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শীর্ষ ১৪৩ জন সন্ত্রাসী ছাড়া পায় যা ব্যাপক আলোড়িত হয়েছে। এসব অপরাধীর মধ্যে কিশোর গ্যাং, চরমপন্থী ও মাদক চোরাকারবারি আছে। এরা সমাজে মুক্ত ভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে অন্যদিকে সব অস্ত্র পুলিশ যে উদ্ধার করবে সেই বুদ্ধি ও ক্রিয়েটিভি নাকি পুলিশের নাই। পুলিশের ক্রিয়েটিভিটি ছিলো হাসিনার আমলে বিরোধী দল দমনে। নানা ফন্দি ফিকির করে মানুষকে হয়রানি করতো সেই পুলিশের নাকি এখন বুদ্ধি কমে গেছে।
দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কিছুই নিয়ন্ত্রণে নেই। কিন্তু আমাদের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেছেন সব কিছু আল্লাহ ঠিক ঠাক চালাচ্ছেন। গতকাল দেখলাম গণপরিষদের এক নেতার উপর জুলাই অভ্যুত্থানের আহতরা হামলা করেছে। এখন কে কাকে কিসের জন্য টার্গেট করেছে তা বোঝা অসম্ভব।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কবে পূর্ণ শক্তি দিয়ে হারানো অস্ত্র ও শীর্ষ সন্ত্রাসীদের ধরবে? এসব শীর্ষ সন্ত্রাসীরা এখন সমাজের বিভিন্ন জায়গায় নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করছে। তাদের হাতে লুটের অস্ত্র গিয়ে থাকলে ভবিষ্যতের রাজনীতি সংঘাতময় হয়ে উঠবে।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ২:৩৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



