
আজকাল নিউজ পেপার ও প্রিন্ট মিডিয়া খুঁটিয়ে পড়া বাদ দিয়েছি । সংবাদ মাধ্যম গুলো সঠিক নিউজ প্রচার করছে বলে মনে হচ্ছে না। যাই হোক সমস্যা নাই সেটা নিয়ে যেটা নিয়ে সমস্যা হতে যাচ্ছে ভবিষ্যতে তা হলো বর্তমান সরকারের কিছু হঠকারী সিদ্ধান্ত নিউজ মিডিয়া ঠিকই প্রচার করে বেড়াচ্ছে। এখানে ভাগ্যিস সেন্সরশীপ দেয় নি বলে জানার সুযোগ হয়েছে বিষয়গুলো নিয়ে। বর্তমান সরকার ৫ মাস হয়েছে ক্ষমতায় এসেছে। নানারকম স্ট্রাগল করে যখন সব কিছু স্থিতিশীল হওয়ার পথে তখন মাথায় ভূত চেপেছে কর বৃদ্ধি ও ভুর্তকি বাতিল করে পরিস্থিতি কন্ট্রোলের বাইরে নিয়ে যাওয়ার। কিছু সিদ্ধান্ত সরকার নিচ্ছে আইএমএফের প্রেসক্রিপশেনে আবার কিছু সিদ্ধান্ত নিদিষ্ট মন্ত্রণালয়ের আমলাদের থেকে আসছে বলে মনে হচ্ছে।
নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যে ভ্যাট বৃদ্ধি : সরকারের আয়কর আদায় বাড়ানোর জন্য ৪৩ টি পণ্যের উপর ভ্যাট আরোপ করতে যাচ্ছে। এসব পণ্যের মধ্যে মেডিসিন, পোশাক ও রেস্টুরেন্ট সহ গুরুত্বপূর্ণ পণ্য রয়েছে। বাংলাদেশে সব শ্রেণীর মানুষের আয় সমান নয়। দীর্ঘদিন ধরে উচ্চ মূল্যস্ফীতিতে মানুষের নাজেহাল অবস্থা। জুলাই অভ্যুত্থানের পর দেশের অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে ব্যবসা বাণিজ্য ডাউনের দিকে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নত না হওয়ায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তার অভাবে সংকট আরো ঘনীভূত হয়েছে।
মোবাইল পরিসেবায় ভ্যাট বৃদ্ধি : দীর্ঘদিন ধরে সমাজে একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল মোবাইল পরিসেবার খরচ কমানোর জন্য ! ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সময়ে মোবাইল পরিসেবায় ধাপে ধাপে কর বাড়ানো হয়েছে। সর্বশেষ কর বৃদ্ধি করা হয়েছিলো চুয়ান্ন শতাংশ কিন্তু এই সরকার সেটি বাড়িয়ে ৫৬ শতাংশ করতে যাচ্ছে। এর মূল কারণ সরকারের পক্ষ থেকে জানা যায় নি। ছাত্র উপদেষ্টা নাহিদ যেহেতু এই মন্ত্রণালয়ে আছে আশা করি এর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
শিল্প কারখানার গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি : এমনিতেই দেশে গ্যাসের সংকটে শিল্প কারখানাগুলো সম্পূর্ণ উৎপাদনে যেতে পারছে না। সরকার ভুর্তকি থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য তাই শিল্প কারখানায় গ্যাসের দাম বাড়াচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু দাম বাড়ানো হলেও পর্যাপ্ত গ্যাস পাওয়া যাবে কিনা সেটা নিয়ে সরকার থেকে কোন আশ্বাস দেয়া হচ্ছে না। ব্যবসায়ীরা বলছেন শিল্পকারখানায় গ্যাসের দাম বাড়ালে উৎপাদন আরো কমে যাবে ও কারখানা বন্ধ করে দিতে হতে পারে। এতে গণহারে কর্মী ছাটাই হতে পারে যা সরকারের জন্য অশনিসংকেত হিসাবে দেখা দিবে।
এসি ও ফ্রীজের দাম বৃদ্ধি : এসির দাম বাড়ানো হলে একদিকে ভালোই হয় পরিবেশের জন্য। অনেকে ছোট পরিসরে অত্যধিক এসি ব্যবহার করেন। এতে পরিবেশ দূষণ হয়। তবে এসির সাথে সংশ্লিষ্ট লোকজনের ব্যবসা বাণিজ্যে ভাটা পড়লে কর্মসংস্থানের উপর চাপ বাড়বে। ক্রেতারা এসি কেনা কমিয়ে দিবে। ফ্রীজের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য।
বর্তমান সরকার ভোটে নির্বাচিত সরকার না হলেও জনগণের পূর্ণ সাপোর্ট রয়েছে। জনগণের প্রত্যাশা এই সরকার ব্যাংক খাতের স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনবে, লুটপাটের অর্থ ফিরিয়ে আনবে, অর্থপাচার বন্ধ করবে ও শেয়ার বাজারে স্থিতিশীল পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনবে। সরকার এসবের মধ্যে খুব কম কাজেই সফল। তবে সাধারণ জনগণের শেষ ভরসা এই সরকার। দেশের পরিস্থিতি বর্তমান পরিস্থিতির চেয়ে যাতে অবনতি না ঘটে তাই বর্তমান সরকার নির্বাচনের পূর্ব পর্যন্ত থাকার বিকল্প নেই।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৮:২৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



