সোনাগাজী/ফারমার/চাঁদগাজী/খেলাঘর কে চিনেন না এমন একজন ব্লগার সামুতে আছেন কিনা সন্দেহ আছে। বর্তমানে তিনি পূর্বের সকল নিক ব্যান খেয়ে জেনারেশন-৭১ নিকে ব্লগিং করছেন। তিনি সামুর একজন প্রবীণ ব্লগার। তিনি ব্লগে যেমন তুমুল জনপ্রিয় ঠিক একই সাথে অনেকের নিকট বিরক্তিকর ব্যক্তি হিসাবে পরিচিত। আমার সাথে উনার পরিচয় হয় সোনাগাজী নিক ব্যান যাওয়ার ঠিক এক মাস আগে থেকে। একজন নতুন ব্লগার হিসাবে যখন সামনের পাতায় যাওয়ার জন্য অন্য ব্লগারদের ব্লগে কমেন্ট করতাম এবং ব্লগ লিখতাম তখন সোনাগাজী নিক থেকে আমার ব্লগে তিনিই সর্বপ্রথম কমেন্ট করেছিলেন । এছাড়া আজব লিংকন, মহাজাগতিক চিন্তা, সাজিদ নিক ও কামাল ১৮ থেকে আমার ব্লগে রেগুলার কমেন্ট করা হতো। এভাবে আমার সৈয়দ কুতুব নিক সামনের পাতায় চলে আসে। মেনশন করা ব্যক্তিরা যদি কমেন্ট না করতেন তবে হয়তো আজকে ১৫০ তম পোস্ট লিখার জন্য ব্লগে জীবিত থাকতাম না। আসলে সবার সহযোগিতা ছাড়া সামনে এগিয়ে যাওয়া কঠিন।
জেনারেশন-৭১ ওরফে সোনাগাজী ব্লগের প্রতি আমার আগ্রহ সৃষ্টি হয় মূলত নিকের নাম থেকে। ফেনী সোনাগাজীতে আমার অনেক আত্নীয় স্বজন বসবাস করেন। প্রথমে ভেবেছিলাম হয়তো সেখানের কেউ বুঝি ব্লগিং করছেন। পরে দেখলাম নিকের পিছনের মানুষটি একজন মুক্তিযোদ্ধা। উনাকে আমি ফলো করতে থাকি। ধীরে ধীরে বুঝতে পারি তিনি একটি রাজনৈতিক দলের শক্ত সাপোর্টার এবং ব্লগে বিভিন্ন লেখকদের লেখা নিয়ে শক্ত সমালোচনা করে থাকেন। কিন্তু উনার একটি ফ্যান বেইজ আছে যারা রেগুলার জেনারেশন-৭১ নিকের ব্লগ ভিজিট করে থাকেন। সোনাগাজী নিকের পিছনের মানুষটিকে একটি রাজনৈতিক দলের দালালি করছেন বলে মনে করেন সামুর অনেক ব্লগার । সোনাগাজী কে পছন্দ করেন এমন ব্লগারের সংখ্যাও নেহায়েত কম নয়। তাই বারবার ব্যান খেয়েও তিনি নিত্য নতুন নিক নিয়ে নিজের ভক্তকূলের জন্য ও দেশের সার্বিক অবস্থা নিয়ে আলোচনা করতে ব্লগে ফিরে আসেন।
সোনাগাজী নিকে যখন গাজী সাহেব ব্লগিং করতেন তখন তিনি ব্লগারদের ব্লগে গিয়ে নানারকম মন্তব্য করতেন যা অনেকের পছন্দ হতো না। এছাড়া হটাৎ করে হাজির হওয়া কিছু নিক থেকে গাজী সাহেবের ব্লগে কমেন্ট করা হতো এবং তিনি তার কঠিন জবাব দিতেন যা সামুর মডুদের চোখে আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। তাই সোনাগাজী নিক কে চিরতরে ব্যান করে দেয়া হয়।
সোনাগাজী নিকের পিছনের মানুষটি জেনারেশন-৭১ নিকে এখন ব্লগিং করছেন। প্রথমে তাঁর কমেন্ট করার ক্ষমতা ছিলো কিন্তু সামুর নিয়ম ভঙ্গের কারণে আবার তাকে কমেন্ট ব্যান করা হয়। সামুতে বিভিন্ন সময় ব্যান নিয়ে রেগুলার লিখে যেতেন বলে জানতে পেরেছি । তাই এই পরিস্থিতি খুবই স্বাভাবিক গাজী সাহেবের জন্য। মূলত লেখালেখি নেশা হওয়ার কারণেই গাজী সাহেব ব্লগিং ছেড়ে যাচ্ছেন না।
জেনারেশন-৭১ কে ব্যান মুক্ত করা হউক এমন টপিকস নিয়ে ব্লগ লিখলে উনার যারা হেটার্স তারা একটু নড়েচড়ে বসেন । তারাও পাল্টা ব্লগ লিখেছিলেন বলে পূর্বে লক্ষ্য করেছি। এছাড়া ব্লগে এখনও খোলা চিঠি লেখার প্রচলন আছে দেখে ভালো লাগে। গাজী সাহেবের হেটার্সরা উনার পোস্টে কমেন্ট করার জন্য হলেও ব্লগে আসেন। অনেক সিনিয়র ব্লগারদের সাথে গাজী সাহেবের ঝামেলা রয়েছে আবার যারা ব্লগ ছেড়ে দিয়েছেন অনেকে গাজী সাহেবের খোঁজ খবর নেন বলে শুনেছি। অর্থাৎ তিনি সকল মহলে আলোচিত-সমালোচিত একজন মানুষ।
অনেকদিন গত হয়েছে গাজী সাহেব পিছনের পাতায় ব্লগিং করে যাচ্ছেন। অনেক সিনিয়র ব্লগার নিজেদের কাজকর্মে বিজি থাকেন তাই সময় দিতে পারেন না সামুতে। ব্লগে আজ রাতে নতুন কোনো পোস্ট লিখলে সেটা সামনের পাতা থেকে পিছনে যেতে দেড় থেকে দুইদিন সময় লাগে। অর্থাৎ লেখকের সংখ্যা অনেক কমে গিয়েছে। জেনারেশন-৭১ নিকের উপর থেকে ব্যান সরিয়ে নিলে সামনের পাতায় রেগুলার উনার উপস্থিতি থাকতো। একজন পুরাতন ব্লগারকে সামনের পাতায় রেগুলার লিখছে দেখে অন্যরাও হয়তো লেখালেখি আবার শুরু করার আগ্রহ বোধ করতেন।
খেলাঘর/ফারমার/চাঁদগাজী/সোনাগাজী = জেনারেশন ৭১ এর উপর থেকে সকল প্রকার ব্যান উঠিয়ে নেয়া যায় কিনা তা পুনরায় বিবেচনার জন্য সামু কতৃপক্ষের নিকট অনুরোধ জানাচ্ছি।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:০৬