
আমাদের ছাত্র উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছেন তাই। যদিও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সাংবাদিকদের বলেছেন ইন্টেরিম সরকারের বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কে নিষিদ্ধ করার অভিপ্রায় নেই কিন্তু ছাত্র উপদেষ্টারা বক্তব্য দেয়ার সময় আওয়ামী লীগের আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ নেই বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন। আজ উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম আবারো একই কথা পুনরাবৃত্তি করলেন। তার ভাষ্যমতে, আওয়ামী লীগ নামে, আওয়ামী লীগ মতাদর্শে কোনো রাজনীতি করার সুযোগ নেই। কারণ, তাদের মতাদর্শটা ফ্যাসিবাদী, যার ভিত্তিতে গত ১৫ বছরের রাজনীতি চলেছে, গণহত্যা হয়েছে। যারা ভুল বুঝতে পারবেন, তাদেরকে সেই আদর্শটাকে ত্যাগ করতে হবে। তাদের রাজনৈতিক ও নাগরিক অধিকারের তো কোনো সমস্যা নেই। অন্য দলে যোগ দিতে পারেন, নতুন দল গঠন করতে পারেন।
নাহিদের বক্তব্য থেকে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে লীগের নেতা কর্মীদের ছাড় দেয়া হবে যদি তারা অন্য রাজনৈতিক দলগুলোতে যোগ দেয়। কিন্তু আওয়ামী লীগের ব্যানারে রাজনীতি করতে পারবে না। ইতিমধ্যে বিএনপি-জামায়াতে অনেক আওয়ামী লীগের নেতা কর্মী যোগ দিচ্ছে। এরা আসলে সুবিধাবাদী এক অংশের লোক। তারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দল করতো। নিদিষ্ট কোন আদর্শ তাদের কোনকালেই ছিলো না।
সংবিধান সংস্কার কমিটির প্রধান আলী রিয়াজ বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে ফেরত আসতে হলে চারটি শর্ত পূরণ করতে হবে বলে জানিয়েছেন : ১- শেখ পরিবারের কেউ দলের কোন দায়িত্বশীল পদ থাকতে পারবেন না। ২- দেশের জনগণের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। ৩- সকল গুম খুনের বিচারের জন্য তাদের কে দেশে ফেরত এসে আত্নসমর্পণ করতে হবে। ৪- ক্লিন ইমেজের লোকজনকে দলের প্রধান নেতা হিসাবে নির্বাচিত করতে হবে।
আওয়ামী লীগ এখন কি করবে? নিজ দলের নাম পাল্টিয়ে নতুন কোন ব্যানারে নিবন্ধিত হবে নাকি হালকা পাতলা নাম সংস্কার করে দেশের রাজনীতিতে ফিরবে? বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দলের ব্যানারে নতুন শব্দ 'মুসলিম ' সংযুক্ত করে এবং 'আওয়ামী ' বাদ দিয়ে বাংলাদেশ মুসলিম লীগ হয়ে তারা ফেরত আসতে পারে।
নাহিদের বক্তব্য পোস্টমর্টেম করলে বোঝা যায় পতিত স্বৈরাচারের লোকজন অন্য কোন রাজনৈতিক দল এমনকি নতুন কোন রাজনৈতিক দলে যোগ দিলেও তারা মাইন্ড করবে না। আওয়ামী লীগ নাম শুনলে নাহিদ বাবুর ফ্যাসিস্ট রাজনৈতিক দলের কথা মনে উঠে। আওয়ামী লীগ নামক রাজনৈতিক দলটির আদর্শ হচ্ছে একনায়ক তন্ত্র, ফ্যাসিবাদ কিন্তু আওয়ামী লীগ দল করা মানুষজন সুফি টাইপের মানুষ। এইজন্য তো বলি পুলিশ কেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করে না ! তারা ছেলের বিয়েতে যায়, রাজনৈতিক দলগুলোর মিটিংয়ে থাকে এবং সরকারের সংস্কার কমিশনের মত বিনিময় সভায় আমন্ত্রণ পায় তখন প্রশাসনের চোখে নিরপরাধ !
আজকে চট্রগ্রামের একজন বিতর্কিত রাজনীতিবিদ সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বক্তব্যের বিশেষ একটি অংশ মনে পড়ছে " সোনামিয়া থেকে এখন লালমিয়া হয়ে গেছে। মিয়া মিয়ার জায়গায় ঠিকই রাখছে খালি সোনাডা লাল হয়ে গেছে। "

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


