somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সেরের উপর সোয়া সের !

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:৫৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


এই ঘটনাটি পাশাপাশি তিনটি দেশের। দেশ তিনটি হলো: আলফা, বিটা এবং গামা। গামা একসময় আলফার অংশ ছিলো কিন্তু একটি রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে বিটার সহযোগিতায় গামা স্বাধীনতা লাভ করে। বিটা নিজেদের নিরাপত্তার জন্য আলফা ও গামাকে ভাগ করে। এই নিয়ে আলফার মধ্যে তীব্র ক্ষোভ, হতাশা ও রাগ রয়েছে। সুযোগ পেলেই আলফা গামা রাষ্ট্রের ক্ষতি করতে চায়। গামা রাষ্ট্রে গত পনেরো বছর একজন স্বৈরশাসক বিটার সহায়তায় ক্ষমতায় ছিলেন। কিন্তু ছাত্র ও জনতার স্বতস্ফুর্ত অংশগ্রহণে গামা রাস্ট্রের স্বৈরশাসকের পতন ঘটে। এতে গামা রাষ্ট্রের স্বৈরশাসক যতনা অখুশি তার চেয়ে বেশি মন খারাপ বিটা রাষ্ট্রের। তাদের দাবী সুপার পাওয়ার এক্স রাষ্ট্র ও আলফা রাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থার যৌথ প্রযোজনায় ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান হয়েছে। অভ্যুত্থানের পরপর আলফা রাষ্ট্রের সাথে গামা রাষ্ট্রের সুসম্পর্কের উপর তারা ইশারা করেন। স্বাভাবিক ভাবেই গামা রাষ্ট্রের সাথে আলফা রাষ্ট্রের সম্পর্ক ভালো ছিলো না আগে থেকেই। এখন গামা রাষ্ট্রের প্রায় প্রতিটি অনুষ্ঠানে আলফা রাষ্ট্রের হাইকমিশনার কে দেখা যায়। তাই বিটা রাষ্ট্রের গোয়েন্দাদের ধারণা আলফা রাষ্ট্র, এক্স রাষ্ট্র ও একজন নোবেল বিজয়ী মানুষের মেটিকুলাস ডিজাইনের অংশ ছিলো ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান। বিটা রাষ্ট্র তখন থেকে প্লান করতে থাকে কিভাবে নোবেল বিজয়ী মানুষটিকে বিপদে ফেলে গামা রাষ্ট্র কে অকার্যকর দেখানো যায়।

গামা রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি তেমন সুবিধার নয়। পতিত স্বৈরাচারের দল(এস) ব্যতীত অন্য একটি রাজনৈতিক গোষ্ঠী(জেড) আছে যাদের আবার আলফা রাষ্ট্রের সাথে ভালো সম্পর্ক ছিলো একসময়। রাজনৈতিক দল 'এস' ক্ষমতাচ্যুত হওয়ায় সামনে নির্বাচনে ক্ষমতায় যাওয়ার পথ সুগম হয়েছে। সেখানেও বাদ সাধছেন নোবেল বিজয়ী মানুষটি। তিনি আগে দেশের সংস্কার করতে চান, এরপর নির্বাচন। কিন্তু নোবেল বিজয়ী মানুষটির ছিলো না কোন রাজনৈতিক জ্ঞান। তাই গোয়েন্দা সংস্থা ও প্রশাসনের হানি ট্রাপে তাকে বারবার পড়তে হচ্ছে।রাজনৈতিক দল 'জেড' দ্রুত নির্বাচন চায় কিন্তু যেসব ছাত্ররা অভ্যুত্থানে অংশ নিয়েছিলো তাদের মধ্যে রাজনৈতিক একটি অংশ আগে সাবেক স্বৈরশাসক ও 'এস' দলের বিচার চায়। ছাত্রদের মধ্যে রাজনৈতিক অংশটি আবার নোবেল বিজয়ী কে ব্যবহার করে রাজনৈতিক দল গঠনের স্বপ্ন দেখে। এই কারণে তারা নির্বাচন দেরিতে চায়।

রাজনৈতিক দল 'এস' একসময় গামা রাষ্ট্রের খুব জনপ্রিয় একটি দল ছিলো। কিন্তু খুন, গুম ও লুটপাটের কারণে আজ তারা পলাতক ও নির্বাসিত দেশ থেকে। 'এস' দলের নেত্রী বিটা রাষ্ট্রে পলাতক আছেন। সেখানে বসে বিটা রাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থার সাথে পরামর্শ করে এখন তিনি আবার তার দল 'এস' কে চাঙা করতে কর্মসূচি দিতে চান। কিন্তু 'এস' দলটির তৃণমুল দলের সাবেক প্রধান ও নেতাদের উপর ভরসা করতে পারছে না। কারণ তারা কোন ধরণের লুটপাটের সাথে জড়িত ছিলো না বলে তাদের দাবী। দেশে তারা নির্যাতনের শিকার হচ্ছে আর নেতারা থাইল্যান্ডে বডি মাসাজ নিচ্ছে। এই ধরণের সিচুয়েশনে 'এস' দলের প্রধান কি করা যায় তার জন্য বিটা রাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থার সাথে বৈঠকে বসলেন। তারা সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিলেন ছাত্র-জনতাকে ব্যবহার করে যেভাবে সুপার পাওয়ার এক্স ও আলফা রাষ্ট্র তাদের পতন ঘটায়েছে এখন সেই ছাত্র-জনতা কে তারা পুনরায় ব্যবহার করে নিজেদের হারানো ইমেজ ফিরিয়ে আনবে। কিন্তু গামা রাষ্ট্র থেকে কাউকে তো লাগবে যারা এই কাজে তাদের সহযোগিতা করবে। তখন তারা যোগাযোগ করে গামা রাষ্ট্রের রাজনৈতিক দল 'জেড' এর সাথে।

রাজনৈতিক দল 'জেড' কিছুদিন যাবত সন্দেহ করছে নোবেল বিজয়ী মানুষটির সরকার জাতীয় নির্বাচন দিতে আগ্রহী নয়। তাই তারাও সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো আন্দোলনের জন্য মাঠে নামার। দেশে নতুন এক শ্রেণীর চিল্লার পার্টির আবির্ভাব নিয়েও তারা চিন্তিত। এই চিল্লার পার্টিরা দেশের গতিপ্রকৃতি পরিবর্তন করতে চায় কিন্তু 'জেড' দলের বাধার মুখে পারছে না। এসব কিছু মাথায় নিয়ে তারা মাঠে নামতে চায় দ্রুত নির্বাচনের জন্য। হটাৎ তারা সন্দেশ পায় 'এস' দলের হাইকমান্ড ও বিটা রাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থার কাছ থেকে। সবাই মিলে মেটিকুলাস ডিজাইন বাস্তবায়নে মাঠে নেমে পড়ে। সিদ্ধান্ত হয় 'এস' দলের ঐতিহ্যবাহী একটি রাজনৈতিক কার্যালয় কাম বাড়িটি ভাঙা হবে ছাত্র-জনতা কে ব্যবহার করে। তাছাড়া 'এস' দলের অন্য নেতাদের বাড়িঘর ভাঙা হবে ছাত্র-জনতাকে কাজে লাগিয়ে। এক্ষেত্রে তাদের লজিস্টিক সাপোর্ট দিবে 'জেড' দল। এভাবে করে এক ঢিলে কয়েক পাখি মারা যাবে। দেশের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল দেখিয়ে দ্রুত নির্বাচন দাবী করা ও 'এস' দলের তৃণমুল কর্মীদের আবেগে আঘাত করে তাদের জাগ্রত করা যাবে। সাধারণ মানুষের সিম্পেথি আদায় করা যাবে।

নোবেল বিজয়ী মানুষটি এবং উনার ভ্যানগার্ডরা অন্য প্লানিং করছে। আলফা রাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থার মদদপুষ্ট লোকজন গামা রাষ্ট্রে ঘনঘন যাতায়াত করছে। চিল্লার পার্টিকে সুসংগঠিত করার চেষ্টা করছে। অদৃশ্যভাবে গামা রাষ্ট্রের মধ্যে দুইটি মেরুকরণ হয়ে গেছে। রাজনৈতিক দল 'জেড' কে পাশ কাটিয়ে চিল্লার পার্টিরা নয়া রাজনৈতিক বন্দোবস্ত করতে চাইছে। তাদের এই উদ্দেশ্য বুঝতে পেরেই রাজনৈতিক দল 'জেড' যোগাযোগ স্থাপন করে অন্য শিবিরের সাথে। এভাবে সবাই সবাইকে ব্যবহার করে নিজেদের রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করতে মরিয়া।

'এস' রাজনৈতিক দলের প্রধানের বক্তব্য কে কেন্দ্র করে চিল্লার পার্টি প্রতিশোধ পরায়ণ হয়ে দলটির ঐতিহ্যবাহী বাড়ি ও আবাসস্থলে আক্রমণ করে। আর তাদের এই কাজে লজিস্টিক সাপোর্ট দিয়েছে রাজনৈতিক দল 'জেড'। বিদেশে প্রচারিত হচ্ছে গামা রাষ্ট্রে উগ্রবাদের উত্থান ঘটেছে। নোবেল বিজয়ী মানুষটির দল শুরুতে চিল্লার পার্টির কাজে মৌন সমর্থন জানালেও পরিস্থিতি তাদের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। চিল্লার পার্টি বুঝতে পারেনি মেটিকুলাস ডিজাইন করে তাদের ব্যবহার করা হয়েছে। এইভাবে যার যা স্বার্থ ছিলো সবাই তা হাসিল করে ফেলেছে। নোবেল বিজয়ী মানুষটি যখন পুরো ঘটনা বুঝতে পেরেছেন ততক্ষণে উনার কিছু করার নেই। তাই তিনি দ্রুত নির্বাচন কবে হবে সে ঘোষণা দিয়ে আপাতত নিজেকে নিরাপদ রাখার কথা ভাবছেন।

বি:দ্র: ইহা কেবল একটি কল্পনা প্রসূত গল্প । বাস্তবতার সাথে মিল খুজে পাওয়া গেলে লেখক দায়ী নন। :``>>
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১২:০৫
৬টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=১। কে বা চিনে আমায় ২। চলো যে যার মত ভালো থাকি =

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৯ শে মার্চ, ২০২৫ দুপুর ১:২৭


©কাজী ফাতেমা ছবি
#ভাবনা'রা
যত্ন করে লাগানো পাতাবাহার
কিংবা বারান্দার ঝুলে পড়া ঘাস ফুল
আর মানি প্লান্ট, কাঠ বেলী ওরা আমাকে চিনে,
রোজ বসে যেখানে দেখে নেই মুখশ্রী
ড্রেসিং টেবিলের আয়না সে আমাকে চিনে।

যে গ্লাসটায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। পৃথিবীতে ফিরলেন বুচ ও সুনিতা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে মার্চ, ২০২৫ দুপুর ১:৩৫

মহাকাশ স্টেশনে ৯ মাস আটকে থেকে পৃথিবীতে ফিরলেন বুচ ও সুনিতা


আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) দীর্ঘ ৯ মাস কাটিয়ে অবশেষে পৃথিবীতে ফিরতে সক্ষম হলেন দুই বিশিষ্ট মার্কিন নভোচারী... ...বাকিটুকু পড়ুন

'ওরা' পারেও....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ১৯ শে মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৩:১৭

'ওরা' পারেও....

২০১৮ সালের ৭ নভেম্বর ফজরের ওয়াক্তে আমাকে আর Zahid Hassan কে র‍্যাব-১০ থেকে মিরপুর থানায় হস্তান্তর করে। সেই দিনই আমাদের কোর্টে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আনে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

গাজার রক্তাক্ত রমজান: বিশ্ব দেখছে নিরবে !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৯ শে মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৫:৪২



রমজানের পবিত্রতা উপেক্ষা করে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে, যা যুদ্ধবিরতি চুক্তির সরাসরি লঙ্ঘন। এই হামলায় গাজার ডি-ফ্যাক্টো প্রধানমন্ত্রী ইসাম দা'আলিসসহ চার শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নুরের চে গুয়েভারা

লিখেছেন ঠাকুরমাহমুদ, ১৯ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ৯:২৯



(১)
কয়েক দিন যাবত রাজীব নুরের মারাত্মক ধরনের মন খারাপ, তাঁর সেলফোন বন্ধ হয়ে গিয়েছে এখন আর চার্জ নিচ্ছে না, অনও হচ্ছে না! মনে হয় নষ্ট হয়ে গিয়েছে। একদিকে ভালোই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×