
এমনটাই জানিয়েছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। উনার মতে দেশের মানুষ আওয়ামী লীগ কে নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে ঐক্যমত্য হয়েছে। এখন রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যমত্যে পৌছালে বিদ্যমান কোন আইনি প্রক্রিয়ায় দল হিসাবে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল করা হবে তা খতিয়ে দেখা হবে। জুলাই-আগস্ট হত্যাকান্ডের সাথে আওয়ামী লীগ সম্পৃক্ত থাকার প্রমাণ মিলেছে। যদিও সরকার চায় বিচারিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে গনতান্ত্রিক উপায়ে নিষিদ্ধ করতে তা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনা হবে।
বিএনপি কি আওয়ামী লীগ কে নিষিদ্ধ করতে বাধা দিবে? এপিএস সালাউদ্দিন বলেছেন, আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে রাজনীতি করতে পারবে না। অর্থাৎ বিএনপি হয়তো পক্ষে মত দিবে। তাহলে সরকারের পক্ষ থেকে আর কোন বাধা থাকবে না। দেখতে হবে যে আওয়ামী লীগ কে কোন প্রক্রিয়ায় বা কত দিনের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়।
ছাত্রদের তৈরি রাজনৈতিক দল ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি আত্নপ্রকাশ করতে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ না নিলে তাদের ভোট ব্যাংক ভোট দিতে যাবে না। এক্ষেত্রে বিএনপি ও জামাত-ছাত্রদের মধ্যে মূল প্রতিযোগিতা হবে। আবার বিএনপি জাতীয় সরকার ঘোষণা দেয়ার পর ২৫০-৫০-৫০ এই সংখ্যাটি সোশ্যাল মিডিয়াতে ভেসে বেড়াচ্ছে।
বামদলগুলো এবার ৩০০ আসনে প্রার্থী দিবে শোনা যাচ্ছে। ঘরে অলস ভাবে সময় না কাটিয়ে আওয়ামী লীগের সাপোর্টার রা বাম দল কে ভোট দিয়ে আসতে পারতো। কিন্তু জুলাই অভ্যুত্থানে বামদল গুলোর অংশগ্রহণের ফলে আওয়ামী লীগ ক্ষুব্ধ। ধানমন্ডি ৩২ এ ' নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করার ঘটনা' না ঘটলে ছাত্র-জামাত হয়তো আশাবাদী হতে পারতো। কিন্তু এখন তাও সম্ভব নয়।
জাতি বেশ কয়েকবছর ধরে বিএনপি-জামাত বিহীন নির্বাচন দেখেছে এবার হয়তো আওয়ামী লীগ বিহীন নির্বাচন দেখবে। বাঙালি এতে মোটেও চিন্তিত হবে না। কারণ পূর্বের নির্বাচন গুলোতে তারা যেভাবে সময় কাটাতো ভোটের দিন অনেকে এবারো তেমন কিছুই করবে। এভাবেই বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক পথে আওয়ামী লিগ বিহীন নতুন যাত্রা শুরু করবে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


