somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রাজনীতিবিদদের কিছু হাস্যকর মন্তব্য !

২৭ শে মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:১০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


বাংলাদেশের রাজনীতিতে দিকনির্দেশনা মূলক বক্তব্যের তুলনায় মেঠো বক্তৃতা বেশি শোনা যায়। যারা রাজনীতি করেন তাদের প্রজ্ঞার একটি বিষয় জড়িত আছে। কিন্তু মাঝেমধ্যে উনারা এমন সব বক্তব্য দেন যা শুনে পাবলিক হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খায়। এমন কিছু বক্তব্যের সংকলন নিয়ে আজকের ব্লগ !

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর : ভদ্র ও সজ্জন ব্যক্তি হিসাবে সুপরিচিত। কিন্তু বিগত স্বৈরাচারী সরকার উনাকে ময়লার গাড়িতে আগুন লাগানোর মতো মামলায় ফাঁসিয়েছে। জুলাই অভ্যুত্থানের পর মির্জা ফখরুলের বক্তব্য প্রায় টিভিতে দেখা যায়। তিনি প্রায়শই দাবী করেন বর্তমানে যা কিছু সমস্যা হচ্ছে উহা সমাধানের উপায় নির্বাচন। ধরে নেয়া যাক সারা ঢাকা জুড়ে আন্দোলন হচ্ছে । হটাৎ টিভিতে ভেসে আসবে মির্জা ফখরুলের সেই অমীয় বাণী, "এই আন্দোলন থামানোর উপায় হয়ে দ্রুত একটি নির্বাচন "।

মাওলানা শফিকুর রহমান : জামায়াতের আমীর শফিকুর রহমান জুলাই আন্দোলনের পর নানান সময়ে নানা বক্তব্য দিয়েছেন। জামায়াতের বর্তমান নেতৃত্ব আগের মতো অতটা চৌকস নয়৷ আমীরে জামায়াতে প্রায়শই বেফাঁস মন্তব্য করে ট্রলের শিকার হন। যেমন : তিনি একবার বলেছিলেন, আওয়ামী লীগ কে বারবার ফ্যাসিস্ট দল বলা উনার পছন্দ নয়। চ্যানেল আইয়ের এক অনুষ্ঠানে তিনি নিজেকে একজন মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান বলায় তীব্র সমালোচিত হন। তবে যে বক্তব্যের কারণে ইয়ং জেনারেশনের কাছে তিনি বেশি পরিচিত: " সমালোচনা করবেন চুমু দিবো; কিন্তু চোখ রাঙাবেন না "। আরেক বক্তব্যে তিনি বলেছেন, " দেশপ্রেমিকদের ফাঁসিতে ঝুলিয়ে তারা মিষ্টি বিতরণ করেছে "৷

জামায়াত নেতা গোলাম পরওয়ার : বাংলাদেশে যখন পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র সচিব এপ্রিল মাসে সফর করছেন সে সময় জামায়াতের এক নেতার বক্তব্য রীতিমতো নেট দুনিয়া কাপিয়ে দিয়েছিলো। জামায়াতের সেই নেতার বক্তব্য ছিলো, " একাত্তরের জন্য পাকিস্তানের ক্ষমা চাওয়া উচিত"।

চরমোনাই পীর: ইসলামিক দলগুলো বরাবর ক্ষমতাসীনদের সাথে থাকতে চায়। এজন্য তারা এবার ড. ইউনূসের সরকারের যাবতীয় কার্যক্রম মেনে নিচ্ছিল। বিপত্তি বাধায় নারী অধিকার সংস্কার কমিশন। এর প্রেক্ষিতে চরমোনাই পীর বলেছেন, " আমি আগেই জানতাম ড.ইউনূস এমন কিছু(নারী সংস্কার) করবেন। ইউনূস সাহেবের ক্যাবিনেটে আছে বেশ্যা, লুচ্চা ও বউ ব্যবসায়ী। তারাই ড. ইউনূস কে দিয়ে এসব ভুল কাজ করাচ্ছে। "

বিএনপির নেতা শামসুজ্জামান দুদু: ডাকসুর সাবেক নেতা শামসুজ্জামান দুদু নেট দুনিয়ায় ভাইরাল উনার সাম্প্রতিক সময়ে কিছু বক্তব্য নিয়ে। ড.ইউনূসের পদত্যাগ ও নাহিদের দেখা করা নিয়ে দুদু সাহেব বলেছেন," নাহিদ কি ভাবে ড.ইউনূসের বেড রুমে যায় ? এনসিপি ইউনূস সাহেবের দল "। দুদু মিয়া এনসিপির নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহর কটাক্ষের জবাবে বলেছেন," বিএনপির নেতারা যদি একত্রে প্রস্রাব করেন তাহলে এই প্রস্রাবের জোয়ারে ভেসে বঙ্গোপসাগরে গিয়ে পড়বা।"

ডার্বি নাসির : এনসিপির এক নয়া চিড়িয়া ! সে যখনই কথা বলে ভুল বলে। একবার সে মিডিয়াতে বলে " বিএনপি হচ্ছে দিল্লীর এক্সটেনশন। বিএনপি ভারতের পারপাস সার্ভ করে। " অন্য একটি টকশোতে নাসির বলে, " জামায়াতে ইসলামী দিল্লীর এক্সটেনশন। তারা ভারতের দালাল "।

বিএনপি নেতা গয়েশ্বর রায় : গয়েশ্বর বাবুর হটাৎ জ্ঞান ফিরে এসেছে। তিনি দীর্ঘদিন কোমায় ছিলেন মনে হয়। কোমা থেকে জাগ্রত হয়ে একের পর এক বেফাঁস মন্তব্য করেই যাচ্ছেন । গতকাল তিনি বিএনপির এক সমাবেশে বলেছেন, " বিএনপি মাঠে নামলে ড. ইউনূস ২৪ ঘন্টা টিকতে পারবে বা। তিনি আরো বলেন, " ড. ইউনূস সকল মৌলবাদি গোষ্ঠীকে একাট্টা করেছেন। ড.ইউনূস আপনার মনে রাখা উচিত, যারা লাদেন কে বানিয়েছে তারাই আবার লাদেন কে হত্যা করেছে "।

আমাদের দেশের রাজনীতিতে মেঠো বক্তৃতা খুবই জনপ্রিয় ও বহুল চর্চিত ব্যাপার। কিন্তু অনেক সময় ভাষাগত সীমা লঙ্ঘনের বিষয়টি খেয়ালে থাকে না। তাই নেতাদের মুখ থেকে হাস্যকর সব শব্দ বের হতে থাকলে উহার ওজন কমে যায়।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২৩
১২টি মন্তব্য ১২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

Grameen Phone স্পষ্ট ভাবেই ভারত প্রেমী হয়ে উঠেছে

লিখেছেন অপলক , ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৪৯



গত কয়েক মাসে GP বহু বাংলাদেশী অভিজ্ঞ কর্মীদের ছাটায় করেছে। GP র মেইন ব্রাঞ্চে প্রায় ১১৮০জন কর্মচারী আছেন যার ভেতরে ৭১৯ জন ভারতীয়। বলা যায়, GP এখন পুরোদস্তুর ভারতীয়।

কারনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কম্বলটা যেনো উষ্ণ হায়

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৭


এখন কবিতার সময় কঠিন মুহূর্ত-
এতো কবিতা এসে ছুঁয়ে যায় যায় ভাব
তবু কবির অনুরাগ বড়- কঠিন চোখ;
কলম খাতাতে আলিঙ্গন শোকাহত-
জল শূন্য উঠন বরাবর স্মৃতির রাস্তায়
বাঁধ ভেঙ্গে হেসে ওঠে, আলোকিত সূর্য;
অথচ শীতের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইউনুস সাহেবকে আরো পা্ঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চাই।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪৪


আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি পুরো ১৫ মাস ধরেই ছিলো। মব করে মানুষ হত্যা, গুলি করে হত্যা, পিটিয়ে মারা, লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারা, পুলিশকে দূর্বল করে রাখা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৬

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

শহীদ ওসমান বিন হাদি, ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

হ্যাঁ, সত্যিই, হাদির চিরবিদায় নিয়ে চলে যাওয়ার এই মুহূর্তটিতেই তার খুনি কিন্তু হেসে যাচ্ছে ভারতে। ক্রমাগত হাসি।... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?

লিখেছেন এ আর ১৫, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৩

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?


হাদিকে মারল জামাত/শিবির, খুনি নাকি ছাত্রলীগের লুংগির নীচে থাকা শিবির ক্যাডার, ডাকাতি করছিল ছেড়ে আনলো জামাতি আইনজীবি , কয়েকদিন হাদির সাথে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×