সাগরের বুকে ঢেউ লিখেছেন।
আজব এক দেশের আজব কাহিনী বলি
দুইটি অংশ নিয়ে একটি প্রদেশ।আয়তন ১৭৯০০০ বর্গমাইল,জনসংখা ৭৯ ০০০ ০০০ জন।এক অংশ নিম্নভুমি।শতশত নদীনালায় ভরা,ঝড় তুফান জর্জরিত।
এই খানে মানুষেরা গরিব চাষী।মাথার ঘাম পায়ে ফেলে তারা জমি চাষ করে।কিন্তু ফসল ভোগ করতে পারেনা।তারা জমির মালিক নয়,ফসলের ও নয়।
এখানে মানুষেরা অশিক্ষিত,মুর্খ।সরকার তাদের জন্য শিক্ষার কোন ব্যাবস্থা করেনি।
নেই চিকিতসার ব্যাবস্থা।মহামারিতে গ্রামের পর গ্রাম উজাড় হয়ে যায়।
দেশের অন্য অংশে বিরাট শহর।বিলাশ ব্যসনের ছড়াছড়ি।চারিদিকে ছোট মনের বেশী টাকার মানুষের বাস।তাদের আমোদ্ আহলাদের শেষ নেই।
তারা হচ্ছে শহরের বাবু।
এই বাবুরা অন্য অংশের জমির জমিদার।অন্য অংশের কৃষকরা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ফসল ফলায়।সেই টাকা শোসন করে এদের বিলাশীতা চলে।
এই বিলাশী আর নব্যধনী এক পরিবারে বিরাট এক কবির জন্ম।
চারিদিকে শুধু রোমান্স আর রোমান্স।দরিদ্র প্রজারা না খায়ে মরে,তাদের কথা কবির কবিতায় থাকেনা।তার কবিতা জুড়ে শুধু প্রেম ভালোবাসা।
সেই দেশ চালাতো বহিরাগতরা,পুর্বংশের প্রতি তাদের মনে এক সময় দয়া হল।তারা শাসনকাজের সুবিধায় পুর্ব আর পশ্চিম অংশ আলাদা করে ফেলল।
তারপর,
পুর্ব অংশে সহসাই উন্নয়নের ছোয়া লাগলো।নতুন স্কুল-কলেজ হলো।হাসপাতাল হলো।নতুন নতুন কল কারখানা হল।নতুন উদ্দীপনায় তারা নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তনে ঝাপিয়ে পরলো।
পশ্চিমের লোকেরা বিপদ দেখলো।পুর্ব অংশ উন্নত আর শিক্ষিত হয়ে গেলে তাদের আর শোষন করা যাবেনা।নিজেদের অবইধ বিলাশীতার পথ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বলে তাদের যা কিছু ছিলো তাই নিয়ে তারা ঝাপিয়ে পরলো।
তাদের একদাবি দেশবিভাজন রদ করতে হবে।
আবেগ সৃষ্টি করতে মায়ের জুরি নেই,দেশকে মায়ের সাথে তুলনা করা হলো।মায়ের বিভাজনের বিরুদ্বে তারা আন্দোলন করলো।
মিছিল মিটিং হলো।জ্বালাও পোড়াও হল।এক সময় সন্ত্রাসী হামলা শুরু হলো।বাচচা ছেলেদের ব্রেণওয়াশ করে বোমা হাতে ছেড়ে দেয়া হলো।
নিজের জমিদারি ছুটে যায় কবি কি আর বসে থাকতে পারেন।কিন্তু তার মুখ দিয়ে কড়া কথা বের হয়না।রোমান্টিক কবি লিখলেন----
আমার সোনার **** আমি তোমায় ভালোবাসি।
........................................
.........................................
কবিতাটা আসলে এরকম হলে ভালো হতো....
আমার সোনার **** আমি তোমায় ছাড়তে চাইনা
চিরদিন তোমার কৃষক,তোমার শ্রমিক শোসন করি
তোমার টাকায় জমিদারী করি
এই জিনিস আমরা কেমনে চাড়ি............................
কিন্তু এটাতো আর লেখা যায়না তাই আসলে প্রথমটা লেখা,উনি কিন্তু দ্দ্বিতীয়টাই লিখতে চেয়েছিলেন।
পুর্ব অংশের কৃষকরা এ আন্দোলনের মুল বুঝতে দেরি করলো,কিন্তু বুঝার পরে তারা আর এতে সাপোর্ট দিলোনা।বরঞ্চ তারা বিভাজনের পক্ষে আন্দোলনে নামলো।
ধনী জমিদারদের আন্দোলনের কাছে তারা পরাজিত হলো।দেশ পুনরায় একত্রিত হলো।
এরপর অনেকদিন।
পদ্মায় অনেক পানি প্রবাহিত হলো।
অনেক গাছের সব পাতা ঝরে গেলো
আবার সব পাতা গজালো
আবার ঝরলো
আবার গজালো
এই সময়,মায়ের ছেলেরা দেখলো মা বুড়ো হয়ে গেছে।মা আর আগের মতো লাভ দেয়না।
মাকে ভাঙ্গার জন্য আবার তারা ঝাপিয়ে পড়লো।
এরপরে অনেক কিছু হল।গল্প-উপন্যাস ইতিহাস লেখা হল হাজার হাজার পাতা।
পুর্ব অংশ এক সময় নতুন দেশ হলো।
সেই দেশের জাতিয় সংগীত হলো কবির সেই গান।
অফিস আদালতে,হাইকোর্ট-জজকোর্ট,স্কুল-কলেজে এই গান বাজে।
শিশুরা সমাবেশে এই গান শোনে।তাদের মনে কবির জন্য আগ্রহ।
জাতীয় ভাবে কবির জন্ম মৃত্যু পালিত হল। দেশে আর যারা কবি ছিলো তারা পেছনের সারিতে চলে গেল।কেউ কেউ শুরু করলো কবির গুণগান।বেচে থাকতে হবেনা!
এতটা আশা কবিও করে নাই।
পুনশ্চ, ইতিহাস থেকে যারা শিক্ষা নেয় না ইতিহাস তদের ক্ষমা করেনা।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





