ফিতরা রমযানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি ব্যাপার। কিন্তু এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারটি নিয়ে সম্প্রতি আমাদের দেশে ঘটে গেল একটি ব্যতিক্রমধর্মী নাটক। কিন্তু মজার ব্যাপার হল এই সাংঘাতিক নাটকটি মোস্তফা সারওয়ার ফারুকীর মত ভালো পরিচালকের পরিচালনায় নয় বরং শুধুমাত্র দেশের হুজুরদের দ্বারাই নির্মাণ সম্ভব হয়েছে।
যা হোক আমাদের দেশের হুজুরদের যোগ্যতা বৃদ্ধি ঘটেছে কিনা তা বলতে পারবো না তবে ঘটনাটি যে বাস্তবতার নিরিখে অত্যন্ত হৃদয় বিদারক এবং সমালোচনার দাবিদার তা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড মিটিং এ বিস্তর আলোচনা, বাজারদর ঘাঁটাঘাঁটির পর যখন সিদ্ধান্ত হয় এ বছরের ফিতরা হবে মাথাপিছু ১০০ টাকা, তখনই হয়ত দেশের হর্তাকর্তাদের টনক নড়ে উঠেছে যে বাজার দরের উর্ধ্বগতির বর্তমান অবস্থান এখন কোথায়?
জনগণের দূরবস্থার কথা তারা ভুলে থাকলেও শুধুমাত্র রাজনীতি করার খাতিরে তারা একথা কখনোই ভুলেন না যে, স্বার্থে টান পড়লে ছেলেও বাবাকে অস্বীকার করে; আর তো জনগণ। আমজনতা (আম মানে ম্যাঙ্গোজুস না) যখন সাধ্যাতীত এই ফিতরার টাকা হাতবদল করতে করতে একেকটা গালি নিঃসরণ ঘটাবে তখন যে আগামী নির্বাচনের জন্য ভোটের ঘাটতির সূচনা হবে - তা তাঁহারা ভালোভাবেই বুঝেন।
এরপর তাদের হস্তক্ষেপেই কি না জানি না, আমাদের দেশের হুজুররা স্বেচ্ছায় তাদের নিজেদের মুখে চুনকালি লেপন করলেন। তারা প্রমাণ করলেন, এখনকার হুজুরদের হাতে আমাদের ইসলামী বিধানাবলী আর নিরাপদ না। একেকজনের সাথে আরেকজনের মতের পার্থক্য ভুলের কারণে কখোনো ১০০ থেকে ৪৫ এ আসতে পারে না। আর যদি এসেই পরে তাহলে বুঝতে হবে হয় তাদের জ্ঞানের পরিধি ছোট হয়ে আসছে নচেৎ এখানে অন্যকারো হস্তক্ষেপ (হতে পারে 'উপর' থেকে। কারণ, নিউটন সাহেবের কৃপায় হস্তক্ষেপ সর্বদা উপর থেকেই আসে) রয়েছে।
সবাই কী ভাবেন, জানি না। তবে আমার মনে হয়, গরিবের ন্যায্য (ন্যায্য বলতে বাজারদর অনুযায়ী। কারণ, ইসলামী বিধানানুযায়ী তাদেরকে বাজারদর অনুযায়ী টাকা দিতে হবে।) অধিকার হতে বঞ্চিত হচ্ছে।
ভাই রে, রাজনৈতিক মারপ্যাচ আর কত দিন দেখবো এই দেশে? শুধুমাত্র নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারে আপনাদেরই চাষাবাদের ফসল দারিদ্রকে আর কত সার দেবেন ???

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





