আমাদের আদব লেহাজ শিক্ষা হিসাবে কোথায় পাব? পরিবার আর সমাজের মধ্য হতে শতভাগ প্র্যাকটিস ছাড়া এটা আসবে না, এটা ২/৪ মসের বিষয় না, আমি সিওর এন্ড চেলেন্জ্য্ড করতে পারি।
কোথায় কী কথা আর কোথায় কখন থামতে হবে আমরা জানি না। দাঁড়ি, কমা, কোন প্রশ্নটা কোথায় করতে হবে আমরা জানি না। কিংবা কোনটা ফান আর কোনটা ফাজলামো আমরা আসলে ঠিক বুঝি না। বুঝার ঘিলুও নাই। বাব-মা সন্তানদের ঘিলু তৈরি করার ইচ্ছা বা চেস্টা করতে হবে। বিয়া কইয়া খালি পোডাকশন ম্যানেজারের মত বাচ্চা পয়দা না কইরা মানুষ পয়দা করার চেস্টা করা উচিত। বাচ্চা কম হোক সু-সন্তান হোক। রেজাল্ট কম-বেশি হোক। but… মানুষের মত মানুষ হয়ে উঠুক।
যেমন, মা বলেছিল শশুড় বাড়ি আদব লেহাজ সহ প্রশ্ন করবি। শশুড়কে জামাই আদবের সাথে জিজ্ঞেসা করে, জনাব আব্বাজান আপনি কি বিবাহ করিয়াছেন?? লও ঠেলা।…..
আবার ধরেন, কোনটা ফান/ উপহাস /অপমান, এখনো আমরা অনেকেই ঠিক বুঝি না,বুঝার ঘিলুও নাই।
যেমন, আপনি রান্নাবান্না করে সাজিয়ে খাবার পরিবেশন করলেন। একজন বললো, এমা রোস্ট এতো ঝাল, আমার বাচ্চারা এটা খেতেই পারবে না। (তোর বাচ্চার টেস্ট তো সেই লোক জানে না।) কিংবা মিস্টি কোন আইটেম মুখে দিয়েই ভাবী বলে বসলো, এতো মিস্টি দিয়েছেন মুখেইতো দেয়া যাচ্ছে না। বা গোস্ত মুখে দিয়ে এক লোক কইলো ভাই এটাতো বাটা জুতার সোল।
অথবা, আপনার স্বামী হয়তো অতিথি আপ্যায়নে আপনাকে সাহায্য করছে, যদিও বর্তমানে স্বামীকেই স্ত্রী হেল্প করতে আসে কয়েক সেকেন্ডের জন্য, ওহ্ আবার সেই কয়েক সেকেন্ড এর মধ্যে ছবি তোলা আবার সেটা অনলাইনে ডে দেয়া সবি করতে হয়।
অমনি মেহমান কেউ টিপ্পনি কাটলো, বুঝলাম, ভাবী ভাইকে দিয়ে ভালোই খাটায়। হয়তো এ নিয়ে ভাই মহলে কিংবা ভাবী মহলে একচোট হাসাহাসি হয়ে গেল। দেখলা, অমুক ভাইতো থালাবাটি মাজে! আরেকজন বললো, আরে ভাইতো ভাবীর শাড়ি,ছায়া,বেলাউচ ও ধুয়ে দেয়!! আহ….হা….হা…..
একবার এক আত্নিয়ের বাসায় গুরত্বপূর্ন আজিরা কামে গেলাম। তো, সেই বাসার কর্তা আমাদেরকে দেখে এত ব্যস্ত দেখালো যে হাগা আসলেও মানুষ এত ব্যস্ত হয়না। সে ফোনে আজিরা আজিরা কথা বলতে লাগলো, কথা গুলো আপাতভাবে কাজের মনে হলেও আসোলে আজিরা, যেমন- কিরে দোকানের সিলিং-এর ঝুল ঝারছোছ!, নিচে রিশিপশনে আমার হাফ প্যান্ট আয়রনে দিছি ঐটা আনছোছ!!, তার সামনে যে আমরা পরিবার বসে আছি তাদের খাবারের খবর নাই but… সে খবর নিতাছে ১১তলায় উঠার সময় গত পরশুদিন একটা বিলাই কে দেখছিল কিছু খায় নাই সে বিলাইকে কাজের মেয়েটা খাবার দিছে কিনা সেটা নিয়া তুমুল হট্টোগোল!!!.
অথবা, ধরেন আপনি কারো জন্য কিছু গিফট নিয়ে গেলেন। তো, গ্রহিতা তাহা দেখিয়া অত্যন্ত বিরক্তির সহিত কহিল, এইসবতো আমি পড়ি না বা আমরা কেউ খাই না।
আবার অনেকে আছে আপনি কি দিছেন সেটা বড় না আপনি সেটা কি ভাবে পেকেট করে দিছেন সেটা বড় করে দেখে।
আর ভাই বিয়ে বাড়ির আগে পরে আর কিছু কইলাম না, খালু আর ফুফাদের জন্মই হইছে ভূল ধরার জন্য। দাওয়াত দেয়া হতে তাদের হোগার কৃমি শুরু হয়। আবার যদি একাধিক মেয়ের জামাই যাদের আছেন ,যারা এটা মেইনটেন করনে তারা জানে হাউমেনি প্যাডি হাউম্যানি রাইস!
বড় জামাইকে দাওয়াত দিছে যে কার্ডদিয়ে সেই কার্ডে নাকি ছাপা স্পস্ট না! লও এলা, তার জন্য কী আলাদা ভাবে একটা র্কাড ছাপবো?
আর বিয়েতে কিসের ডালা দিল না দিল এগুলো নিয়ে মহা গুরত্বপূর্ন ব্যাক্তিরা আজিরা কামে বিজি থাকে।
আচ্ছা এটা কি গ্রামের মানুষ বেশি করে??
এটা কি মহিলারা বেশি করে??
এটা কি একটু বয়স্ক মা-খালারা বা নানী-দাদীরা বেশি করে??
নাকি এটা অশিক্ষিত মানুষ বেশি করে??
নাকী এটা ভুল ধরতে হবে তাই ধরে?
সবকিছু সহজ ভাবে নিজের কাছে সমাধান করে নিলেই হয়। দুনিয়ায় মনে হয় বাঙারীরাই এগুলো নিয়ে থাকে যতসব ষাড়ের গোবর,
এসব হাবিজাবি –আবোলতাবোল মাথায় না ডুকাইয়া সুকুমার রায়ের আবোলতাবোল মাথায় রাখেন, দাদা ঘুম ভাল হবে। টা টা………………….