somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সরকারি প্রাইমারি

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ২:২০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সরকারি প্রাইমারি নামটা শুনলেই চোখের সামনে ধ্বজভঙ্গ একটা প্রতিষ্ঠানের ছবি ভেসে উঠে। "পুরাই সরকারি প্রাইমারি" শব্দটা আমরা প্রতিদিনই ট্রল করতে ব্যবহার করছি। দেশের সর্ববৃহৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেখানে লাখ লাখ ছেলেমেয়ে পড়ালেখা করছে সেটা কেন সবার মশকরার বিষয়?

কথায় আছে বাঙালি ফ্রি পেলে আলকাতরাও খায়। সরকারি স্কুলে নামমাত্র মূল্যে শিক্ষা বিতরণ করা হলেও কেউ এখানে বাচ্চাদের পড়াতে আগ্রহী না। যারা পড়াচ্ছে সামর্থ্য নেই বলে পড়াচ্ছে। কারণ সন্তানের ভবিষ্যৎ খারাপ হোক কেউই চায় না। প্রাথমিকের ভিত্তিটা ভালো না হলে সারাজীবন ভুগতে হয়। বেসরকারি কিন্ডারগার্টেন আর সরকারি প্রাইমারির ছাত্রদের তুলনা করলে দেখা যায় দুয়ের মধ্যে কি আকাশ পাতাল ব্যবধান। কালেভদ্রে দুএকজন মেধাবী বের হয়, কিন্তু ব্যতিক্রম তো আর উদাহরণ না। প্রশ্ন হল, সরকারের কাছ থেকে এতো সুবিধা পাওয়ার পরও সরকারি প্রাইমারির এই হতশ্রী দশা কেন?

প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা দেশের সবচেয়ে প্রহসন মূলক নিয়োগ পরীক্ষার একটি। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের 'দোয়া' ছাড়া ভাইভায় পাস করা কঠিন। সাথে আছে বিশাল পার্সেন্টেজের কোটা। শিক্ষকদের র‍্যাংক পুলিশের এসআইয়ের নিচে। মেধাবীরা কেন আসবে? ভোটার তালিকা হালনাগাদ থেকে শুরু করে রাজনৈতিক কর্মসূচীতে হাজিরা দেয়া সব কাজই শিক্ষকদের করা লাগে। সরকারি প্রাইমারি স্কুলগুলির দ্বারা গায়ের বধূদের হাত খরচের ব্যবস্থা হয়েছে, সুশিক্ষিত নাগরিক গড়ে তোলার কাজটাই হয়নি।

এখন তাহলে করণীয় কি?
কোটা ব্যবস্থা তুলে দেয়া হচ্ছে, সরিকারি প্রাইমারিতেও কোটা আর রাখা যাবে না। নিয়োগে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে। সহকারি শিক্ষকদের গ্রেড ১০ আর প্রধান শিক্ষককে গ্রেড ৯ কর্মকর্তায় উন্নীত করতে হবে। তাহলে মেধাবীরা শিক্ষকতায় আগ্রহী হবে। শিক্ষা বহির্ভূত কাজে শিক্ষকদের ব্যবহার করা যাবে না। এভাবে চালাতে পারলে কয়েক বছরের মধ্যেই স্কুলগুলির চেহারা পালটে যাবে। আমরা মধ্যবিত্তরা ভরসা পাবো। রক্তচোষা শিক্ষাব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য কমতে থাকবে। বইয়ের বোঝা টেনে বাচ্চাদের আর হয়রান হতে হবে না। শিক্ষার্থী-অভিভাবক সবাই হাফ ছেড়ে বাচবে।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ২:২০
৬টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

×