মা দিবস পালন কি বাংলাদেশে প্রয়োজন আছে?'মা' দিবস নয় 'পরিবার দিবস' পালন বেশি জরুরী।
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
সাধারণ ভাবে আমি যেকোনো বিদেশি সংস্কৃতি গ্রহণ করতে দ্বিধাবোধ করি না। কিন্তু এই প্রথম সারাদেশ যেভাবে মা' দিবস পালনকে কেন্দ্র করে সবাই হুমরি খেয়ে পড়েছে সেটা আমাকে দ্বিধান্বিত করেছে।'মা' দিবস পালনের ক্ষেত্রে আমার ব্যক্তিগত অভিমত হচ্ছে, পশ্চিমা দেশগুলোতে বয়ঃসন্ধিকালের পর থেকে পরিবার থেকে বেশিরভাগ সন্তান আলাদা হয়ে নিজেদের মতো করে স্বাধীনভাবে জীবনকে উপভোগ করে ।তাই তারা মায়ের সান্নিধ্য থেকে স্বাভাবিকভাবে বঞ্চিত হন , অথবা 'মা' সন্তানের জন্মের পরে তাকে ছেড়ে অন্য কারো সাথে সংসার বা লিভ টুগেদার করেন । তাছাড়া সেখানে অনেকের পিতার কোন পরিচয়ও থাকে না , তাই জন্মের পর তাদের জায়গা হয় বিভিন্ন চাইল্ড হোম জাতীয় কোনো জায়গায় , সেক্ষেত্রে সন্তান তার মায়ের ভালবাসা , স্নেহ , মমতা থেকে বঞ্চিত হন।আর তাও যদি না হয় তবে সেখানে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ছেলে মেয়েরা বৃদ্ধ বাবা-মাকে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসেন এবং বছরে একবার বা দুবার ঘন্টাখানেকের জন্য দেখতে যান।এখন আসি আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে , বাংলাদেশের পরিস্থিতি কি ইউরোপ, আমেরিকার মতো সৃষ্টি হয়েছে ?উত্তর হচ্ছে না, আমাদের বেশিরভাগ পরিবারে ছেলেমেয়েরা এখনও মা-বাবার সাথে বসবাস করে বা সার্বক্ষনিকভাবে যোগাযোগের মধ্যে থাকে,তা সে দেশেই থাকুক বা বিদেশেই থাকুক। তাহলে কেনো আমরা 'মা'য়ের প্রতি অসীম ভালবাসাকে শুধুমাত্র একটি দিনে পালনের মধ্যে দিয়ে সীমাবদ্ধ করে ক্ষুদ্র মানসিকতার পরিচয় দেবো । বরং আমাদের উচিৎ পরিবার দিবস পালন করা এবং তা জাতীয়ভাবেই করা দরকার কারন, একজন 'মা' সবচেয়ে বেশি তখনই খুশী হন যখন সে দেখে তার সন্তানেরা সকলে একত্রিতভাবে মিলেমিশে বসবাস করছে ।তাই আমার ব্যক্তিগত অভিমত হচ্ছে , 'মা' দিবস পালন করে মা কে খুশী করার চেষ্টা না করে আমাদের দেশের হাজার বছরের ঐতিহ্য 'পরিবারতান্ত্রিক সমাজব্যাবস্থা'কে শক্তিশালী করার উপর জোর দেয়া। তাই আসুন 'মা' দিবস পালনের মাধ্যেমে নয়, পরিবারের মধ্যে সম্পর্ক যাতে আরো শক্তিশালী হয় তার জন্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে 'পরিবার দিবস' পালন করি। পরিবারের সবার সাথে একত্রে থাকতে পারলেই সবচেয়ে বেশি খুশী হবেন 'মা' বিশেষভাবে বাংলার মায়েরা।
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন্যায়ের বিচার হবে একদিন।

ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন
আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন
আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন
J K and Our liberation war১৯৭১


জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।