মিঃ তারেক রহমান বুদ্ধিজীবী না হয়ে রাজনীতিবিদ হউন।
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
বিএনপি’র সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান হঠাৎ করে দেশের রাজনীতির সর্বাধিক চর্চিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ও শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে নিয়ে ধারাবাহিকভাবে রাজনৈতিক বিতর্ক সৃষ্টি করে চলেছেন।কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে গত ৫ জানুয়ারির একতরফা নির্বাচনের পর বিএনপি হঠাৎ করে আন্দোলন স্থগিত করে সংগঠন গোছানোর ঘোষনা দেয়,কিন্তু দীর্ঘ ৫ মাস অতিবাহিত হলেও সংগঠন গোছানোর কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে তাদেরকে দেখা যায়নি।বরং এ সুযোগে সরকার দিনের পর দিন রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে বিএনপিকে এখন প্রেসক্লাবের চার দেয়ালের মধ্যে বন্দী করে ফেলেছে।
এমনকি সর্বোচ্চ বিচারালয় সুপ্রীম কোর্ট চত্ত্বরে আইনজীবীদের ডাকা সমাবেশ পর্যন্ত পুলিশ দিয়ে প্যান্ডেল ভেঙে দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে।যার মানে হচ্ছে, সরকারের উচ্চপর্যায়ের সিদ্ধান্তে বিএনপি ঢাকায় এখন আর শুধু রাস্তা নয় কোনো হলরুমের মধ্যেও নেতাকর্মীদের নিয়ে আলোচনাসভা পর্যন্ত করতে পারছে না।বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৪৪ বছরের ইতিহাসে রাজনৈতিক দলগুলোর মত প্রকাশের অধিকার এতটা প্রকটভাবে আর কখনো কেড়ে নেয়া হয়নি। এমনকি সামরিক শাষনের আমলেও রাজনৈতিক দলের কন্ঠরোধের এতটা তীব্র বহিঃপ্রকাশ দেখা যায়নি।
ঠিক এরকম একটি দমবন্ধকর রাজনৈতিক পরিবেশে গণতন্ত্র যখন সম্পুর্ণরূপে মুখ থুবরে পড়েছে , ঠিক সেসময় বিএনপি’র সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান দেশের চলমান রাজনৈতিক সংকট উত্তরণের কোনো সুনির্দিষ্টি কর্মপরিকল্পনা প্রদান না করে সম্পুর্ণ অযাচিত ভাবে বারবার শেখ মুজিব ইস্যুকে সামনে নিয়ে এসে কোন ধরনের রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করতে চাচ্ছেন তা বিএনপি’র সিনিয়র নেতৃত্ব সহ রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের কাছে বোধগম্য নহে।সবচেয়ে আশ্চর্যের ব্যাপার হচ্ছে, একটি প্রধাণ রাজনৈতিক দলের অন্যতম নীতিনির্ধারক তিনি কেন একটি ‘’ডেড ইস্যুকে ‘’ সামনে নিয়ে এসে বাংলাদেশে চলমান যে রাজনৈতিক সংকট বিরাজমান রয়েছে তাকে পাশ কাটিয়ে যাচ্ছেন ? আর এমন দুজন রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্বকে তিনি বারবার তাঁর আলোচনার বিষয়বস্তুতে পরিণত করছেন যারা শারীরিকভাবে অনেকদিন পুর্বেই এই ভূমন্ডল থেকে বিদায় নিয়েছেন।
তাছাড়া একজন সক্রিয় রাজনীতিবিদ হিসেবে এধরনের ঐতিহাসিক বিষয়ে বার বার কথা বলা তার জন্য কোনো ক্রমেই সমীচীন হতে পারে না।নিদেনপক্ষে, তিনি যদি সত্যিই বাংলাদেশের ঐতিহাসিক রাজনৈতিক ঘটনার সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে চান,তবে তার জন্যে বুদ্ধিজীবী , লেখক, ইতিহাসবিদ বা রাজনীতিবিজ্ঞানীদের উপর নির্ভর করা উচিৎ।শুধু শুধু এ ধরনের অমীমাংসিত রাজনৈতিক ইস্যুতে পুনঃ পুনঃ মন্তব্যে করে তারেক রহমানের কোনো ক্রমেই নিজেকে অযাচিত রাজনৈতিক বিতর্কে জড়ানো ঠিক নয়।
তাকে মনে রাখতে হবে , শেখ মুজিব বা জিয়াউর রহমান বর্তমান বাংলাদেশের রাজনীতির প্রধাণ ইস্যু নয়। এখন বাংলাদেশের রাজনীতির মূল ইস্যুই হচ্ছে কত তাড়াতাড়ি একটি সবদলের অংশগ্রহণে শান্তিপুর্ণ নির্বাচনের মাধ্যেমে দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে সেই দিকে নজর দেয়া। তবে হ্যা, তারেক রহমান যদি মনে করেন দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠাই এখন প্রধাণ সমস্যা নয় , শেখ মুজিব বা জিয়াউর রহমান বিতর্কের সমাধানই রাজনীতির মুখ্য সমস্যা তাহলে কোনো কথা নেই।সেক্ষেত্রে তিনি দলীয় রাজনীতি বাদ দিয়ে, এধরনের নতুন নতুন রাজনৈতিক বিতর্কের অবতারণা করে একজন রাজনৈতিক বুদ্ধিজীবী হিসেবে তার বশংবদ উপদেষ্টাদের কাছে তৃপ্তির ঢেকুর গিলতে পারবেন, তবে আখেঁরে তাতে বিএনপি ও দেশের চলমান রাজনৈতিক সংকটের কোনো সমাধান আসবে না।
অতএব জনাব তারেক রহমানকে এখন সিদ্ধান্ত নিতে হবে, তিনি কি একজন রাজনৈতিক বুদ্ধিজীবী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করবেন ? না বিএনপি এবং দেশের চলমান রাজনৈতিক সংকট মোকাবেলায় সংগঠন যাতে ঐক্যবদ্ধভাবে অংশ নিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে পারে তাতে সক্রিয় ভুমিকা রাখবেন।
৬টি মন্তব্য ৫টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন্যায়ের বিচার হবে একদিন।

ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন
আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন
আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন
J K and Our liberation war১৯৭১


জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।