somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মোদের গরব, মোদের আশা, আ-মরি বাংলা ভাষা!

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:৩৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মাতৃভাষা প্রতিটি মানুষের কাছে ই মধুর; মাতৃভাষা মানুষের সত্তা ও অস্তিত্বের অপরিহার্য অবলম্ব। পৃথিবীতে মাতৃভাষা' র জন্য জীবন উৎসর্গ করার অনন্য দৃষ্টান্ত আমাদের রয়েছে বলেই ২১ শে ফেব্রুয়ারি ১৯৫২ ( আট ই ফাল্গুন ১৩৫৯বাংলা ) বাঙালির জন্য এতোটা তাৎপর্যময়। একুশে ফেব্রুয়ারি আমাদের নতুন করে আত্মপরিচয় লাভের দিন; বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে সেদিন তরুণেরা প্রান দিয়েছিলেন। সে-দাবির সাথে যুক্ত ছিল বাঙালিত্বের বোধ গণতান্ত্রিক চেতনা আর অসাম্প্রদায়িকতার আদর্শ। এই আদর্শের পথ ধরে ই স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয় একটা নতুন জাতি! নতুন রাষ্ট্র ! বাংলাদেশ।


মাতৃভাষা মানুষের জন্মগত অধিকার। একটি ভাষাভাষী' র উপর অন্য এক ভাষা চাপিয়ে দেয়ার এ ইতিহাস! পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল ঘটনা নিঃসন্দেহে। এই বিরল ঘটনা ঘটেছিল এই উপমহাদেশে- একটি জাতি যারা রাজনৈতিক ভাবে পরাধীন কিন্তু সহস্র বছরের সাংস্কৃতিক ইতিহাস ও ঐতিহ্য নিয়ে যাদের গর্ব অপরিসীম সেই বাঙালি জাতির সাথে । ইতিহাস থেকে জানা যায় ১৯৪৭ সালে ভারত ও পাকিস্থান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাত্র একমাস আগে ভারত এর আলিগর মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় তৎকালীন ভাইস- চ্যান্সেলর ডঃ জিয়া উদ্দিন আহমেদ প্রস্তাব করেন ভারত এ যেমন হিন্দি রাষ্ট্র ভাষা হতে চলছে, পাকিস্তানে ও তেমনি উর্দু রাষ্ট্র ভাষা হওয়া উচিত ডঃ জিয়া উদ্দিন আহমেদের বক্তব্যের তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা বিভাগ এর অধ্যাপক ডঃ মুহামদ শহীদুল্লাহ। তিনি বলেছিলেন অধিকাংশ জনসংখ্যার ভাষা হিসেবে বাংলাই পাকিস্তান এর রাষ্ট্র ভাষা হওয়া উচিত; যদি দ্বিতীয় রাষ্ট্র ভাষা গ্রহন করার প্রয়োজন হয়! তখন উর্দু র কথা বিবেচনা করা যেতে পারে।


ভাষা আন্দোলন ১৯৪৭ঃ

১৯৪৭ সালের ১৪/১৫ আগস্ট দ্বিজাতিতত্বের ভিত্তিতে দ্বিখন্ডিত হয় ভারতবর্ষ। জন্ম নেয় ভারত ও পাকিস্তান নামে দুটি রাষ্ট্র। পাকিস্তানের আবার দুটি অংশ- পশ্চিম পাকিস্তান এবং পূর্ব পাকিস্তান। জন্মলগ্ন থেকেই বাঙালিপ্রধান পূর্ব পাকিস্তানের শোষক, নির্যাতক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে পশ্চিম পাকিস্তান। হাজার বছর ধরেই ভারতবর্ষের পূর্বাঞ্চলীয় বঙ্গভূমির জনগণের মাতৃভাষা বাংলা হওয়া সত্ত্বেও।
কোন প্রতিষ্ঠান বা সংগঠনের পক্ষে সুস্পষ্ট ভাবে বাংলাভাষা কে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবি প্রথম উত্থাপন করে পাকিস্তান তমদ্দুন মজলিশ । ১৯৪৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা বিতর্ক নিয়ে এই পুস্তিকাটি প্রকাশ করে তমদ্দুন মজলিস। উক্ত পুস্তিকায় প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার উপড়ে তিন' টি প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়। প্রবন্ধগুলো লেখান অধ্যাপক কাজী মোতাহার হোসেন, আবুল মনসুর আহমেদ।



ভাষা আন্দোলন ১৯৪৮ঃ

১৯৪৮ সালের ২৩শে ফেব্রুয়ারি করাচিতে গণ পরিষদের অধিবেশনে প্রস্তাব আসে সদস্যগণ পরিষদে শুধু উর্দু বা ইংরেজিতে কথা বলতে পারবেন। পূর্ববাংলার প্রতিনিধি ধিরেন্দ্রনাথ দত্ত প্রস্তাব করেন, পরিষদে বাংলা ভাষাকে ও স্থান দিতে হবে। কিন্তু শাসক দলের বাংলা ভাষার বিপক্ষে অবস্থান এর কারনে সেদিন বাংলার পক্ষে সংশোধনী টি অগ্রাহ্য হয়ে যায় । প্রতিবাদে সোচ্চার হয়ে উঠে সর্বস্তর এর বাঙালি । পাকিস্তানের গণপরিষদের মুদ্রা ও ডাকটিকেটে বাংলা ব্যবহার না করা, নৌ -বাহিনীর নিয়োগ পরীক্ষা থেকে বাংলা বাদ দেয়ার প্রতিবাদে এবং অবিলম্বে বাংলা কে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা ও পূর্ব পাকিস্তান এর সরকারী ভাষা ঘোষণা করার দাবিতে ১১ মার্চ সাধারণ ধর্মঘট ডাকা হয়। ভোর থেকেই ছাত্র-জনতার বিক্ষুদ্ধ স্লোগানে মুখর হয়ে উঠে ঢাকার রাজপথ।

১১ই মার্চ ১৯৪৮ঃ
পুরানো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের পিছনে ( বর্তমান ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ) বাংলাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি' র দাবিতে ছাত্র- জনতার সচিবালয়মুখী মিছিল। প্ল্যাকার্ডে লেখা শিক্ষা ও কৃষ্টির গোড়ায় কুঠারাঘাত


১১ই মার্চের সচিবালয় মুখী ধর্মঘটের দিন প্রবেশপথে আবদুল গনি রোডের কাছে সারিবদ্ধ পুলিশ বাহিনীঃ


ছাত্র- জনতার মিছিলে বাধা প্রদানের জন্য হাইকোর্টের সামনে ব্যারিকেডঃ


দৈনিক আজাদ- ৯ই মার্চঃ


১৯৪৮ সালের ২১ মার্চ ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে ভাষণকালে কায়েদে আজম মোহম্মদ আলি জিন্নাহ ঘোষণা করলেন, “উর্দু, এবং একমাত্র
উর্দুই হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা। তার ঘোষণায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে গোটা বাংলা।
ঢাকার রেসকোর্স ময়দানের সমাবেশে বক্তৃতা রত পাকিস্তানের প্রথম গভর্নর জেনারেল মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ। এই সমাবেশে তাকে নাগরিক সম্বর্ধনা দেওয়া হয় এবং এই সমাবেশে তিনি ঘোষণা করেন "
Urdu only Urdu shall be the state language of Pakistan


দৈনিক আজাদ, ২৫শে মার্চঃ



ভাষা আন্দোলন ১৯৪৯ঃ
১৯৪৯ সালের ডিসেম্বরঃ- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র- ছাত্রী সংসদের প্রেস বিজ্ঞপ্তি ভাষা আন্দলনের পক্ষেঃ



ভাষা আন্দোলন ১৯৫১ঃ
১৯৫১ সেপ্টেম্বর ১০ঃ বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রভাষা কর্ম পরিষদ এর প্রচারিত লিফলেটঃ



ভাষা আন্দোলন ১৯৫২ঃ
৩০শে জানুয়ারি ১৯৫২ জনতার মিছিলের একাংশ- ইত্তেফাকে প্রচারিতঃ


৪ঠা ফেব্রুয়ারি ১৯৫২ সাপ্তাহিক ইত্তেফাকঃ


পাকিস্থানের প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দিন ২৬শে জানুয়ারি ১৯৫২ জিন্না'র চার বছর পূর্বেকার দেয়া ঘোষণা বহাল রাখলেন, কেবল উর্দু ই হবে পাকিস্তান এর রাষ্ট্রভাষা। তিনি আরও বলেন - আমি জিন্নাহ' র নীতিতে বিশ্বাসী। এভাবে স্তিমিত হয়ে যাওয়া ভাষা আন্দলনের পুনর্জাগরণ উঠে। রাষ্ট্র ভাষা সংগ্রাম পরিষদ ৪ ফেব্রুয়ারি কে প্রতিবাদ দিবস ঘোষণা করে।


প্রতিবাদ দিবসে ঢাকায় ছাত্রছাত্রীদের বিশাল মিছিলের একটি দৃশ্য। মিছিলের পিছনে পোস্টার সেখানে লেখা আছে নাজিম চুক্তি পালন কর নইলে গদি ছাড়' রাষ্ট্রভাষার সংগ্রাম আমাদের জীবন সংগ্রাম।


ঢাকায় বিক্ষুব্ধ জনতার স্বতঃস্ফূর্ত উত্তাল মিছিল প্রতিবাদ দিবস ৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২ঃ


৪ ফেব্রুয়ারি প্রতিবাদ দিবসে ছাত্র-জনতার জনসভার একটা অংশঃ


প্রতিবাদ দিবসে নবাবপুর রোড এ ফেব্রুয়ারি ৪ ১৯৫২ঃ


প্রতিবাদ দিবসে নবাবপুর রোডে পেশাজীবীদের শোভাযাত্রাঃ


প্রতিবাদ দিবসে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সামনের রাস্তায় সংগ্রামী ছাত্রছাত্রীদের ঢল ফেব্রুয়ারি ৪ ১৯৫২ঃ


প্রতিবাদ দিবসে রাস্তায় সংগ্রামী ছাত্রছাত্রীরা রাজপথে ফেব্রুয়ারি ৪ ১৯৫২ঃ


সাপ্তাহিক ইত্তেফাক ১০' ই ফেব্রুয়ারি ১৯৫২ঃ


ফেব্রুয়ারি ১১, পতাকা দিবসে উত্তাল জনস্রোতঃ


দৈনিক আজাদ, ২১ শে ফেব্রুয়ারি ১৯৫২ঃ


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; ২১শে ফেব্রুয়ারি ১৯৫২ সংগ্রামী ছাত্রদের ১৪৪ ধারা ভাঙার প্রস্তুতি


পুরাতন কলা ভবন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়১৪৪ ধারা ভাঙার জমায়েত; ২১শে ফেব্রুয়ারি ১৯৫২ঃ


ভাষা আন্দলন কে দমিয়ে রাখার জন্য আন্দলনরত ছাত্রছাত্রী দের বিরুদ্ধে সরকারের পুলিশ বাহিনী এবং তাদের রণ প্রস্তুতি;
২১শে ফেব্রুয়ারি ১৯৫২ঃ


ভাষা শহীদ রফিকউদ্দিনের কপালে গুলি লেগে মাথার খুলিসহ বের হয়ে আসা মগজ;
২১শে ফেব্রুয়ারি ১৯৫২ঃ


শহীদ রফিকের রক্তে রঞ্জিত ঢাকার রাজপথে, রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবি সংবলিত একটি লিফলেট;
২১শে ফেব্রুয়ারি ১৯৫২ঃ


দৈনিক আজাদ ২২শে ফেব্রুয়ারি ১৯৫২ঃ


২২শে ফেব্রুয়ারি শহীদদের স্মরণে অনুষ্ঠিত গায়েবানা জানাজায় নামাজের পর শুরু হয় শোকাতুর হাজার হাজার ছাত্র-জনতার বিশাল শোভাযাত্রাঃ


দৈনিক আজাদ ২৫শে ফেব্রুয়ারি ১৯৫২ঃ


২২শে ফেব্রুয়ারি বিক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া;
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃতি ছাত্র আবুল বরকত সহ শহীদের স্মরণে; বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের ছাদে কালো পতাকা উত্তেলনঃ


ঐতিহাসিক আম তলায় ছাত্রছাত্রীদের জমায়েত;২২শে ফেব্রুয়ারি ১৯৫২ঃ


ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রছাত্রীদের উদ্যোগে,২১শে ফেব্রুয়ারির শহীদের স্মরণে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ব্যারাকে নির্মিত হয় প্রথম স্মৃতিস্তম্ভ; ২৬শে ফেব্রুয়ারি শাসক গোষ্ঠী'র নির্দেশে তা ভেঙে দেয় পুলিশবাহিনীঃ


সাপ্তাহিক ইত্তেফাক ১লা মার্চ ১৯৫২ঃ


দৈনিক আজাদ, ২৬শে ফেব্রুয়ারিঃ

২১শে ফেব্রুয়ারি শহীদদের স্মরণে ৫ই মার্চ কে শহীদ দিবস ঘোষণা করেছিলেন ছাত্রনেতৃবৃন্দ;
৫ই মার্চের শহীদ দিবসে ঢাকার আরমানিটোলায় সমবেত জনসমুদ্রঃ


শহীদ দিবসে ঢাকা আজিমপুর কবরস্থানে ভাষা শহীদদের কবর জিয়ারতে আগত জনতা; ৫ই মার্চ ১৯৫২ঃ


ইডেন কলেজ বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রীদের স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ ২১শে ফেব্রুয়ারি ১৯৫২ঃ


ভাষা আন্দোলনের কবিতাঃ
২১শে ফেব্রুয়ারি ১৯৫২ সালের নির্মমতার প্রতিবাদে গ্রেফতারি পরোয়ানা নিয়ে চট্টগ্রামে বসে কবি মাহাবুবুল আলম চৌধুরী ১৭ পৃষ্ঠার দীর্ঘ এ কবিতা রচনা করেন; যা ছিল একুশ নিয়ে প্রথম লেখা কবিতাঃ


২১শে ফেব্রুয়ারি ১৯৫২ সালের ২৬শে ফেব্রুয়ারি প্রথম স্মৃতিস্তম্ভ ভেঙে ফেলার প্রতিবাদে লিখিত কবি আলাউদ্দিন আল আজাদের কবিতাঃ



ভাষা আন্দোলনের গানঃ

আব্দুল গাফফার চৌধুরীর রচিত শহীদ মিনারের গান যা প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৫৩ সালের একুশ উদযাপনের উপলক্ষে ঢাকা কলেজের ছাত্রদের প্রকাশিত এক লিফলেটেঃ


১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি ভাষা আন্দোলনের উপর রচিত জনপ্রিয় গান আব্দুল লতিফের রচনাঃ


ভাষা আন্দোলনের পক্ষে এবং বিপক্ষে পোস্টারঃ
২১শে ফেব্রুয়ারির পর তাৎক্ষনিক ভাবে এই পোস্টার দুটি আঁকেন শিল্পী মুর্তজা বশিরঃ


রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের বিরুদ্ধে সরকারি প্রোপাগান্ডাঃ


রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের দাবীতে ১০ই ফেব্রুয়ারি ১৯৫২ সালে তমুদ্দিন মজলিশের জনসভার লিফলেটঃ


২০শে ফেব্রুয়ারি ১৯৫২ সালে প্রকাশিত পূর্ববাংলা কমিউনিস্ট পার্টির প্রচারপত্রঃ


রাস্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ ত্রিপুরা বর্তমান কুমিল্লা শাখার প্রচার দফতর হতে ১৯৫২ সালে প্রকাশিত লিফলেট; যেখানে সরকারের বাংলাভাষা এবং বাঙালীদের স্বার্থ বিরোধী কর্মকাণ্ড তুলে ধরা হয়ঃ


মোজাহিদ বাহিনীর প্রচারিত লিফলেট ( বাংলার স্বার্থ বিরোধী )পাকিস্থান সরকারের পক্ষেঃ


ভাষা আন্দোলনে মুখ্য ভূমিকা পালনকারী কিছু পত্রিকাঃ


ন্যাশনাল আর্কাইভের সৌজন্যে, ২৪শে মার্চ ১৯৫২; ২১শে ফেব্রুয়ারির মর্মান্তিক ঘটনার বিবরণ দিয়ে সরকারি প্রেস নোটের প্রথম পৃষ্ঠাঃ



ন্যাশনাল আর্কাইভের সৌজন্যে, ২৪শে মার্চ ১৯৫২; ২১শে ফেব্রুয়ারির মর্মান্তিক ঘটনার বিবরণ দিয়ে সরকারি প্রেস নোটের দ্বিতীয় পৃষ্ঠাঃ



ভাষা আন্দোলনের কার্টুন; সাপ্তাহিক ইত্তেফাক ১৯৫২, ৩০ শে নভেম্বরঃ


সাপ্তাহিক ইত্তেফাক ১৯৫২ ১৪ ই মার্চ এবং ২১শে এপ্রিলঃ



ভাষা আন্দোলন ১৯৫৩ঃ

মাতৃভাষার জন্য আত্ম উৎসর্গকারী শহীদদের স্মরণে; রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের মোনাজাত ও শোভাযাত্রা; ২১শে ফেব্রুয়ারি ১৯৫৩ঃ


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; প্রভাতফেরি ২১শে ফেব্রুয়ারি ১৯৫৩ঃ


ঢাকার নবাবপুরে; প্রভাতফেরি ২১শে ফেব্রুয়ারি ১৯৫৩ঃ


বায়ান্নর ভাষা শহীদের স্মরণ ও বাংলাভাষার রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির জন্য শহীদ স্মৃতিস্তম্ভের পাশে সমাবেশ; ২১শে ফেব্রিয়ারি ১৯৫৩ঃ


বায়ান্নর ভাষা শহীদের স্মরণ ও বাংলাভাষার রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির জন্য শহীদ স্মৃতিস্তম্ভের পাশে সমাবেশ ও মিছলের উপর পুলিশের নির্বিচার হামলাঃ


প্রভাতফেরি; ২১শে ফেব্রিয়ারি ১৯৫৩ঃ


২১শে ফেব্রুয়ারি শহীদদের স্মরণে ১৯৫৩ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হল প্রাঙ্গণে শোকাহত ছাত্রসমাজঃ


১৯৫৩ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি চারুকলা ইনিস্টিটিউটের প্রতিবাদ ও শোভাযাত্রাঃ


গেণ্ডারিয়া থেকে আগত স্কুল ছাত্রদের প্রভাতফেরির পর সঙ্গীত পরিবেশনঃ


ভাষা শহীদ আবুল বরকতের কবরের পাশে তার শোকাতুর পিতামাতা১৯৫৩ ২১শে ফেব্রুয়ারিঃ


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন কলাভবনে নির্মিত শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ; লেখা রয়েছে -
শহীদের স্মরণে যুগে যুগে রক্তে মোদের সিক্ত হল পৃথ্বীতলঃ


কামরুননেসা গার্লস স্কুলের ছাত্রীদের নির্মিত শহীদ মিনার ২১শে ফেব্রুয়ারি ১৯৫৩ঃ


একুশের চেতনা কে ধ্বংস করার লক্ষ্যে শাসকদের শহীদ মিনার ভেঙ্গেদেয়া, আন্দোলনের কর্মীদের গ্রেফতার ছাত্র বহিষ্কার এবং দমন পীড়ন এর বিরুদ্ধে ২৫শে এপ্রিল ১৯৫৩; এই দিনে আয়োজিত হয় প্রতিবাদ সমাবেশঃ


প্রকাশনায় ভাষা আন্দোলনঃ
১৯৫৩ সালের মার্চে প্রকাশিত হাসান হাফিজুর রহমানের সম্পাদনায় ভাষা আন্দোলনের প্রথম সংকলন " একুশে ফেব্রুয়ারি" গ্রন্থের প্রচ্ছদ। যেথায় ২১শের কবিতা প্রবন্ধ, গল্প , গান ইতহাসে সংকলিত করে প্রকাশ করা হয়ঃ


১৯৫৩ শহীদ দিবসে প্রচারিত সাপ্তাহিক দৈনিকের বিশেষ ক্রোড়পত্রঃ



ভাষা আন্দোলন ১৯৫৪ঃ

১৯৫৪ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবসে ছাত্রজনতা র সম্মিলিত মিছিল, নেতৃত্ব পূর্ববাংলার জনপ্রিয় নেতা আতাউর রহমান খানঃ


১৯৫৪ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবসে মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের প্রভাতফেরিঃ


১৯৫৪েএপ্রিলে অনুষ্ঠিত পূর্ব বাংলা সাহিত্য সম্মেলনে ভাষা আনন্দলনের সপেক্ষে লিফলেট বিতরণঃ


১৯৫৪এপ্রিলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলায় ছাত্রছাত্রীদের সমাবেশঃ


১৯৫৪েএপ্রিলে অনুষ্ঠিত পূর্ব বাংলা সাহিত্য সম্মেলনে আগত কলকাতার সাহিত্যিকগণের শহীদ সমাধিস্থল পরিদর্শনঃ


১৯৫৪ শহীদ দিবসে প্রচারিত সাপ্তাহিক দৈনিকের বিশেষ ক্রোড়পত্রঃ



ভাষা আন্দোলন ১৯৫৫ঃ

১৯৫৫ সালে ঢাকায় ওস্তাদ আলাউদ্দিন খানের সাথে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন সহ অন্যরাঃ


শহীদ দিবসে পুষ্পাঞ্জলির উদ্দেশ্যে শিশুদের প্রভাতফেরি ১৯৫৫ঃ



ভাষা আন্দোলন ১৯৫৬ঃ

আনুষ্ঠানিক ভাবে উন্মোচনের পূর্বে; কালো কাপড়ে ঘেরা শহীদ মিনারের ভিত্তিপ্রস্তরঃ


শহীদ স্মৃতি অমর করে রাখতে বর্তমান শহীদ মিনারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করছেন, শহীদ বরকতের মা হাসিনা বেগম , জননেতা মাওলানা ভাসানী এবং সরকারের পক্ষে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী আবু হোসেন সরকার২১শে ফেব্রুয়ারি ১৯৫৬ঃ



আজকের এই লেখা এটুকুতেই, আশা করছি পরবর্তীতে সময় করে আরও কিছু তথ্য ও চিত্র নিয়ে চলে আসবো ব্লগে। ২১শে ফেব্রুয়ারির যে আত্মত্যাগ তা কিন্তু বৃথা যায় নি। আম্রা পেয়েছি আমাদের প্রাণের ভাষা বাংলায় কথা বলার অধিকার এবং পরবর্তী ধারায় বাংলার স্বাধীনতা।

পূর্বকথা এবং পরের কথাঃ

বেশ কিছু তথ্য আমি আমার সন্তানদের ২১শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস এবং বাংলাদেশের শোক দিবস সম্পর্কে ধারনা দেবার জন্য সংগ্রহ করি। পরবর্তীতে আমার হাতে আসে সি এম তারেক রেজার সংকলিত একুশ শিরোনামে একটি চমৎকার বই। দুইয়ে মিলে লিখেছিলাম ২০১৩ সালে একটি পোস্ট পরবর্তীতে রিপোস্ট ও করেছিলাম কিন্তু ছবি ব্লগ হিসেবে লিখিত এই পোস্টের কোন ছবি ই দেখা যাচ্ছিল না বিধায় সবকিছু সহ নতুন আঙ্গিকে নরুন রূপে সাজালাম।


উৎসর্গঃ

ব্লগের তিন জন প্রিয় প্রিয় এবং পরম শ্রদ্ধেয় ব্লগার, যারা বিভিন্ন সময়ে আমার লেখালিখি কে অসম্ভব আন্তরিকতার সাথে মন্তব্য করে উৎসাহ যুগিয়েছেন। আমার পূর্বের পোষ্ট পড়ে চমৎকার মন্তব্য করেছেন এবং অনুরোধ করেছিলেন ছবি সহ আবার প্রকাশ করতে।
ডঃ এম আলী ভাই, খায়রুল আহসান ভাই এবং আহমেদ জী এস ভাই।
আপনাদের সর্বাঙ্গীণ সাফল্য এবং সুস্থ্যতা কামনা করছি; আমাদের সাথে ব্লগে এভাবেই ব্লগারদের উৎসাহ হয়ে থাকুন আজীবন।



ছবি কৃতজ্ঞতাঃ
গুগুল এবং একুশ ভাষা আন্দোলনের সচিত্র ইতিহাস।

সর্বশেষ এডিট : ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ২:০৬
৫৫টি মন্তব্য ৫৫টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অন্যায় অত্যাচার ও অনিয়মের দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ

লিখেছেন রাজীব নুর, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:৪০



'অন্যায় অত্যাচার ও অনিয়মের দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ'।
হাহাকার ভরা কথাটা আমার নয়, একজন পথচারীর। পথচারীর দুই হাত ভরতি বাজার। কিন্ত সে ফুটপাত দিয়ে হাটতে পারছে না। মানুষের... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

দ্য অরিজিনস অফ পলিটিক্যাল জোকস

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:১৯


রাজনৈতিক আলোচনা - এমন কিছু যা অনেকেই আন্তরিকভাবে ঘৃণা করেন বা এবং কিছু মানুষ এই ব্যাপারে একেবারেই উদাসীন। ধর্ম, যৌন, পড়াশুনা, যুদ্ধ, রোগ বালাই, বাজার দর থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×