সবুজাভ চিলতে আবরণে এক ঝুমকোয়
সহোদরের সাথে আলোছায় ভাগাভাগি করে সে
ঠিক যেনো মায়ের গন্ধমাখা পুরাতন আচঁলে মোড়ানো,
কুশিগুটি সব দুধসাদা রঙে চোখ ফোটায়
বড্ড তাড়াহুড়ো পৃথিবীর রঙ রুপ গন্ধ নেবার।
কেউকেউ ঝরেযায় রোদ্রতাপে অথবা অবহেলায়
বাকিরা এক দুয়ে করে পাপড়ি মেলে
চঞ্চলা বাতাসে কলকাকলি তে যায় কৈশোর
পূর্ন প্রস্ফুটন তাকে করে আনমনা অকারন!
একই বৃত্তের কেউ পায় প্রজাপতি ভ্রমর অথবা মৌমাছি প্রেম
কেউ পিপিলিকা মোহে কাটায় তারুণ্য নিষ্ফল।
ঢলেঢলে দোলদুলে এবারে সে দেখা দেয়
শ্যামলাভ মুকুটে আপন মহিমায়
চকচকে আয়না সম মসৃন
গাঢ় করে নিজেকে সূর্যের স্নানে সবুজ থেকে সবুজতর
দেখ সে কোন শিল্পীর রঙের কৌটো পুরোটাই ধারণ করে নিজেতে।
গুচ্ছেগুচ্ছে গলাগলি করে থাকা একঝুড়ি বাকা চাঁদ হয়ে
ধরনীতে নেমে আসে একেএকে -
ঐ মোহে রুপঢঙে মনছুঁয়ে যায় সবার
এরপর তুমি তাকে চাও-
জোরাজুরি করলেই পস্তাবে বারংবার।
ঠিক যেন মেয়েদের মনের আদলে
তবে যদি ভালোবেসে তারে পাতে নাও
বেহেশতি স্বাদ তুনে আনে খাবারে।
দেখ শেষবেলায় নিজেকে পরিপক্ক লালিমায় তুনে ধরে
আর বাড়ায় তীব্রতা ঝালঝাল লঙ্কা নামে
পিসে নিয়ে মাখো তারে টুকরো ইলিশে
মচমচে করে তারে সাজাও ভোজে অথবা কাঁচা লংকায় পান্তাভাতে।
মরিচ ফুল! রূপ বৈশিষ্টে জন্মকথায় লিখে রাখে ঝাল আর ঝাঁঝ !
ছবিঃ নেট কালেকশন।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:৩৯