শাম - ক্রিমিয়া - গাযওয়ায়ে হিন্দ ??
--------------------------------
ﻭَﺇِﺫْ ﻳَﻤْﻜُﺮُ ﺑِﻚَ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻛَﻔَﺮُﻭﺍْ ﻟِﻴُﺜْﺒِﺘُﻮﻙَ ﺃَﻭْ ﻳَﻘْﺘُﻠُﻮﻙَ ﺃَﻭْ
ﻳُﺨْﺮِﺟُﻮﻙَ ﻭَﻳَﻤْﻜُﺮُﻭﻥَ ﻭَﻳَﻤْﻜُﺮُ ﺍﻟﻠّﻪُ ﻭَﺍﻟﻠّﻪُ ﺧَﻴْﺮُ ﺍﻟْﻤَﺎﻛِﺮِﻳﻦَ
"আর কাফেরেরা যখন প্রতারণা করত আপনাকে বন্দী অথবা হত্যা করার উদ্দেশ্যে কিংবা আপনাকে বের করে দেয়ার জন্য তখন তারা যেমন পরিকল্পণা করত তেমনি, আল্লাহও পরিকল্পণা করতেন। বস্তুতঃ আল্লাহর
পরিকল্পণা সবচেয়ে উত্তম"। (সূরা আনফালঃ ৩০)
খবরঃ
ইউক্রেন নিয়ে রাশিয়ার ভূ- রাজনৈতিক লক্ষ্য রয়েছে। শুধু ইউক্রেনই নয়, ন্যাটো তথা ইউরোপীয় ইউনিয়নে রাশিয়ার সীমান্তসংলগ্ন দেশগুলোর অন্তর্ভুক্তি রাশিয়ার ভূ- কৌশলগত অবস্থানকে দুর্বল করবে। সে ক্ষেত্রে ন্যাটোর পরিধি রাশিয়ার সীমান্ত পর্যন্ত বিস্তৃত হবে। রাশিয়া কিছুতেই এমনটা হতে দিতে রাজি নয়। রাশিয়ার কাছে ইউক্রেন অন্যান্য ভূ- রাজনৈতিক ও ভূ-কৌশলগত কারণে অতীব গুরুত্বপূর্ণ। রাশিয়ার পশ্চিমমুখী গ্যাস পাইপলাইন ইউক্রেনের মধ্য দিয়ে ইউরোপে প্রবাহিত হচ্ছে। ইউক্রেনের ইইউতে অন্তর্ভুক্তি রাশিয়ার অস্ত্র
উৎপাদন ও রপ্তানিতে বাধার সৃষ্টি করবে। প্রসঙ্গত, তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন, পরে রাশিয়ার অন্যতম প্রধান অস্ত্র উৎপাদনকারী অঞ্চল ছিল ইউক্রেন। ইউক্রেনে রাশিয়ার প্রভাবের সমাপ্তি ঘটলে ন্যাটোর পর্যবেক্ষণে থাকবে রাশিয়ার কৃষ্ণসাগরীয় নৌঘাঁটি-সাভাস্টোপোল, যা রাশিয়ার পক্ষে মেনে নেওয়া কঠিন।
এখানে উল্লেখ্য, সাভাস্টোপোল থেকে রাশিয়া বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলের সঙ্গে, বিশেষ করে সিরিয়ার সঙ্গে সরবরাহ লাইন চালু রেখেছে। অনেক বিশেষজ্ঞই মনে করেন, এ সংঘাতপূর্ণ অবস্থান এবং ইউক্রেনের ইইউতে অন্তর্ভুক্তি সিরিয়াতে তথা ইরানের সঙ্গে রাশিয়ার সরবরাহ লাইন বিঘ্নিত করবে। এ কারণেই মনে হয় ন্যূনতমপক্ষে রাশিয়া চাইবে স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল ক্রিমিয়াকে ইউক্রেন থেকে রাশিয়ার সঙ্গে অন্তর্ভুক্তির।
আর সেটা করতে হলে শক্তি প্রয়োগের বিকল্প নেই। আলোচনার মাধ্যমে এমনটি হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ।
যুক্তরাষ্ট্র এবং পশ্চিমা বিশ্ব রাশিয়াকে কোণঠাসা করার সব উপায় অবলম্বন করবে। অপর দিকে রাশিয়ার সঙ্গে চীনের সম্পর্ক যেকোনো সময় থেকে বর্তমানে কৌশলগত পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে। সে ক্ষেত্রে চীন-রাশিয়ার অক্ষ
গড়ে উঠতে পারে। শুরু হতে পারে নতুন ধরনের শীতল যুদ্ধ, যা প্রভাবিত করবে আজকের একক বিশ্বকে। চীন-
রাশিয়া অক্ষে উপমহাদেশের জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কাও নাকচ করা যায় না। ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক ঐতিহাসিক। পূর্ব-পশ্চিমের সংঘাত অথবা শীতল লড়াইয়ের ঠান্ডা ছোঁয়া বঙ্গোপসাগরের তটকেও আচ্ছন্ন করতে পারে। স্মরণযোগ্য যে বর্তমানেও ভারতের নৌবাহিনীতে রাশিয়ার প্রযুক্তি এমনকি অতি সম্প্রতি রাশিয়া থেকে পাওয়া পারমাণবিক সাবমেরিন এবং এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার যুক্ত হয়েছে। কাজেই ভারত মহাসাগরে রাশিয়ার প্রভাব নেই, তেমনটি নয়। ফলে শীতল হাওয়ার যে ঝড় উঠবে, তা সুদূর চীন থেকে উপমহাদেশেও অনুভূত হবে। সে পরিস্থিতিতে বিশ্বে নতুন মেরুকরণের সূত্রপাত হতে পারে। কাজেই এ সংঘাত পরিস্থিতি শুধু ইউরোপের বিষয়ই নয়, সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান সমগ্র বিশ্বের শান্তির জন্য প্রয়োজন। এ কারণেই জাতিসংঘ তাদের উদ্বেগের সঙ্গে সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানিয়ে ইউক্রেনের সার্বভৌমত্বের কথা স্মরণ করিয়েছে।
আমরা মনে করি, একটি রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা যেমন ওই রাষ্ট্রের দায়িত্ব, তেমনি বর্তমান বিশ্বব্যবস্থারও দায়িত্ব। অন্যথায় ভেঙে পড়তে পারে বিশ্বব্যবস্থা। হরণ হতে পারে ক্ষুদ্র রাষ্ট্রগুলোর সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা। পূর্ব
বা পশ্চিমা শক্তির ইচ্ছায় নয়, ইউক্রেনের জনগণের মতামতেই নিষ্পত্তি হোক ইউক্রেনের সমস্যা।অন্যথায় পুনরায় শীতল যুদ্ধে জর্জরিত হবে বিশ্ব।
সুত্রঃ চেতনার আলো। ৮ মার্চ ২০১৪।
মন্তব্যঃ
১। আল্লাহর ইচ্ছায় ক্রিমিয়া ইস্যু হতে পারে শামে মুজাহিদীনদের বিরুদ্ধে একত্রিত হওয়া চির বৈরী আমেরিকা ও
রাশিয়া শিবিরে ভাংগনের শুরু। অনেকটা আহযাবের যুদ্ধের ঝড়ের মতো। আর আল্লাহ উত্তম পরিকল্পণাকারী।
২। এতদিন পর রাশিয়া মার্কিনিদের বিরুদ্ধে গলা উচু করে দাঁড়াতে পেরেছে কারণ আল্লাহর ইচ্ছায় আফগানিস্তান ও ইরাকে মুজাহিদীনদের সাথে যুদ্ধ করে তাদের অর্থনীতি ধ্বংশপ্রায়!! এটাই হচ্ছে আল্লাহর বারাকাহ।
৩। সামরিক কৌশলের দিক থেকে বর্তমান এক-কেন্দ্রিক বিশ্ব ব্যবস্থা ভেংগে বহু-কেন্দ্রিক বিশ্ব গড়ে উঠা আসন্ন খেলাফত ব্যবস্থার জন্য খুবই উপকারী প্রমাণিত হতে পারে।
৪। এর মাধ্যমে শুরু হতে পারে আল- মালহামা এর ভূমিকাস্বরুপ 'বোঁচা নাক ওয়ালাদের সাথে যুদ্ধ'।
(যেহেতু রাশিয়ার সঙ্গে চীনের সম্পর্ক যেকোনো সময় থেকে বর্তমানে কৌশলগত পর্যায়ে উন্নীত
হয়েছে এবং দুটি দেশই সমাজতান্ত্রিক চেতনাধারী)
৫। এই উপমহাদেশে এর প্রভাব পড়তে পারে এই রকম যে - আমেরিকা তার 'পুতুল পাকি সরকারকে' বাধ্য / প্রলুব্ধ করবে সেখানকার মুজাহিদীনদের সাথে আপাতত সংঘাতে না গিয়ে বরং রাশিয়ার অক্ষে থাকা ভারতকে 'কাশ্মির' / 'লাইন অব কন্ট্রোল' এ ব্যস্ত রাখতে - যাতে তা উপমহাদেশে প্রভাব বিস্তার করতে না পারে।
৬। ফলশ্রুতিতে পাকিস্তানের পেটোয়া বাহিনী ও মুজাহিদীনরা যার যার নিজস্ব উদ্দেশ্যে যুদ্ধে নামবে আমাদের
কাংখিত 'গাযওয়ায়ে হিন্দে'। ফলাফলঃ আফগান-পাকিস্তানে মুজাহিদীনদের শিবিরে গণজোয়ার ইনশাআল্লাহ।
আর বাংলাদেশের মুজাহিদীনরা এই সময় একটি বড় সুযোগ পাবেন। কারণ বাংলাদেশের পুতুল / গিনিপিগ
সরকার তখন যে পক্ষেই যাক, সেটা অন্য পক্ষের বন্দুকের নলের মুখে যেতে হবে। আল্লাহ যেন, বাংলাদেশের এই অসহায় মুসলিম জনগোষ্টীকে এমন একটি নেয়ামত থেকে বঞ্চিত না করেন।
আমরা কি প্রস্তুত এই সম্ভাব্য পরিস্থিতির জন্য? আমরা কি প্রস্তুত এত বড় পরিস্থিতিকে আমাদের পক্ষে নেয়ার জন্য? এখন শুধু বাস্তবিক প্রস্তুতি, প্রস্তুতি আর প্রস্তুতি। আর ঘরে বসে থাকার সময় নেই। হে আল্লাহ, আপনি আমাদেরকে আপনার দ্বীন এর খেদমাত করার জন্য যোগ্য হিসেবে গড়ে নিন। আপনি আমাদের একমাত্র মাওলা।
৭। "একটি রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা যেমন ওই রাষ্ট্রের দায়িত্ব, তেমনি বর্তমান বিশ্বব্যবস্থারও দায়িত্ব। অন্যথায় ভেঙে পড়তে পারে বিশ্বব্যবস্থা" -হ্যাঁ আমরা এটাই চাই। আমরা চাই এই বিশ্বব্যবস্থা পুরোপুরি ধুলোয়
মিশে যাক। আমরা চাই Savagery. Then we want to go for 'Management of Savagery'.
নোটঃ যারা এখনো শাইখ আবু বকর নাযী (হাফিজাহুল্লাহ) এর 'Management of Savagery' বইটি পড়েন নি, অবশ্যই পরে নিবেন। গায়েব জানেন একমাত্র আল্লাহ। বর্তমান পৃথিবির বিভিন্ন ঘটনার আলোকে আমরা হাদিসের সাথে মিলিয়ে সম্ভাব্য পরিস্থিতি নিয়ে শুধু ধারনা করতে পারি। আল্লাহ যেনো এই ধারনাগুলোকে বাস্তবে পরিণত করে দেন অথবা এই ধারনার চেয়েও উত্তম পরিস্থিতির সৃষ্টি করে দেন।
আমীন।..... collected

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




