দালানের অবস্থান বাঘা উপজেলা সদর থেকে ৭ কি.মি. দূরে মূল পদ্মায়। আজ শুক্রবার সকালে আটকে যাওয়া জাল ছাড়াতে গিয়ে এক গ্রামবাসী ওই দালানের সন্ধান পান। সদ্য আবিষ্কৃত দালানের সময় ও ইতিহাস তাক্ষণিকভাবে জানা সম্ভব হয়নি। নদী ভাঙন বা ভূমি ধ্বসে প্রাচীন ভবনটি নদীর মধ্যে দেবে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
স্থানীয় গড়গড়ি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান চর চকরাজাপুর গ্রামের বাসিন্দা আজিজুল আজম ও বাবুল শিকদার জানান, আজ শুক্রবার সকালে নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে পানিতে আটকা পড়ে স্থানীয় জেলে রহম আলীর জাল। সে জাল ছুটাতে গিয়ে পানির নিচে ছাদওয়ালা বাড়িটি দেখতে পান তিনি। বাড়ির মধ্যে মূল্যবান কোন সম্পদ থাকতে পারে মনে করে কাউকে কিছু না বলে ছাদের ইট খুলে নদীর পাড়ে আনতে শুরু করেন তিনি। ইট বয়ে নিয়ে আসার দৃশ্য সাধারণ মানুষের নজরে আসলে থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে খোলা ইট হেফাজতে নিয়ে আর ইট না খোলার নির্দেশ দেয়।
স্থানীয় বাসিন্দা আজিজুল আজম জানান, প্রতিটি ইটের দৈর্ঘ্য ১২ ইঞ্চি, প্রস্থ ৬ ইঞ্চি ও চওড়া চার ইঞ্চি। একটি ইটের ওজন ৬ কেজি। ওই দালানের মধ্য থেকে পিতলের একটি বালতি, তীর-ধনুক ও মানুষের হাড় পাওয়া গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সাবেক পৌর চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক জানান, পানিতে ডুব দিয়ে তিনি ঘরের দরজা জানালা বন্ধ পেয়েছেন। সেগুলো মূল্যবান কাঠের বা লোহার তৈরি হতে পারে বলে ধারণা করছেন তিনি। আরো মনে করছেন, কমপক্ষে ২শ হাত এলাকা নিয়ে দালানগুলোর অবস্থান। দালানের ছাদ বর্তমানে এক থেকে দেড় ফুট পানির নিচে রয়েছে। স্বচ্ছ পানিতে পুরো ছাদ দেখা যচ্ছে। তবে পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে অনেকে মূল্যবান সম্পদ পাওয়ার আশায় মাঝে মধ্যে পানিতে ডুব দিয়ে কিছু খুঁজে ফিরছেন অনেকে।
বাঘা থানার ওসি আমিনুর রহমান জানান, প্রাচীন সম্পদের কোন ক্ষতি যাতে না হয় সে ব্যাপারে তারা ব্যবস্থা নিয়েছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেওয়ান শাহরিয়ার বলেন, পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। বিষয়টি প্রত্নতত্ত্ব বিভাগকে জানানো হবে
রাজশাহী, ২৬ মার্চ (শীর্ষ নিউজ ডটকম)
রাজশাহী, ২৬ মার্চ (শীর্ষ নিউজ ডটকম)
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে মার্চ, ২০১০ রাত ১১:৪০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




