~~~স্বপ্নের হাত ধরে হেঁটে চলা~~~
২৪ শে জুন, ২০১০ রাত ২:৫৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমি রনি, ঢাকা শহরের পথে পথে ঘুরে ফুল বিক্রী করি।সেই কাক ডাকা ভোরে ঘুম থেকে উঠে শাহবাগ থেকে পাইকারী দামে তাজা ফুল কিনে সারাদিন সেগুলো বিক্রী করি।আর রাতে রাস্তার ধারে কোনো এক জায়গায় ঘুমিয়ে পরি।এই পৃথিবীতে আমার আপন বলতে কেউ নেই।মা-বাবা, ভাই-বোন কেউ নেই আমার।যেদিন থেকে বুঝতে শিখেছি সেই দিন থেকেই শুধু জানি আমি একজন পথশিশু।লোকে আমাকে এই নামেই ডাকে।ঢাকা শহরের বিভিন্ন রাস্তায় এবং বিভিন্ন পার্কে আমি ফুল বিক্রী করতে যাই।বিশেষ কোনো দিবস থাকলে আথবা রাস্তায় ট্রাফিক জ্যাম বেশি থাকলে আমার ফুল বিক্রী ভালো হয়।একদিন কাওরান বাজারে ট্রাফিক সিগন্যাল এ ফুল বিক্রী করছিলাম।কিছুদূর যেতেই চোখে পড়লো একজন বড় সাহেব এর বিশাল দামী পাজেরো গাড়ি।আমি মনে মনে খুশি হলাম এই জন্য যে সাহেব মনে হয় আমার থেকে ফুল কিনবে।এই ভেবে আমি কাছে যেয়ে সাহেব এর গাড়ির জানালায় টোকা দিলাম।সাহেব এর গাড়ির জানালা আস্তে আস্তে খুলতে লাগলো।আমিও ফুল গুলো বড় সাহেবের দিকে বাড়িয়ে দিলাম কেনার জন্য।হঠাৎ বড় সাহেব হাতের পাঁচ আঙ্গুল দিয়ে আমার গালে জোড়ে এক চড় বসিয়ে দিলেন।চমকে উঠলাম আমি।যেই হাত থেকে আমি ফুল বিক্রীর টাকা সংগ্রহ করবো ভেবেছিলাম সেই হাত থেকেই আপ্রত্যাশিত ভাবে টাকার বদলে পেলাম চড়।কান্নায় আমার দুচোখ বেয়ে পানি গড়িয়ে পরতে থাকলো আর বড় সাহেব আনবরত আমাকে আকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ করে যেতে লাগলেন।বিশ্বাস করুন আমার তেমন কোনো দোষ ছিলোনা।আমার আপরাধ ছিল একটিই আর সেটি হোলো আমার নিশ্বাস বড় সাহেবের দামি গাড়ির জানালা নষ্ট করে দিয়েছে।হঠাৎ ট্রাফিক সিগন্যাল এর লাল বাতি নিভে সবুজ বাতি জ্ব্লে উঠলো।আমি বড় সাহেবের গাড়ির কাছ থেকে চলে এসে রাস্তার ধারে এসে দাড়ালাম,বড় সাহেব এর গাড়ী ও চলে গেলো।আমি পথের ধারে বসেই আমার যন্ত্রনায় আক্রান্ত গাল ধরে কাঁদছিলাম আর ভাবছিলাম,মানুষ এতো নির্দয় কিভাবে হতে পারে।আমি তো কোনো আন্যায় করিনি তবুও কেনো আমাকে আঘাত পেতে হলো ? বড় সাহেবের হাত আমার গালে আঘাত করার সাথে সাথে আমার মনেও আঘাত করলো।সেই দিন থেকে আমি সিদ্ধান্ত নিলাম আমি একদিন বিশাল বড়লোক হবো।আমাকে বড়লোক হতে হবে।আমারো একদিন বড়সাহেবের মতো বিশাল দামি গড়ী থাকবে।সেই গাড়ীর জানালা আমি সবসময় খোলা রাখবো।আর গাড়ীর ভেতরে রাখবো অনেকগুলো টকটকে লাল তাজা গোলাপ ফুল।আমার গড়ীর কাছে এসে কেউ ফেরৎ যাবেনা।আমার মতো কাউকে চড় খেতে হবেনা।আমার গড়ীর জানালা দিয়ে আমি সবাইকে মমতা আর ভালোবাসা বিলিয়ে দেবো।এভাবে ভাবতে ভাবতে কখন যে পথের ধারেই ঘুমিয়ে পরলাম টের পেলাম না।ঘুমের মাঝেই আমি যাত্রা শুরু করলাম নতুন গন্তব্যে।
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
লিখেছেন
নতুন নকিব, ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:২৬
হাদিকে গুলি করলো কে?

ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা ৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী রাজপথের অকুতোভয় লড়াকু সৈনিক ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে গুলিবিদ্ধ...
...বাকিটুকু পড়ুন
বিজিবির সাবেক মহাপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে দেশবাসী একটা নতুন শব্দ শিখেছে: রুট ভেজিটেবল ডিপ্লোম্যাসি। জুলাই আন্দোলনের পর যখন সবাই ভাবছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এমন...
...বাকিটুকু পড়ুন
বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্ব নিকৃষ্ট দখলদার দেশ পরিচালনা করছে । ২০২৪-এর পর যারা অবৈধ অনুপ্রবেশকারী দিয়ে দেশ পরিচালনা করছে । তাদের প্রত্যেকের বিচার হবে এই বাংলার মাটিতে। আর শুধুমাত্র...
...বাকিটুকু পড়ুনলিখেছেন
শ্রাবণধারা, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:১৮

হাদির হত্যাচেষ্টা আমাদের সাম্প্রতিক রাজনীতিতে একটি অশনি সংকেত। জুলাই ২০২৪ আন্দোলন-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের দ্বিধাবিভক্ত সমাজে যখন নানামুখী চক্রান্ত এবং রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অন্তর্কলহে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও আয়-উন্নতির গুরুত্বপূর্ন প্রশ্নগুলো...
...বাকিটুকু পড়ুন
যখন আমি থাকব না কী হবে আর?
থামবে মুহূর্তকাল কিছু দুনিয়ার?
আলো-বাতাস থাকবে এখন যেমন
তুষ্ট করছে গৌরবে সকলের মন।
নদী বয়ে যাবে চিরদিনের মতন,
জোয়ার-ভাটা চলবে সময় যখন।
দিনে সূর্য, আর রাতের আকাশে চাঁদ-
জোছনা ভোলাবে...
...বাকিটুকু পড়ুন