আগামী নির্বাচনে কে জিতবে আমরা জানি না। আওয়ামি লীগ, নাকি বিএনপি, নাকি আমাদের স্বাভাবিক চিন্তা ভাবনার বাইরে অন্য কিছু হবে?
যেটাই হোক বর্তমান পরিস্থিতি ও আওয়ামী লীগের গত ১৫ বছরের শাসনের ইতিহাস বিচবেচনায় নিয়ে কিছু প্রিডিকশান করি। পরবর্তীতে কী হবে সেটা সময় বলে দিবে। পরবর্তীতে মিলিয়ে দেখা যাবে।
আওয়ামী লীগের সাথে চায়না ও রাশিয়ার সম্পর্ক ভালোই যাচ্ছে। তবে আওয়ামী লীগ সরকারের সাথে আমেরিকার কিছু টানাপোড়েন আমরা দেখছি।
আমার ধারণা আওয়ামী লীগ ভোটের আগে আমেরিকার সাথে চলা এই ঠাণ্ডা সম্পর্ক যে কোন ভাবেই হোক উষ্ণ করে নিবে। আমেরিকার সাথে স্বাভাবিক একটা সম্পর্ক তৈরী হওয়ার পর এমন একটা রাজনৈতিক পরিস্থিতি তৈরী হবে যে পরিস্থিতিতে বিএনপিসহ সব দলই নির্বাচনে আসবে।
সাংবিধানিক কারণে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে দায়িত্ব হস্তান্তর করা হবে না।
তবে নির্বাচনকালীন সরকার তৈরী হওয়ার সম্ভাবনা আছে কিনা এমন প্রশ্নে আমার মনে হয় সেটাও হবে না। ২০১৪ ও ২০১৮ সালে যেভাবে নির্বাচন হয়েছে এবারও সেভাবে হবে অর্থাৎ আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনেই নির্বাচন হবে।
এবং সবচেয়ে বড় প্রশ্ন এ নির্বাচনের ফলাফল কী হবে?
আমার ধারণা আবার আওয়ামীলীগই ক্ষমতায় আসবে। শেখ হাসিনা যে রাজনৈতিক প্রাজ্ঞতা দিয়ে "আওয়ামী লীগ" কে একটা ধর্মে পরিণত করতে সমর্থ হয়েছে এবং যেভাবে সে গত ১৫ বছরে প্রতিটা সেক্টরে একটা কমপ্লিট সেট আপ তৈরী করতে সমর্থ হয়েছে সে প্রেক্ষিতে বলা যায় এবারও আওয়ামী লীগ নির্বাচনী বৈতরণী পার হয়ে ক্ষমতায় আসবে।
শুধু আওয়ামী লীগের স্ট্রেন্থের কারণেই যে তারা ক্ষমতায় আসবে এমন না বরং তাদের জয়ী হওয়ার পালে হাওয়া দিবে বিএনপির দূর্বলতা।
বিএনপির দূর্বলতা অনেক।
তারা কার পিছনে বা কার জন্য নির্বাচনের লড়াইয়ে অংশ নিবে তা তারা এখনও স্পষ্ট জানে না। কে হবে তাদের কাণ্ডারী- খালেদা জিয়া, তারেক, তারেকের স্ত্রী, নাকি কোকোর স্ত্রী। এদের প্রত্যেকেরই প্রধানমন্ত্রী না হতে পারার অনেকগুলো কারন আছে।
বিএনপির সাংগঠনিক এই অপরিচ্ছন্নতা আওয়ামী লীগের শক্তি হিসেবে কাজ করবে।
বিএনপির কী করা উচিৎ বলে আমি মনে করি এমন একটা লেখা আগে পোস্ট করেছি। আমার ধারণা সেগুলো করলে বিএনপি ঘুরে দাঁড়াতে পারবে।
আগের লেখায় বিএনপির করণীয় একটা বিষয় আমি যোগ করিনি, সেটা এখানে বলছি। তা হলো তারেক রহমানের দেশে ফিরে আসা।
তারেক রহমান যদি এ মুহূর্তে দেশে ফিরে এসে সর্বস্তরের জনগনের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে রাজনীতির ময়দানে ঝাপিয়ে পড়তে পারে তাহলে বিএনপির কামব্যাক করাটা সহজ হয়ে যায়। হ্যাঁ, সে আসার সাথে গ্রেপ্তার হতে পারে। তাতে ক্ষতি নেই। সেটাও কাজে লাগবে।
তবে দেশে আসার সাথে সরকার তাকে যেন হেনস্তা না করতে পারে আশা করি এমন একটা লবিং সে গত ১৫ বছর ধরে লন্ডনে বসে করেছে। যদি তা না করে থাকে তাহলে তার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন বাস্তবায়ন হওয়া উচিৎ কিনা বা শেখ হাসিনার সাথে কমপিট করে তার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যোগ্যতা আছে কিনা সে ব্যাপারে প্রশ্ন থেকে যায়।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৫:০৫