somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অগণিত টাকার মালিক হলে কী করবেন? কেন করবেন?

২০ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:০১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



যদি আপনার মাসিক বেতন এক কোটি টাকা হয় তাহলে সে টাকা দিয়ে আপনি কী করবেন?

এক বছর পর আপনার বেতন হবে প্রতি মাসে একশত কোটি টাকা এবং এভাবে প্রতিবছর আপনার বেতন যদি ১০০ গুণ বাড়তে থাকে তাহলে এই টাকা আপনি কীভাবে কাজে লাগাবেন?

এখন ধরেন কোন শখ মিটাতে যেয়ে আপনার মনে হলো আপনার যে বেতন আছে তাও আপনার ঐ শখ মিটাতে যথেষ্ট কিনা আপনি সন্দিহান, এমন পরিস্থিতি তৈরী হলে ঐ শখ আপনার এমপ্লয়ারই পূরণ করবে। আপনি শুধু আপনার শখের কথাটা জানাবেন।

এইটা মানুষকে একটা ঝাঁকি দেওয়ার পরীক্ষা।

এই চিন্তা পরীক্ষার দ্বারা আমাদের চিন্তা করার ক্ষমতার সীমাবদ্ধতা টের পাওয়া যায়।

এই প্রশ্ন আমি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জনকে করেছি।

প্রশ্নের উত্তর যা পেয়েছি তাতে দেখেছি উত্তরের প্যাটার্ন প্রায় একইরকম।

উল্লেখ্য এই প্রশ্ন করলে সহজে মানুষের কাছ থেকে উত্তর পাওয়া যায় না। উত্তর দিতে চাইলেও সহজে উত্তর দিতে পারে না। আর সহজভাবে সাথে সাথে এই টাকা ব্যবহারের কয়েকটি পরিকল্পনা যদি কেউ বলেও ফেলে তাতে দেখা যায় সে শখ পূরণে হয়ত দুই বছরের বেতনই যথেষ্ট।

সে যদি দুই বছর পর আরো দশ বছর বাঁচে তাহলে এই টাকা দিয়ে কী হবে তা সে জানে না। জানে না বলতে পরিষ্কারভাবে তার চাওয়াটা ব্যক্ত করতে পারে না।

আর সাধারণত এই প্রশ্নের উত্তর মানুষ ইয়ার্কি ফাইজলামি করে স্কিপ করে যায়। অধিকাংশ মানুষই উত্তর দিতে চায় না। এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য ব্রেনে যে চাপটুকু পড়বে সেটুকু দিতে তারা নারাজ।

তারপরও যারা উত্তর দেয় তারা যা সাধারণত বলে-

১. নিজে বাড়ি করবে

২. গাড়ি কিনবে

৩. ইউরোপ, আমেরিকা, দুবাইসহ যত আন্তর্জাতিক শহরের নাম জানে সেখানে বাড়ি করবে

৪. বিশ্বের যত সুন্দর জায়গা আছে সেসব জায়গায় বাড়ি করবে

৫. লতায় পাতায় আত্মীয় স্বজন যারা আছে সবার বাড়ি গাড়ি করে দিবে

৬. সব আত্মীয় স্বজনের কর্মসংস্থান করবে বা তাদের বসে বসে খাওয়াবে

৭. মিল ইন্ডাস্ট্রি করবে

৮. রাস্তাঘাট করবে

৯. প্রতি উপজেলায় বিশ্ববিদ্যালয় করবে

১০. সমগ্র দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় যে খরচ হয় তা বহন করবে

১১. মসজিদ, মাদ্রাসা, মন্দির বানাবে

১২. সমগ্র পৃথিবী ঘুরে বেড়াবে

এই প্রশ্নের উত্তরের প্যাটার্ন মূলত এরকম।

কিছু শিক্ষিত লোক ভিন্ন কিছু উত্তর অবশ্য দেওয়ার চেষ্টা করে থাকেন। যেমন: গ্রিন হাউজ গ্যাস নিঃসরণ বন্ধ করার উপায় বের করতে টাকা ব্যয় করা, সাধারণ মানুষকে যোগ্যতাসম্পন্ন মানবসম্পদরূপে তৈরী করার জন্য টাকা ব্যয় করা।

.

এখন পরবর্তী প্রশ্নে যদি বলা হয় আপনি এই জিনিসগুলো কেন চান?

আপনার এই চাওয়াগুলা আপনি কার কাছ থেকে চাইতে শিখেছেন?

এই প্রশ্নটাও সমান গুরুত্বপূর্ণ।

এই প্রশ্ন সম্পর্কে বলার আগে আরেকটা বিষয় একটু আলোচনা করি। সেটা হলো মিমেটিক ডিজায়ার।

মিমেটিক ডিজায়ার হলো এমন চাওয়া যেটার ইনহেরেন্ট ভ্যালু সম্পর্কে আপনার আইডিয়া নেই, কিন্তু আরেকজনের চাওয়া দেখে আপনি সেইটা চাইতে শিখেছেন বা চান।



মানুষের সাধারণতঃ মৌলিক কোন চাওয়া নেই বললেই চলে। মানুষের মৌলিক চাওয়া সম্পর্কে যদি খুব ডীপ ডাউন করা হয় তাহলে দেখা যাবে তার চাওয়া মূলত দুইটি।

১. সারভাইভাল (বেঁচে থাকা)

২. রিপ্রোডাকশান (বাচ্চা কাচ্চা জন্ম দেওয়া, এটার মাধ্যমে মানুষ তার মৃত্যুর পরেও তার রক্তের ধারা টিকিয়ে রাখার মাধ্যমে সারভাইভ করতে পারে।)

এই দুইটার বাইরে মানুষের সব চাওয়াই প্রায় আরেকজনের চাওয়া থেকে দেখে শেখা। এবং এইটা স্বাভাবিক।

এইসব চাওয়ার পিছনে সুখ খোঁজার বিষয়টা চলে আসে। যেমন এইটা হইলে বা পাইলে আমার ভালো লাগবে। গাড়ি কিনলে ভালো লাগবে। দুবাইতে বাড়ি করলে ভালো লাগবে। ফিজি ও তাহিতি দ্বীপে রিসোর্ট থাকলে ভালো লাগবে।

এই ভালো লাগার একটা বিরাট সমস্যা আছে। সেটা হচ্ছে হেডোনিক ট্রেডমিল। হেডোনিক ট্রেডমিল হচ্ছে কোন কাংক্ষিত জিনিস বা গোল অর্জিত হওয়ার মুহূর্তে যে সূখানুভূতি হয় সেটা একটা পর্যায়ে আস্তে আস্তে ম্লান হতে শুরু করে। ঐ জিনিস পাওয়ার বা ভোগের যে আনন্দ সেটা আস্তে আস্তে কমতে থাকে।

জীবনে প্রথম মোবাইলের মালিক হয়ে যে পরিমাণ আনন্দিত হয়েছিলেন এখন আইফোন ফিফটিন প্রো ম্যাক্স দিলেও হয়ত তেমন আনন্দ পাবেন না।

বলা হয়ে থাকে যে লটারি জেতে আর যে জেতে না তাদের লেভেল অফ হ্যাপিনেস আঠারো মাস পর একইরকম হয়ে যায়।

হেডোনিক ট্রেডমিলের মূল কথা হচ্ছে আমাদের লেভেল অফ হ্যাপিনেস সবসময় কনসট্যান্ট থাকতে চায়।

জীবনে ভালো কিছু অর্জিত হলে বা পেলে সে মুহূর্তে লেভেল হ্যাপিনেস বেড়ে যায় কিছুদিন পরে তা আবার কমতে থাকে এবং পূর্বাবস্থায় ফিরে আসে।

জীবনে দুঃখের কোন ঘটনা ঘটলে একই জিনিস ঘটে। প্রথমে প্রচণ্ড দুঃখ লাগে। আস্তে আস্তে তা আবার ঠিক হয়ে যায়। অর্থাৎ লেভেল অফ হ্যাপিনেস আগের জায়গায় ফিরে যায়।

.

আমার ধারণা পরকালে আল্লাহ যখন মানুষকে জান্নাত বা জাহান্নাম দিবেন তখন মানুষকে হেডোনিক ট্রেডমিলের প্রবণতা থেকে মুক্ত করে দিবেন।

ইয়ুভাল নোহা হারারি “সেপিয়েন্স” বইতে এমন একটা আলোচনা করেছে। উনি ডিরেক্ট হেডোনিক ট্রেডমিল আলোচনা করে নাই। উনি বলেছে জান্নাতের সুখ শান্তি কনসট্যান্ট থাকলে মানুষ বোরিং হয়ে যাবে। মোটামুটি এমন একটা বক্তব্য ছিলো। হুবহু মনে নাই।

মানুষ জান্নাতে যাবে। সেখানে সৃষ্টিকর্তার এক বড় নেয়ামত হবে মানুষ জান্নাতে যে অপার নেয়ামত ভোগ করবে এই নেয়ামত ভোগের মজা তার কমবে না!

.

এখন হাজার কোটি টাকার মালিক হলে আপনি যে জিনিসগুলা চাচ্ছেন সেটা পরিপূর্ণভাবে আপনার নিজের চাওয়া না। পরিবেশ, সমাজ, পরিবার, আশপাশের সংস্কৃতি আপনাকে এইগুলা চাইতে শিখিয়েছে।

মানুষের সব ডিজায়ারই মোটামুটি মিমেটিক।

এই মিমেটিক ডিজায়ারগুলার মধ্যে কোনটা আপনার প্রকৃত চাওয়া সেটা খুজে বের করা জরুরী। কোন চাওয়াটা একান্ত আপনার, কী করতে আপনার ভালো লাগে, টাকা কোন সমস্যা না হলে আপনি আসলে কী করতে চাইতেন, যে চাওয়ার মধ্যে পারিপার্শ্বিক অন্য কোন প্রভাব থাকবে না।

এমন একটা চাওয়া খুঁজে বের করা বেশ কঠিন ও সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। একবারে বা একদিনে আপনি আপনার প্রকৃত চাওয়া খুঁজে বের করতে পারবেন না।

এটা বের করার একটা পদ্ধতি হলো ছোট জিনিস বা অর্জন দিয়ে চাওয়া শুরু করা। এই প্রক্রিয়ার মধ্যে থাকলে সময়ের সাথে সাথে আপনি আসলে যা চান তার কাছাকাছি যেতে থাকবেন।

.

অঢেল টাকাপয়সা থাকলে এইসব চাওয়ার পিছনে আরও দুইটি কারণ থাকে; তা হলো সম্মান ও ক্ষমতা।

মানুষ মূলত টাকা চায় না। মূলত চায় সম্মান ও ক্ষমতা। এই সম্মান ও ক্ষমতা অর্জনের এক বড় মাধ্যম হচ্ছে টাকা। এইজন্য যারা বড় ব্যবসায়ী ও বড় আমলা তারা একটা পর্যায়ে রাজনীতি করে সংসদ সদস্য হতে চায়। কারণ তাদের দরকার আরও ক্ষমতা আরও সম্মান।

সম্মান ও ক্ষমতা চাওয়ার পিছনেও ঐ সারভাইভাল ইনস্টিংক্ট কাজ করে। যার সম্মান ও ক্ষমতা যত বেশি তার সারভাইভাল ক্যাপাসিটি তত বেশি, ক্রাইসিস মোকাবেলা করার সক্ষমতা তার বেশি।

এই সারভাইভাল ইনস্টিংক্ট এর জন্যই মানুষ টাকা, সম্মান ও ক্ষমতা অর্জনের মাধ্যমে তার পরবর্তী প্রজন্মকেও নিরাপদ করতে চায়। কারণ মানুষ মরে গেলে পরবর্তী প্রজন্ম তথা সন্তান সন্ততির মধ্যে সে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখে।

.

এখন আপনি যদি কিছু বিষয় ইগনোর করতে পারেন জীবন তাহলে অনেক সহজ হয়ে যায়। তা হলো সম্মান ও ক্ষমতাকে নিজের জন্য গুরুত্ব না দেওয়া। নিজেকে এভাবে ট্রেইন করা যেন সম্মান ও ক্ষমতাকে তুচ্ছ করে দেখা যায়। এই গুণ অর্জন করতে পারলে আপনি আনবিটেবল।

.

দুটো বিষয় মাথায় রাখা যেতে পারে।

এক. নিজের চাওয়াটা নির্দিষ্ট করে সে লক্ষ্যে অল্প অল্প করে কাজ করে যাওয়া।

দুই. লোকে কী বলবে অর্থাৎ সম্মান ও ক্ষমতাকে তুচ্ছ করে দেখা। আরেকজনের থেকে পাওয়া আপনার সম্মান ও আরেকজনের উপর কর্তৃত্ব করতে চাওয়ার ক্ষমতা এই দুইটা জিনিস থেকে মুক্ত হওয়া।

এই দুইটা গুণ অর্জন করতে পারলে প্রকৃত স্বাধীনতা ও অর্জনের সুখ পাওয়া যাবে।

.

সম্মান ও ক্ষমতা অর্জন করলে সমস্যা কী?

মিমেটিক ডিজায়ার অনুযায়ী, সমাজের চাহিদা অনুযায়ী নিজের চাওয়া চাইলে সমস্যা কী?

এই দুইটা প্রশ্নের উত্তর হলো-

সম্মান, ক্ষমতা ও মিমেটিক ডিজায়ারের পিছনে ছুটলে আপনি নিজের জীবন যাপন করছেন না। পরিবার, সমাজ, আশপাশের মানুষজন, আত্মীয় স্বজনই আপনার পুরো জীবনকে নিয়ন্ত্রণ করছে। তারাই ডিফাইন করছে কী করলে আপনি সুখী হবেন, কীভাবে আপনি জীবন যাপন করবেন। তাদের ভালোলাগা মন্দলাগার কথা মতই আপনাকে ছুটতে হচ্ছে।

এবং মোর ইম্পর্টন্টেলি এই ছোটার কোন শেষ নাই। আপনার ভালোলাগা, মন্দ লাগা, চাওয়া, পাওয়া যদি অন্যের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় তাহলে আপনার প্রাপ্তি ও অর্জন দ্বারা আপনি সুখী হবেন না। কারন এই চাহিদা ও চাওয়া অসীম সমীকরণে বাড়তেই থাকবে।

আর চাওয়াটা যদি নিজের হয়, আপনি যদি স্বনিয়ন্ত্রিত হন তাহলে প্রতিটা অর্জনই আপনাকে শান্তি দিবে। প্রতিটা চাওয়ায় যেহেতু আপনার নিজের চাওয়া, সেহেতু অসীম চাওয়ার লুপে আপনি আটকে থাকবেন না।

নিজের ভালো লাগার নিয়ন্ত্রণ নিজের কাছে রাখা দরকার। সেটা অন্যের হাতে থাকলে অপরাজেয় প্রতিযোগিতায় চিরকালের জন্য নিজেকে যুক্ত করলেন।

.

লেখাটি মূলত আমার নিউজলেটারের। অন্য আরো লেখার জন্য আমার নিউজলেটার দেখার অনুরোধ রইলো।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:০৩
১০টি মন্তব্য ১০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বিসিএস দিতে না পেরে রাস্তায় গড়াগড়ি যুবকের

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৫৫

আমাদের দেশে সরকারি চাকরি কে বেশ সম্মান দেওয়া হয়। আমি যদি কোটি টাকার মালিক হলেও সুন্দরী মেয়ের বাপ আমাকে জামাই হিসেবে মেনে নিবে না। কিন্তু সেই বাপ আবার ২০... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। আমের খাট্টা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৪



তাতানো গরমে কাল দুপুরে কাচা আমের খাট্টা দেখে ব্যাপারটা স্বর্গীয় মনে হল । আহা কি স্বাদ তার । অন্যান্য জিনিসের মত কাচা আমের দাম বাড়াতে ভুল করেনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৪



উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ইতং বিতং কিচ্ছার একটা দিন!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:০৩



এলার্ম এর যন্ত্রণায় প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গে আমার। পুরাপুরি সজাগ হওয়ার আগেই আমার প্রথম কাজ হয় মোবাইলের এলার্ম বন্ধ করা, আর স্ক্রীণে এক ঝলক ব্লগের চেহারা দেখা। পরে কিছু মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কে কাকে বিশ্বাস করবে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৯


করোনার সময় এক লোক ৯৯৯ এ ফোন করে সাহায্য চেয়েছিল। খবরটা স্থানীয় চেয়ারম্যানের কানে গেলে ওনি লোকটাকে ধরে এনে পিটিয়েছিলেন। কারণ, ৯৯৯ এ ফোন দেওয়ায় তার সম্মানহানি হয়েছে।

সমাজে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×