স্পয়লার ফ্রি লেখা। পড়তে পারেন।
Attack on Titan এনিমে সিরিজটা দেখে শেষ করেছি মাসদেড়েক আগে। এইটা যখন শেষ করেছি তখন মাথার মধ্যে এমন অবস্থা ছিলো যে এইটা নিয়ে লেখার মত অবস্থায় ছিলাম না। যদিও তখন লিখলে ঐটা দেখার স্মৃতি তাজা থাকতো, ফলে লেখা সহজ হতো ও ডিটেইল সিরিজের কিছু জিনিস লিখতে পারতাম।
এই সিরিজের গল্প নিয়ে আসলে কিছুই প্রায় বলা যায় না স্পয়লারের ভয়ে। এর ভিতরের কোন জিনিস আগে থেকে জেনে ফেললেই প্রতি পদে পদে সিরিজের যে শকিং আনফোল্ডিং ঐটা মিস হয়ে যাবে। আমি শুধু আমার অনুভূতি বলি।
এই সিরিজটাকে অনেকেই বেস্ট এনিমে সিরিজ বলে থাকেন যদিও এইটা বাদে আমি অন্য কোন এনিমে সিরিজ দেখি নাই। সুতরাং এই সম্পর্কে আমি তুলনা করতে পারবো না।
এই সিরিজের সবচেয়ে ভালো যে ব্যাপারটি আমার লেগেছে তা হলো- সিরিজ যখন শুরু হয় তখন থেকেই একেবারে ব্রান্ড নিউ স্বাদের বিগিনিং। টাইটান অর্থাৎ মানুষের মত দেখতে অনেক বড় সাইজের একরকমের জন্তু মানুষের শহরে আক্রমণ করতেছে। মানুষের এই শহরটা অনেক উচু দেয়াল দিয়ে ঘেরা।
এই দেয়াল তৈরী করা হয়েছিলো মূলত টাইটানদের আক্রমণ থেকে বাঁচতে।
সিরিজের প্রথমেই টাইটানরা এই দেয়াল ভেঙ্গে মানুষের শহরে ঢুকে পড়ে। টাইটানরা মানুষ খায়। এই শহর তছনছ করে তারা শহরের মানুষকে খেয়ে ফেলতে শুরু করে।
এটা স্পয়লার না। এটা হলো বিগিনিং।
এই টাইটান কী? কোত্থেকে আসলো? যাদের আক্রমণ করছে তারা করা? এরকম অসংখ্য প্রশ্ন দিয়ে শুরু হয় প্রথম এপিসোড।
সিরিজের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো- কাহিনীগুলো আনফোল্ড হয় আস্তে আস্তে সিরিজ আগানোর সাথে সাথে। সিরিজ জুড়ে তৈরী হওয়া প্রশ্নগুলোর উত্তর আস্তে আস্তে জানা যায় সিরিজের শেষ দিকে। সিরিজ যখন পুরা শেষ হয়ে যায়, অর্থাৎ সর্বশেষ এপিসোডে কাহিনীও পরিপূর্ণভাবে শেষ হয়।
গল্পটাকে এভাবে আস্তে আস্তে আনফোল্ড করার ব্যাপারটা আমার কাছে চমৎকার লেগেছে।
সিরিজে মাঝের কোন পর্যায়ে আপনি বুঝতেই পারবেন না সামনে আরো কত সারপ্রাইজ আপনার জন্য অপেক্ষা করছে।
সিরিজ দেখাকালীন সময়ে মাথার মধ্যে টাইটান আর সিরিজের বিভিন্ন চরিত্র, কাহিনী মাথার ভিতরে ঘুরবে। স্বপনে বা জাগরণে সব সময় এটা চলতে থাকবে। সব সিরিজের ক্ষেত্রেই এটা কমবেশি সত্যি। এটা যেহেতু এনিমে সিরিজ এটার অনুভূতি আমার কাছে নতুন ছিলো।
চমৎকার সিরিজ। দেখতে পারেন।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে মে, ২০২৫ রাত ৯:২৩