ভালোবাসা' শব্দটির গতানুগতিক কোন ব্যাখ্যা কিংবা এর তাৎপর্য ব্লকের পাতা ভরে লিখে কাউকে ধর্য হারা করবনা। শুধু বলব, এই শব্দটির ব্যাখ্যা শুধু ভালবাসা দিয়েই অনুভব করা যায়। আর এই অনুভব শক্তি মহান স্রষ্ঠা সব প্রানীদের মধ্যেই দিয়ে রেখেছেন। যদি কেউ মনে করেন, নিজের ভিতরে কোন অনুভব শক্তি নেই, কিংবা ছিল তা হারিয়ে ফেলেছেন, তাহলে বলব, আপনি মৃত। এই কথা শুনে নিশ্চই আমার উপর ক্ষেপেছেন, নাকি নিজেকে অনেক অসহায় মনে হচ্ছে? কিন্তু এরকমটি ভাবার কোন কারন নেই। হ্যা আপনি সত্যই বেঁচে আছেন।
বিশ্বস না হলে বুকে হাত দিয়ে দেখুন। আপনার হৃদপিন্ডটা বারবার শব্দ করে স্বরন করিয়ে দিচ্ছে আপনি বেঁচে আছেন। বেঁচে থাকার এই সত্যটি বুঝতে একমাত্র মাধ্যম অনুভব শক্তি। তার মানে আপনার অনুভব শক্তি আছে। শুধু ক্ষনিকের জন্য তা স্তব্ধ করে রেখেছিলেন। কিন্তু এতে আপনার এবং আশেপাশের সব প্রানীদের বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে। যা কখনও পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়।
কারন আপনি বঞ্চিত হয়েছেন বিশ্ব জগতের সব প্রানীদের স্বগীয় শান্তি নামক ভালোবাসা থেকে। তাদেরকেও বঞ্চিত করেছেন আপনার মূল্যবান ভালোবাসা থেকে। শুধু তাই নয়, হয়তোবা এই কারনে নিজের অজান্তেই অনেকে বঞ্চনার স্বীকার হতে হয়েছে। ফলে তারাও ক্ষোভে অনুভতি শক্তি নিস্তেজ রেখে বঞ্চনা করছে অন্যকে। ভেবে দেখুন, শুধু আপনার জন্যই এরকম একে একে বঞ্চনার কালরস ছড়াতে থাকলে পৃথিবী কতটা বিষক্ত হয়ে উঠবে? তখন এর আবিস্কারকে অন্য কেউ না চিনুক আপনি তো চেনেন। তখন কি নিজেকে ক্ষমা করতে পারবেন?
মনে হয় পারবেনা । কারন আপনি মানুষ। প্রানীজগতের শ্রেনী বিন্যাসের দিকে তাকালে সর্ব দিক থেকে আপনার স্থান সবার উপরে। সর্বোচ্চ বুদ্ধিমান প্রানী হিসাবে প্রানী জগতের সবাই আপনাকে মানে। তাই কিভাবে পারবেন সবচেয়ে নিন্ম শ্রেনীর প্রানীর মত ওই রকম একটি হীন কাজ করতে? তাই এর থেকে দূরে থাকতে হলে অনুভতি শক্তিই কাজে লাগাতে হবে। এজন্য কোন উপদেশ দেব না, শুধু বলব, অনুভতিকে সূর্যদয়ের মত জাগিয়ে তুলতে আপনার ইচ্ছা শক্তিই যথেষ্ঠ। এই সুপ্ত শক্তিকে জাগাতে আজকের দিনটিকেও কাজে লাগাতে পারেন।
একারনে বেশি দূর যেতে হবেনা। আপনার আশেপাশেই এমন কেউ না কেউ আছেন যে আপনার অনুভূতি শক্তি পাবার জন্য অপেক্ষায় আছে। এদের তালিকায় অসহায় মানুষ থেকে সকল প্রকার প্রানীই থাকতে পারে। ভাবছেন তাদেরকে শুধু কিছু টাকা বা খাবার দিলেই তো হয়। কিন্তু না, পৃথিবীতে টাকা বা খাবারই শেষ কথা নয়। ভেবে দেখুন ওরা আপনার সামথ্য অনুযাই কি এমন প্রত্যাশা করে যাতে ওদের আগামী দিন গুলো আরো উজ্জল করে কিংবা সুন্দর ভাবে বেচে থাকতে সহায়তা করে।
আর সবচেয়ে মজার ব্যাপার হল প্রত্যাশা অনুযাই আপনার অনুভতি প্রকাশ করতে পারলে ওদের আনন্দোর দৃশ্য শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ প্রতঙ্গের মধ্যে ফুটে ওঠে। মানুষের আনন্দ প্রকাশের অন্যতম মাধ্যম মুখ। কথায় নয় ওরা আপনার দিকে তাকিয়ে এমন একটি হাসি দিবে যা আপনি বিশ্বজগতের অনু পরিমান স্থানেও তন্ন তন্ন করে খুজেলেও তা দেখতে পাবেননা। আর এই হাসিই আপনাকে দূরে রাখতে পারে পৃথিবী বিষাক্ত করার দায় থেকে।
লেখক------মিঠুন পাল।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১:৪৬

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




