২৫ বছরের যুবক আরিফুজ্জামান ককটেলের আঘাতে লাশ হয়েছেন। দেশের আইন প্রয়োগ কারী সংস্থা বলছে, সে জামায়াত শিবিরের কর্মী, নিজেদের ককটেলেই মৃত্যু হয়েছে, বিএনপি বলছে, সে আমাদের কর্মী, আইন সংস্থাই গুলি করে মেরেছে। পরিবার বলছে, সে কোন দলের নয়। আর আওয়ামীলীগ। তারা তো সরকারী দলের মত যথারীতি, এটা বিরোধী দলের কাজ। কিন্তু আমার মত নির্বোধ বুঝতেই পারছিনা বেচারা মরলো কিভাবে। কার কথা সত্য ? তবে অনুমান করছি, নিজস্বার্থে পরিস্থিতি ঘোলাটে করতে কেউ এমন খেলা খেলেছে। এবারের স্বীকার ২৫ বছরের ওই যুবক।
রাজনীতি বড় মারাক্তক ভাইরাস, লাশ হয়েও সংক্রামক থেকে নিস্তার নেই। হয়তোবা অতিতের মত এবারও বিরোধীদল বিক্ষোভ, হরতালের মত জ্বালাও পোড়াও ভাংচুর করবে। আর সরকারী দল তাদের প্রতিহত করতে মাঠে লেলিয়ে দেবে আইন সংস্থা ও তাদের স্পেশাল ফোর্স ( পেটোয়া বাহিনী)। মধ্য দিয়ে আরিফুজ্জামানের মত আর কটা লাশ মিলবে।
নিজস্বার্থে পরিস্থিতি ঘোলাটে করতে শুধু আরিফুজ্জামান কেন তার মত কত লাশ হয়েছে তার কি কোন হিসাব আছে ? এরকম কত আরিফুজ্জামন জম্ম নেবে আবার লাশ হবে। এতিম হবে কোন শিশু, সন্তান হারাবে কোন মা আর জনতা হারাবে একজন সাথি। মধ্যদিয়ে উৎসব করে খেলা চালিয়ে যাবেন রাজার নীতিনীধারকরা। আপম জনতা শুধু তামশা দেখবে আর আমার মত কারন খুজতেই পেররেশান হবে। কে সঠিক ?
পুলিশকে দোষ দিয়ে লাভ নেই। তাদের পিছনে নাটাইয়ের শক্ত দড়ি। শুধু নাটাইটা যখন যার হাতে থাকে তার বিরোধী পক্ষকে কত ধানে কয়টা চাল তা পই পই করে বুঝিয়ে দেয়। মাধেমধ্যে তাদের বিষাক্ত নিস্বাষ পরে অসহায় মানুষের উপর। তাই দায়ী ওই ককটেল আর জনতা। ককটেল আঘাত করে প্রান কেরে নিয়েছে। আর জনতা, ব্যালটে সিল মেরে এমন ঘোলাটে সৃষ্টিতে সহায়তা করতে ওজন ওয়ালা স্বার্থন্বেশী রাজনীতিকদের নির্বাচিত করেছে। তাই প্রতীকি হিসাবে এই লাশেরও রক্ত নিয়ে কোন বোতলে শক্ত করে সিপি আটকিয়ে রেখে দেই, ভোট এলে এসব রাজনীতিকদের নির্বাচিত করতে আঙ্গুলের কোনায় মেখে ব্যালটে মারার জন্য।
লেখক ---- মিঠুন পাল
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১:৩৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




