সাধু সাজলেই যেমন সাধু হওয়া যায়না
তেমনি যুদ্ধ করলেই বীর হওয়া যায়না
এই মুহুর্তে মনে আসছে না, কে যেন বলেছেন
স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে রক্ষা করাই কঠিন
আজ কি স্বাধীনতা হুমকির মুখে
হবে হয়তো
একাত্তরে যে কারনে যুদ্ধ হয়েছে এখনও বা তার চেয়ে কম কিসে
ধর্ষণ হচ্ছে, খুন হচ্ছে, কারনে-অকারনে হরতাল, অবরোধ।
জ্বালাও পোরাও হচ্ছে, মায়ের বুক খালি হচ্ছে,
নির্যাতন সয়েও রেহাই নেই, কথা কেরে নিতে চাইছে।
ধর্মের মুখোশ পরে দোসররা রাজনীতি করছে,
মৌলবাদ ও দূর্নীত দেশকে গ্রাস করার চেস্টা করছে।
ঘাতক, দোসরদের বিচার বানচাল করতেও লেগেছে কতো লোক
তাদেরকেই কোন রাজনীতিক দল আগলে রাখছে
সেই অযুহাতে আবার কোন দল স্বশস্ত্র ঝাপিয়ে পড়ছে।
অণ্য দলগুলো তা আবার দেখে মুখ চেপে হাসছে
মাঝেমধ্যে আধা ফোলা হয়ে চুপসে
যারা যুদ্ধ করেছে মুষ্ঠিমেয় তারাও কম কিসে
বীর খেতাব নিয়ে বীর দর্পে যুরে বেরাচ্ছে
মিছিল, মিটিংএ দলের কথাই বলছে
সহযোদ্ধাদের দারিদ্র দেখেও গলায় গামছা পেচিয়ে পাশ কাটিয়ে যাচ্ছে
আবার সব গিয়ে হুমরি খেয়ে পড়ছে শহীদদের বেদীতে।
শুকিয়ে যাওয়া চোখে তা দেখে মা’র কষ্টে বুকটা ফেটে যাচ্ছে
হাত মুষ্ঠিবদ্ধ করে ভাবছে, আরেকটি সন্তান থাকলে আবার যুদ্ধে পাঠাতাম !
লেখা --- বিদ্রোহ তারুণ্য (ফেইসবুক থেকে নেওয়া)
সৌজন্যে --- মিঠুন পাল
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১:২০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




