নিজের জীবন দিয়ে মেজর সিনহা শত মানুষকে বাঁচিয়ে দিয়েছেন =
ধারাবাহিক অপকর্মের জন্য ওসি প্রদীপকে কখনো মূল্য দিতে হয়নি। বরং, দু'বছর আগেও তাকে দেয়া হয়েছে পুলিশের সর্বোচ্চ পুরস্কার। তার কর্মকান্ডগুলো হয়তোবা মহলবিশেষের অপছন্দের ছিলো না। নইলে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ইউনিফর্ম পরা একজন দুর্ধর্ষ অপরাধী সাজা না পেয়ে পুরস্কৃত হয় কিভাবে? তারমানে, মূল পচন প্রদীপে নয়, অন্য কোথাও। সেই জায়গাটির সন্ধান আমরা হয়তো কোনদিনও পাব না।
মেজর সিনহা নিজে মরে শত মানুষের জীবন বাঁচিয়ে দিয়েছেন। কারণ, তাঁকে হত্যার মাত্র কয়েকমাস আগেও এই প্রদীপ প্রায় দুশো নিরীহ মানুষকে নানা অজুহাতে নির্মমভাবে হত্যা করেছে, নারীদের করেছে ধর্ষণ। তারপরও তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হয়নি। এরই ধারাবাহিকতায় সেনা কর্মকর্তা সিনহাকে হত্যা করে প্রদীপ পার পেয়ে যাবে ভেবেছিল, যা সম্ভব হয়নি। সিনহা যদি সেদিন জীবন না দিতেন তবে তাঁর মৃত্যুর পর হতে আজতক হয়তো আরো শদুয়েক তরতাজা প্রাণ প্রদীপের হাতে নিভে যেত।
প্রদীপদের যাঁরা আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে অপরাধের শীর্ষে নিয়ে যায় তাঁদেরও কিভাবে আইনের আওতায় আনা যায় তা নিয়ে ভাবুন। নইলে, এক প্রদীপের রক্ত থেকে লক্ষ প্রদীপ জন্ম নেবে। তখন, কয়জন প্রদীপকে আপনারা ফাঁসিতে ঝুলাবেন?
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:২০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




