ট্রেভিস আর ব্রেট-এর জন্য ভালোবাসা =
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আপনার মনে হতে পারে পুলিশ মানেই ঝামেলা, সমস্যা, হয়রানি। কানাডার প্রেক্ষাপটে বিষয়টা একেবারেই ভিন্ন। সত্যিকার অর্থেই পুলিশ জনগণের বন্ধু, রক্ষক।
এখানে যে ছবি দেখছেন তাতে যে পুলিশ অফিসার হাসিমুখে দাঁড়িয়ে তাঁর নাম ট্রেভিস জর্ডান (Travis Jordan). শীতের দিনে একদিন রাস্তায় টহলের দায়িত্বে তিনি। দেখলেন, এক ভদ্রমহিলা তাঁর গাড়িতে জমে থাকা বরফ না সরিয়েই গাড়ি চালাচ্ছেন।
পুলিশের চোখে এমন দৃশ্য পড়লে তাঁরা গাড়িটি থামিয়ে চালককে ওই বরফ পরিষ্কারে বাধ্য করেন, এবং একই সাথে জরিমানাও করেন।
অফিসার ট্রেভিস সিগন্যাল দিয়ে গাড়ি থামাতে বললেন যথারীতি। গাড়ির চালকের নাম জেসিকা। পুলিশের আদেশ না মেনে উপায় নেই; তিনি দ্রুত রাস্তার পাশে থামলেন। ট্রেভিস নির্দেশ দিলেন বরফ পরিষ্কার করতে। কিন্তু, জেসিকার কাছে তখন বরফ পরিষ্কার করার ব্রাশ ছিল না।
এমন অবস্থায় ট্রেভিস রেগে যেতে পারতেন; কিন্তু, তিনি তা করলেন না। বরং তিনি তাঁর গাড়িতে থাকা নতুন ব্রাশ দিয়ে নিজ হাতে জেসিকার গাড়ি পরিষ্কার করে দিয়ে তাঁকে ব্রাশটি উপহার দিলেন। শুধু তাই নয়, জেসিকাকে জরিমানা না করে কেবল ওয়ার্নিং দিলেন।
অফিসার ট্রেভিসের উদারতায় জেসিকা মুগ্ধ হয়ে তাঁর সাথে ছবি তুলতে চাইলে তিনি রাজি হলেন। সেই ছবি আজ আমাদের এডমন্টনে শহরের লাখো মানুষকে কাঁদাচ্ছে।
গতকাল (মার্চ ১৬ ২০২৩) আরেক সহকর্মীর সাথে দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় কনস্টেবল ট্রেভিস নিহত হয়েছেন। ফ্যামিলি ভায়োলেন্স সংক্রান্ত জরুরি টেলিফোন পেয়ে সহায়তায় এগিয়ে গেলে বন্ধুকধারী দেখামাত্র তিনি এবং তাঁর অপর সহকর্মী কনস্টেবল ব্রেটকে গুলি করে। মাত্র তিরিশের কোটায় বয়স তরুণ দুই অফিসারই সাথে সাথে লুটিয়ে পড়েন। তাঁদের বাঁচানো যায়নি। কানাডার ইতিহাসে দুই অফিসার একসাথে হত্যার ঘটনা বিরল।
ট্রেভিস আর ব্রেটকে আপনাদের প্রার্থনায় রাখুন।
https://www.facebook.com/moh.l.gani/
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:৪৩