বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন সমগ্র বিশ্বের জন্য একটা ব্যতিক্রমী মডেল হয়ে থাকবে।
- কিভাবে?
গণতান্ত্রিক নির্বাচন হয় একাধিক ভিন্নমতের রাজনৈতিক দলের মধ্যে। কিন্তু, বাংলাদেশে বর্তমানে নির্বাচন হতে যাচ্ছে কেবল এক দলের প্রার্থীদের মধ্যেই। কেননা, স্বতন্ত্ররা-ও প্রকৃত অর্থে আওয়ামীলীগার। এটা আমার কথা নয়, আওয়ামীলীগের নেতারাই বক্তৃতা বিবৃতিতে এসব তথ্য জনগণকে দিচ্ছেন। বলা বাহুল্য, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হচ্ছে না বলে প্রধান বিরোধীদল বিএনপি এ নির্বাচন বয়কট করছে।
পৃথিবীর অন্য কোন দেশে এর আগে নিজদলের প্রার্থীদের মধ্যে এ ধরণের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে মনে হয় না। তবে সফলভাবে এ নির্বাচন সম্পন্ন করে সুষ্ঠুভাবে দেশ পরিচালনা সম্ভব হলে শেখ হাসিনা সত্যিকার অর্থেই গণতান্ত্রিক দেশগুলোতে নির্বাচনের এক নতুন ধারা উন্মোচন করবেন। গণতন্ত্রের সংজ্ঞাও বদলে দেবেন একইসাথে।
প্রশ্ন হলো, এমন পরিবর্তন কি আদৌ বাস্তবসম্মত?
যদি বলেন না, তাহলে অনিবার্য প্রশ্ন দাঁড়ায়, দেশের রিজার্ভের যখন টালমাটাল অবস্থা তখন হাজারো কোটি টাকার শ্রাদ্ধ করে এমন উদ্ভট নির্বাচন অনুষ্ঠানের আদৌ প্রয়োজন ছিল কি? বলার অপেক্ষা রাখে না, বিতর্কিত এ নির্বাচন আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে গ্রহণযোগ্য না হলে তার যে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে তার ভুক্তভোগী হবে দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠী।
আমাদের দেশের রাজনৈতিক নেতানেত্রীরা মুখে যাই বলুন, তাঁদের মনের কথা হলো, 'দেশের চেয়ে দল বড়ো, আর দলের চেয়ে ব্যক্তি বা তাঁর পরিবার।' সাধারণ মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন কারও বিবেচনায় থাকে বলে মনে হয়না।
সত্যিকারের দেশপ্রেম থাকলে কেউ এমন অবিবেচকের আচরণ করতে পারেনা। পরম করুনাময় আমাদের রাজনীতিকদের মনে দেশাত্ববোধ জাগ্রত করুন, এটাই এ মুহূর্তের প্রার্থনা।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




