জাতীয় নির্বাচনে ভোট বেচাকেনার অভিযোগে বাংলাদেশে আগে কখনো কারো জেল-জরিমানা হয়েছে বলে আমি শুনিনি, কিন্তু, এবার হয়েছে।
পত্রিকান্তরে জানলাম, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নওগাঁ-৩ (মহাদেবপুর-বদলগাছী) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ছলিম উদ্দিন তরফদার সেলিম এমপির ‘ট্রাক’ প্রতীকে টাকা দিয়ে ভোট কেনার অভিযোগে আটক হয়েছেন সাঈদ হাসান তরফদার শাকিল (৩৫)। শাস্তিস্বরূপ তাকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমান আদালত।
দৃশ্যতঃ, একটি জাতীয় নির্বাচনে যেসব উপাদান থাকার কথা এবারের নির্বাচনে তার প্রায় সবই আছে; নেই কেবল প্রধান বিরোধী দল, বিএনপি। অন্য ভাষায়, নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে ভিন্ন নামে একই দলের প্রার্থীদের মধ্যেই যাঁদের বিএনপি নাম দিয়েছে 'ডামি প্রার্থী'। আওয়ামীলীগও এতে দ্বিমত করেনি। স্বতন্ত্র প্রার্থীরা যে মূলত আওয়ামীলীগের প্রার্থী তা প্রকাশ্যেই ঘোষণা করেছেন আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ।
প্রশ্ন জাগে, একদলীয় নির্বাচনই যদি হবে তাহলে ঢাকঢোল পিটিয়ে, গরিব জনগণের সহস্র কোটি টাকার শ্রাদ্ধ করে এ নির্বাচনী নাটক মঞ্চায়নের প্রয়োজন ছিল কি? দলনেত্রী শেখ হাসিনা সিনিয়র নেতাদের নিয়ে বসে প্রতি নির্বাচনী এলাকায় কেউ একজনকে সিলেক্ট করে দিলেই তো হতো।
এ বিষয়ে আপনার মতামত কি জানাবেন?
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:৫৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




