হাজারো প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত নতুন স্বাধীনতার মর্ম যথাযথ অনুধাবন করতে পারছেন না কিছু সরকারি কর্মকর্তা। তারা এখনো আগের আমলের মতো ঘুষ দুর্নীতিতে নিমজ্জিত থাকতে চান। আবু সাঈদ, মুগ্ধদের আত্মত্যাগ তাদের কাছে অর্থহীন।
তেমনই এক সরকারি কর্মকর্তা, ১৩শ ব্যাচের বিসিএস অফিসার শফিকুল ইসলাম, যিনি একজন কর কমিশনার। এক সেবাগ্রহীতার কাছ থেকে মোটা অংকের উৎকোচ গ্রহণ করলে তিনি তা প্রধান উপদেষ্টা মহোদয়ের দপ্তরে জানান। অতঃপর বিষয়টি এনবিআর (রাজস্ব বোর্ড)-কে জানানো হলে তারা ঘটনার সত্যতা পেয়ে শফিক সাহেবকে সাময়িক বরখাস্ত করেন। ঘটনাটি কালকের পত্রিকায় এসেছে।
উপরের ঘটনায় ভুক্তভোগী প্রধান উপদেষ্টার অফিসে ঘটনা না জানালে অন্য হাজারো ঘুষ দেয়ানেয়ার ঘটনার মতো এটিও সবার অগোচরে থেকে যেত। প্রশ্ন জাগে, পরিবর্তিত পরিবেশেও একজন পদস্থ সরকারি কর্মকর্তা পুরোনো বাজে অভ্যাস বজায় রাখেন কিভাবে? তিনি কি তবে হাসিনার রেখে যাওয়া সিস্টেমের বাইরে গিয়ে নিজেকে বদলে ফেলার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছেন না?
এই সেবাগ্রহীতার মতো সবার পক্ষে তো আর প্রধান উপদেষ্টা মহোদয়ের দপ্তর পর্যন্ত যাওয়া সম্ভব নয়। তেমন ক্ষেত্রে এসব দুর্নীতির ঘটনা কি সরকার বা সাধারণের অগোচরেই থেকে যাবে? তাহলে হাসিনা বা তার লুটেরা বাহিনীৰ পলায়নে কাজের কাজ হলোটা কি?
আমি মনে করি যেসব সরকারি অফিসে ব্যাপক দুর্নীতি হয় বলে গুঞ্জন রয়েছে সেখানে গোয়েন্দা সংস্থার কর্মচারিরা ছদ্মবেশী সেবাগ্রহীতা সেজে ট্র্যাপে ফেলে ঘুষখোরদের ধরার উদ্যোগ নিতে পারেন। এভাবে কয়েকডজন ঘুষখোর ধরা পড়লে অন্যরা দীর্ঘদিনের এ কুঅভ্যাস থেকে বেরিয়ে আসার কথা সিরিয়াসলি ভাববে। কেবল বক্তব্য, বিবৃতি বা উপদেশে বিদ্যমান পরিস্থিতির উন্নয়ন সম্ভব মনে হয়না।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


