আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক (পলাতক) ওবায়দুল কাদেরের হাতে যেসব ঘড়ি দেখা গেছে: রোলেক্স ডে ডেট প্রেসিডেন্ট ঘড়ি, দাম ২৮ লাখ ৮৬ হাজার টাকা; লুই ভিতন জিএমটি ভয়েজার (পিঙ্ক গোল্ড সংস্করণ), দাম ১২ লাখ ৭২ হাজার টাকা; রোলেক্স ডেটজাস্ট, দাম ৯ লাখ ৩৩ হাজার টাকা; উলিস নাদা এক্সেকিউটিভ ডুয়াল টাইম, দাম ১০ লাখ ১৬ হাজার ২০০ টাকা; রোলেক্স সেলিনি (হোয়াইট গোল্ড), দাম ৯ লাখ ৩৩ হাজার টাকা ও রোলেক্স ডেটজাস্ট (ডায়মন্ড ডায়াল), দাম ৯ লাখ ৩৩ হাজার টাকা।
এসব ঘড়ির ব্যাপারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, এটা একেবারে ফর গডস সেক, আমি বলছি এগুলো আমার দামি পোশাক, এগুলো আমার কেনা না। আমি পাই, হয়ত আমাকে অনেকে ভালোবাসে, আমার অনেক কর্মী আছে, তারা বিদেশে আছে, আসার সময় স্যুট নিয়ে আসে। সিঙ্গাপুর থেকে একজন তিনটা কটি বানিয়ে নিয়ে এসেছে, এরকম এখন আপনি যদি নিয়ে আসেন, আমাকে উপহার দেন, আমি কি করব? এটা গিফট আইটেম! [সূত্র: ঢাকাপোস্ট ডট কম]
প্রশ্ন হলো,
- একজন রাজনীতিক বা সরকারি কর্মচারী দাপ্তরিক দায়িত্ব পালনকালে এ ধরণের দামি গিফট গ্রহণ করতে পারেন কি?
- যারা তাঁকে এ ধরণের বড়ো বড়ো গিফট দিচ্ছেন তারা কি নিজেদের লাভক্ষতি হিসেব না করেই গিফট দিতে এত টাকা খরচ করছেন?
- কারো কাছ থেকে এ ধরণের গিফট গ্রহণের পর জনস্বার্থ উপেক্ষা করে গিফট দাতার স্বার্থ রক্ষা কি গিফট গ্রহীতার কর্তব্য হয়ে পড়ে না?
উন্নতদেশগুলোতে দায়িত্বপালনকালে এ ধরণের দামি গিফট গ্রহণ 'কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট' বা স্বার্থের সংঘাত বিবেচিত হয়। জনস্বার্থে বাংলাদেশেও ক্ষমতায় থাকাকালীন গিফট গ্রহণের ব্যাপারে কড়াকড়ি আরোপ করা সময়ের দাবি। জাতি অতীতের দুর্নীতিগ্রস্থ পরিবেশ হতে বেরিয়ে আসতে চায়।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


