নোবেলজয়ী প্রফেসর ইউনুসকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে পেয়ে কোটি বাংলাদেশী পরম আশায় বুক বেঁধেছে। সবারই প্রত্যাশা তিনি তরুণদের নিয়ে বাংলাদেশে রাষ্ট্র পরিচালনার সিস্টেম বদলে দেবেন। বহির্বিশ্বেরও হয়তবা একই প্রত্যাশা।
সিস্টেম বদল বলতে সবাই চাইছে:
- উত্তরাধিকারসূত্রে বিশেষ দুটি পরিবারের লোকজনই যেন দেশের প্রধানমন্ত্রী না হতে পারেন
- সর্বোচ্চ দুইবারের বেশি কোন ব্যক্তিবিশেষ বা তাঁর পরিবারের সদস্য যেন রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত থাকতে না পারেন
- নির্বাচনে মনোনয়ন বাণিজ্যের অবসান ঘটিয়ে শিক্ষিত সজ্জন ব্যক্তিদের এমপি নির্বাচিত হবার সুযোগ প্রদান
- ঘুষ-দুর্নীতি ও অবৈধ প্রভাবমুক্ত করে সরকারি অফিস আদালত পুনর্গঠন
- শীর্ষ দুর্নীতিবাজদের চিহ্নিত করে তাদের দ্রুত বিচারের ব্যবস্থা গ্রহণ
- বিদেশে অর্থ পাচাররোধ, ইত্যাদি ...
সত্য বলতে কি, বর্তমান বাস্তবতা দেখে আমার মতো অনেকেই হতাশ। যে হারে রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, তাদের পরিবারের সদস্যবৃন্দ, দাগী আসামি, বা এজাতীয় মানুষকে সাজা স্থগিত, বা মামলা হতে সরাসরি অব্যাহতি দেয়া হচ্ছে তাতে আর যাই হউক অন্ততঃ নতুন প্রজন্মকে নতুনভাবে দেশ সাজানোর সুযোগ দেয়ার পরিবেশ তৈরী হচ্ছে বলে মনে হয়না। তার পরিবর্তে অতীতের চিহ্নিত চাঁদাবাজ, চোরাকারবারি, মনোনয়ন বাণিজ্যের হোতা, অর্থপাচারকারীদের অভয়ারণ্য তৈরির উর্বর পরিবেশ তৈরী হচ্ছে বলেই জোরালো আশংকা। এভাবে ঢালাও অব্যাহতি না দিয়ে বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কাজগুলো করলে ভালো হতো।
আমার মনে হয়না, স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে দেড় হাজারেরও অধিক প্রাণ ঝরেছে কেবল ক্ষমতার পালাবদলের জন্য। দেশের সাধারণ মানুষ রাজনীতিতে অতীতের দুর্নীতিবাজদের বিদায় চাইছে। এ বিষয়টি আমাদের দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করতে হবে, এবং সে লক্ষ্যে কাজ করতে হবে। আশা করি, বিশ্ববরেণ্য ব্যক্তিত্ব প্রফেসর ইউনুস ও তাঁর টিম দেশবাসীকে হতাশ করবেন না।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা অক্টোবর, ২০২৪ রাত ১১:৩১