সদকাতুল ফিতর
সম্মানিত পাঠক! নিশ্চয় রমজান একটি সম্মানিত মাস যা আপনার শান্তি ও নিরাপত্তার সাথে অতিবাহিত করেছেন। কিন্তু এটা বেশি দিন স্থায়ী নয়। যে ব্যক্তি এটা যথাযথ মূল্যায়নের সাথে অতিবাহিত করেছে সে যেন আল্লাহ তাআলার প্রশংসা করে অতঃপর এটা কবুল হওয়ার জন্য আল্লাহ তাআলার নিকট প্রার্থনা করে। আর যে এটা অলসতায় অতিবাহিত করেছে, সে যেন আল্লাহর নিকট তওবা করে এবং নিজ ত্রুটি বিচ্যুতির জন্য আল্লাহর তাআলার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করে মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত।
সম্মানিত পাঠক! নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা এই মাসে আপনাদের উপর সাদাকাতুল ফিতর প্রবর্তন করেছেন। এটা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ঈদের নামাযের পূর্বে।
আর এটাকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সকল মুসলমানের উপর অপরিহার্য বলে ঘোষণা করেছেন। আল্লাহর রাসূল যা ওয়াজিব করেছেন তা মানতে হবে। এ সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেছেন:
]مَنْ يُطِعِ الرَّسُولَ فَقَدْ أَطَاعَ اللَّهَ وَمَنْ تَوَلَّى فَمَا أَرْسَلْنَاكَ عَلَيْهِمْ حَفِيظاً[ (النساء:80)
যে রাসূলকে অনুসরণ করল, সে আল্লাহ তাআলাকে অনুসরণ করল। আর সে তা হতে ফিরে রইল (তার সম্পর্কে বলা হয়েছে) আর আপনাকে তাদের প্রতি রক্ষক (প্রহরী) করে প্রেরণ করিনি। (সূরা নিসা, আয়াত ৮০)
আর আল্লাহ বলেন-
وَمَنْ يُشَاقِقِ الرَّسُولَ مِنْ بَعْدِ مَا تَبَيَّنَ لَهُ الْهُدَى وَيَتَّبِعْ غَيْرَ سَبِيلِ الْمُؤْمِنِينَ نُوَلِّهِ مَا تَوَلَّى وَنُصْلِهِ جَهَنَّمَ وَسَاءَتْ مَصِيراً[ (النساء:115)
আর যারা তাদের নিকট হিদায়াত পৌঁছার পরও রাসূলের বিরোধিতা করে এবং মুমিনদের ব্যতীত অন্যদের পথের অনুসরণ করে। এবং তারা যেভাবে পিছিয়ে রয়েছে আমিও তাদেরকে পিছিয়ে রাখব এবং জাহান্নামে পৌঁছিয়ে দেব। আর ইহা কতই না খারাপ প্রত্যাবর্তন স্থল। (সূরা আন নিসা, আয়াত ১১৫)
আর আল্লাহ তাআলা বলেন,
وَمَا آتَاكُمُ الرَّسُولُ فَخُذُوهُ وَمَا نَهَاكُمْ عَنْهُ فَانْتَهُوا (الحشر:7)
তোমাদের রাসূল যা কিছু নিয়ে এসেছেন তা তোমরা গ্রহণ কর এবং যা থেকে বিরত থাকতে বলেছেন তা থেকে বিরত থাক। (সূরা আল হাশর, আয়াত ৭)
আর এটা বড় ছোট, পুরুষ, মহিলা, স্বাধীন, পরাধীন সকল মুসলমানের উপর ফরয।
আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমযান মাসে সাদাকাতুল ফিতর ফরয করেছেন এবং এক ছা খেজুর অথবা এক ছা যব ফরয করেছেন। এটা স্বাধীন, পরাধীন, পুরুষ, মহিলা, ছোট বড় সকল মুসলমানের উপর ফরয। (বোখারী ও মুসলিম)
অপ্রাপ্ত বয়স্ক সন্তানের উপর সরাসরি সদাকাতুল ফিতর ওয়াজিব নয়। তবে তার অভিভাবকগণ তাদের পক্ষ থেকে আদায় করেবন। আমিরুল মুমিনিন উসমান রাদিয়াল্লাহু আনহু গর্ভস্থ সন্তানের পক্ষ হতেও সাদকাতুল ফিৎরা গ্রহণ করেছেন। আর এটা নিজের পক্ষ থেকে ব্যয় করবে। আর এমনিভাবে সে যার দায়িত্বশীল সে তার পক্ষ হতে আদায় করে দেবে। স্বামী তার স্ত্রীর পক্ষ থেকে আদায় করে দেবে, যদি স্ত্রী নিজের পক্ষ হতে আদায় করতে না পারে। আর যদি সে নিজের পক্ষ হতে আদায় করতে পারে তাহলে সে নিজেই আদায় করবে। আর সেটাই উত্তম।
আর সে ব্যক্তির উপর যাকাত ওয়াযিব নয় যার বৎসর শেষে অতিরিক্ত কিছু অবশিষ্ট থাকে না। ঈদের দিন ভোরে যার কাছে অতিরিক্ত এক ছা পরিমাণ খাদ্য শস্য বা তার সমপরিমাণ সম্পদ থাকে তাহলে সেও সদকাতুল ফিৎর আদায় করবে। এটা আদায় না করার জন্য কোন কৌশল অবলম্বন করবে না।
আল্লাহ তাআলা বলেন;
فَاتَّقُوا اللَّهَ مَا اسْتَطَعْتُمْ (التغابن
তোমরা আল্লাহকে ভয় কর যথা সম্ভব। (সূরা আত-তাগাবুন, আয়াত ১৬)
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লাম বলেছেন:
إِذَا أَمَرْتُكُمْ بِأَمْرٍ فَأْتُوا مِنْهُ مَا اسْتَطَعْتُمْ (متفق عليه(
যখন তোমাদেরকে কোন ব্যাপারে আদেশ করি, তোমরা উহা তোমাদের সাধ্যমত পালন কর।
আর সদকাতুল ফিতরের বাহ্যিক হিকমত হল : এর মধ্যে রয়েছে ফকিরদের জন্য দয়া এবং তাদেরকে অন্যের নিকট চাওয়া হতে বিরত রাখা।
ঈদের দিনে তারা যেন ধনীদের মত আনন্দ উপভোগ করতে পারে এবং ঈদ যেন সকলের জন্য সমান হয়। আর এর মধ্যে আরো আছে ন্যায় বিচার, সৃষ্টিজীবের জন্য ভালবাসা, ভ্রাতৃত্ব। আর এর মাধ্যমে রোযাদারদের রোযা পবিত্র হয় এবং রোযার ত্রুটির হয়েছিল ক্ষতিপূরণ হয়ে যায়। আর রোযার এই ত্রুটি হতে পারে কথার মাধ্যমে অথবা গুনাহের মাধ্যমে।
সদকাতুল ফিতর আদায়ে আল্লাহর প্রতি শোকরিয়া প্রকাশ পায়। কারণ তিনিই রমযান মাসের রোযা পূর্ণভাবে রাখার সামর্থ দিয়েছেন।
আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেছেন: সাদাকাতুল ফিতর হচ্ছে রোযাদারের জন্য পবিত্রতা এবং মিসকিনদের জন্য খাদ্য। আর যে তা ঈদের নামায আদায় করার পূর্বে আদায় করে তা কবুল করা হয়। আর সে উহা ঈদের নামায আদায় করার পর আদায় করে, তাহলে তা সদাকাতুল ফিতর না হয়ে সাধারণ সদকাহ হিসাবে আদায় হয়ে যাবে। (আবু দাউদ এবং ইব্ন মাজাহ্)
আর যা দিয়ে সদকাতুল ফিতর আদায় করা হবে তাহলো- মানুষের খাদ্যদ্রব্য যেমন, খেজুর গম, চাল, পনির, ঘি ইত্যাদি।
আর বুখারী ও মুসলিমে- উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেছেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লাম সদকাতুল ফিতর খেজুর অথবা যব দ্বারা আদায় করতে বলেছেন। যেমন আবু সাঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন, আমরা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লামের সময় সদকাতুল ফিতর এক খাদ্য দ্বারা আদায় করতাম। আর আমাদের খাবার ছিল পনির, ঘি এবং খেজুর। (বুখারী)
আর জন্তু-জানোয়ারের খাদ্য দ্বারা সাদাকাতুল ফিতর আদায় করলে আদায় হবে না। কেননা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লাম উহা ফরয করেছেন মিসকিনদের খাদ্য দানের জন্য। জন্তু-জানোয়ারের খাদ্যের জন্য নয়।
আর সদকাতুল ফিতর কাপড়, বিছানা, পানপাত্র, স্বর্ণ-রৌপ্য ইত্যাদি দ্বারা আদায় হবে না। কেননা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লাম উহা খাদ্য দ্বারা আদায় করা ফরয করেছেন।
আর উহা খাদ্যের মূল্য দ্বারা আদায় করলে আদায় হবে না। কেননা এটা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লাম এর নির্দেশের বিপরীত।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি কোন কাজ করল কিন্তু উহা আমার নির্দেশমত নয়, তাহলে তা পরিত্যাজ্য। অন্য এক বর্ণনায় আছে, যে কোন বিষয়ের প্রচলন করল অথচ তা আমার নির্দেশ মত নয় তাহলে তা পরিত্যাজ্য। (মুসলিম)
বুখারী ও মুসলিমে যে “রদ” শব্দ এসেছে তার অর্থ পরিতাজ্য। কেননা খাদ্যের মূল্য দিয়ে সাদকাতুল ফিত্র পরিশোধ করা সাহাবাদের আমলের বিপরীত। তারা তা আদায় করতেন খাদ্য দ্রব্যের মাধ্যমেই।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লাম বলেছেন, তোমাদের জন্য অনুসরণ যোগ্য হল, আমার আদর্শ ও খোলাফায়ে রাশেদার আদর্শ।
কেননা সদকাতুল ফিতরা নির্দিَষ্ট কিছু বস্তু দ্বারা আদায় করার জন্য ফরয করা হয়েছে। সুতরাং উহা নির্দিَ কিছু বস্তু ছাড়া অন্য কিছু দ্বারা আদায় করলে আদায় হবে না। যেমন তা নির্দিَষ্ট সময় ছাড়া আদায় করা যায় না। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লাম উহা বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী দ্বারা আদায় করতে বলেছেন।
যদি উহা পরিবর্তনশীল মূল্য দ্বারা হয়, তখন কোন বস্তুর সা দ্বারা আদায় করতে হবে? কাজেই তা অন্য বস্তুর মূল্য দ্বারা আদায় করলে আদায় হবে না।
আর সাদকাতুল ফিতর একই জাতীয় গমের মূল্য দ্বারা আদায় করবে। অথবা সদকাতুল ফিতর আদায় করতে হবে এমন খাদ্য দ্বারা যা ছোট বড় সকল মানুষের নিকট সুপরিচিত।
আর ফিতরা এর পরিমাণ হলো এক সা। যা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লামের যুগে ছিল। যার ওজন ছিল দুই কিলোগ্রাম। যা ভাল গম দ্বারা আদায় করবে।
আর যদি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লাম এর সা দ্বারা ওজন করতে চান তাহলে দুই কিলো চল্লিশ গ্রাম ভাল গম দ্বারা আদায় করবেন।
সাদকাতুল ফিতর আদায় করার সময় হলো ঈদের দিন ঈদের নামাজের পূর্ব পর্যন্ত। যদি কেউ কারো পক্ষ হতে আদায় করে দেয় তাহলে আদায় হবে। আর যদি কোন ব্যক্তি ঈদের পূর্ব দিন সূর্য উঠার পূর্বে মারা যায় তাহলে তার জন্য ফিত্রা ওয়াযিব হবে না। আর যদি উহার পর মারা যায় তাহলে তার উপর ফিতরা ওয়াজিব হবে। আর যদি সূর্যোদয়ের পর কোন সন্তান ভূমিষ্ঠ হয় তাহলে তার উপর ফিতরা ওয়াযিব হবে না। আর যদি সূর্যোদয়ের পূর্বে ভূমিষ্ঠ হয় তাহলে তার উপর ফিতরা ওয়াজিব হবে।
ফিতরা আদায় করার দুইটি সময়। একটা হলো ফযিলতের সময়, আর একটা হলো জায়েয সময়। আর উত্তম সময় হলো ঈদের দিন সকাল বেলা ঈদের নামায আদায় করার পূর্বে।
যেমনি ভাবে বুখারী শরীফে এসেছে-
আবু সাঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন: আমরা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এর যামানায় ফিতরা আদায় করতাম খাদ্যদ্রব্য দ্বারা।
আর এমনিভাবে ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত আছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফিতরা আদায় করতে বলেছেন নামায আদায় করতে যাওয়ার পূর্বে। (মুসলিম)
এমনিভাবে উহা আদায় করা উত্তম হলো ঈদের নামায আদায় করার পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত। আর উহা আদায় করার জায়েয সময় হলো ঈদের একদিন পূর্বে অথবা দুইদিন পূর্বে।
যেমনিভাবে সহীহ বুখারীতে নাফে হতে বর্ণিত আছে। ইব্নে উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু ছোট বড় সকলকে দান করতেন ঈদের একদিন অথবা দুইদিন পূর্বে।
আর বিনা কারণে ঈদের নামাযের পূর্বে আদায় না করলে তা জায়েয হবে না। আর এটা সদকাতুল ফিতর হিসাবে কবুল করা হবে না। কেননা এটা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লাম এর নির্দেশ এর বিপরীত হয়েছে। আর ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত হাদীসে আছে, তিনি বলেন, যিনি সাদকাতুল ফিতর ঈদের নামাষের পূর্বে আদায় করবে তাহলে উহা গ্রহণ বা আদায় বলে গণ্য হবে। আর যদি ঈদের নামাযের পর আদায় করা হয়, তবে উহা সাধারণ সদকাহ এর ন্যায় হবে।
আর যদি কেউ উহা ওজর বশত বিলম্বে আদায় করে তবে কোন দোষ নেই। যেমন ঈদের নামাযের পূর্বে আদায় করার মত কোন জিনিস তার নিকট নেই যার দ্বারা সে আদায় করবে। অথবা তার নিকট এমন কোন ব্যক্তিও নেই যে তার পক্ষ হতে আদায় করে দেবে। আর ফিতর আদায় করার ওয়াজিব হলো উহা তার প্রাপ্য বক্তিগণের নিকট পৌছিঁয়ে দেয়া। অথবা উহা নামাযের পূর্বে আদায় করার জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ করা। যদি আদায় করার মত কোন লোক পাওয়া না যায় এবং কোন প্রতিনিধিও পাওয়া না যায়, তাহলে আদায় করার সময় তা অন্য প্রাপকদের নিকট পাঠিয়ে দেবে। কিন্তু কোনভাবেই উহার শেষ সীমা অতিক্রম করা যাবে না।
আর ফিতরা আদায় করার স্থান হলো, সে তার নিজ এলাকার মিসকিনগণ হোক বা অন্য এলাকার। উহা ইসলামী রাষ্ট্র হউক অথবা অনৈসলামিক রাষ্ট্র হউক। এতে কোন দোষ নেই। আর যদি সেখানে সদকা গ্রহণ করার মত কোন লোক পাওয়া না যায় তাহলে উহা অন্য কোন স্থানে মিসকীনদের নিকট পাঠিয়ে দেবে। অথবা আদায় করার জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ করবে।
আর ফিতরা পাওয়ার অধিকারী হলো ফকির, মিসকীন, অভাবী, এমন ঋণগ্রস্ত যে তার ঋণ আদায় করতে সক্ষম নয়। তাদেরকে উহা এক ফিৎরা পরিমাণ অনুযায়ী দেবে। আর ফকিরকে এক ফিতরার পরিমাণের বেশিও দেয়া যাবে। অথবা উহা একজন মিসকিনকেও দেয়া যাবে।
কেননা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লাম উহার নির্ধারণ করেছেন কিন্তু উহা প্রাপকদের সংখ্যা নির্ধারণ করেননি। যদি উহা নেয়ার জন্য অনেক লোক আগমন করে তবে উহা যে কোন এক লোককে দিয়ে দেয়া যাবে। আবার সকলের মধ্যে বন্টন করেও দেয়া যাবে। তবে তাদের সবাইকে একই পরিমাণে দেবে। এবং উহা যেন তারা দ্বিতীয়বার ওজন না করে। আর ফকিরের জন্য জায়েয আছে সে উহা নিজে গিয়ে গ্রহণ না করে লোকের মারফৎ গ্রহণ করবে। তবে তার উপর তার বিশ্বাস থাকতে হবে।
হে আল্লাহ! তুমি আমাদেরকে তোমার পথের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকার ক্ষমতা দাও যা তোমার পক্ষ হতে খুশির কারণ হয়। আর আমাদের আত্মাসমূহকে পবিত্র কর। আর বিশুদ্ধ কর আমাদের কথা, কাজসমূহকে। এবং আমাদের খারাপ আকীদা কথা ও কাজ সমূহকে সংশোধন করে দাও। নিশ্চয় তুমি উত্তম দানশীল।
وَصَلَّى اللهُ وَسَلَّمَ عَلَى نَبِيِّنَا مُحَمَّدٍ وَّآلِهِ وَصَحْبِهِ أَجْمَعِيْنَ
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে আগস্ট, ২০১০ দুপুর ১:৫৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




