
ছবি:৩নং চরমোহনা অনলাইন ফোরম।
রাজন হত্যার পর যে ভাবে সারাদেশ সোসাল মশাল নিয়ে প্রতিবাদের ঝড় উঠিয়েছিল যখন,
ভেবেছিলাম যাক এক রাজন হাজারো মানুষের চোখ খুলে দিয়েছে।
কিন্তু আজো দেশের আনাচে কানাচে এই বর্বরতা দিন দিন বেড়েই চলছে।
তার জলন্ত প্রমান, এই ছবির ছেলেটি। ঘটনাটি ঘটে লক্ষ্মীপুর জেলার,রায়পুর থানার,৩নং চরমোহনার ৫নংওয়ার্ডে।
একটা চায়ের দোকানের চুরিকে কেন্দ্র করে ছেলেটিকে
গাছের সাথে বেধে অমানসিক নির্যাতন করা হয়,যা এই ১১/১২বছর বয়সী শিশুটির জন্য মোটেই কাম্য নয়।
হ্যা, হয়তোবা ছেলেটির সবচেয়ে বড় দোষ ও চুরি করেছে।
কিন্তু ও তো শিশু! আমরা সবাই কম বেশি বলে থাকি শিশু হচ্ছে নিষ্পাপ, নির্ভোধ,মাঝে মাঝে আমরা অনেকেই এই কথাও বলতে ভুলি না যে, শিশু হচ্ছে গভাধি পশুর মত পোষ মানালে পোষ মানে।আমরা আরো বলি ওরা যেটাই করে অবুঝ বিধায়ই করে।
যারা এই শিশুটির এমনটা করেছে তারা বোদয় এতটাই মূর্খ যে, শিশু শব্দটির সাথে অবুঝ শব্দটা যে কতটা সাদৃশ্য তারা জানে না।
নিজের সন্তানের বেলায় তো খুব বলি বাদ দাও,ও তো ছেলে মানুষ!
বাধ্য হয়ে এমনটা মনে করতে হচ্ছে,রাজন হত্যার নিশাচররা মনেহয় দৃষ্টান্ত শাস্তি পায়নাই।যদি পেয়ে থাকে তবুও কেন এমনটা ঘটেই চলেছে?
লজ্জা হচ্ছে বলতে,আমাদের বিচারকরা শিশুর বিচার করতে ভালোই জানে। কোই এমন তো দেখিনা কোন সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজির এমন ভাবে বিচার করতে?
-ধীক্কার জানাই এসব অমানসিক বিচারকে।
প্রতিবাদ জানাই এসব অমানসিক নির্যাতনের।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৫:০৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



