আমি লিসবনে আসার পর থেকে একটা জিনিস খেয়াল করছি, এখানকার পোলাপানরা মাঠে শুধু দৌড়ায় না, খালি একটার সাথে আরেকটা ঘষাঘষি করে।
আমাদের দেশে ফুটবল খেলার সময় আমরা বল নিয়ে দৌড়াই, সুযোগ পেলে গোল দেই। আর এখানে দেখি, বল পাওয়ার চেয়ে একজন আরেকজনের পায়ে কীভাবে পা লাগাবে, কে কার ঘাড়ে গিয়ে পড়বে, তা নিয়েই বেশি চিন্তিত। মনে হয়, এরা ফুটবল খেলে না, একে অপরের সাথে কুস্তি লড়ে।
একবার আমাদের ওসমান ভাই, যিনি জীবনে কোনোদিন ফুটবল খেলেন নাই, উনি আমার সাথে তর্ক করতে আসলেন যে পর্তুগালের ফুটবল নাকি দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ। আমি বললাম, “ভাই, যে খেলায় একজন খেলোয়াড় ১০ মিনিট পর পর মাঠে গড়াগড়ি খায় আর ডাক্তারকে দিয়ে ফু দেয়ায়, সে খেলা ভালো হয় কীভাবে?”
ওসমান ভাই বললেন, “এটাকে বলে ট্যাকলিং, বোঝো না!” আমি বললাম, “ট্যাকলিং না, এটাকে বলে ফাউল। ফাউল করা যদি স্মার্টনেস হয়, তাহলে তো আমাদের গোলাপ ভাইই সবচেয়ে স্মার্ট। উনি তো কথায় কথায় ফাউল করেন।”
আর এখানকার ছেলেমেয়েরা! তারা তো ফুটবলকে মনে হয় ধর্ম বানিয়ে ফেলেছে। যেদিন ম্যাচ থাকে, সেদিনই দেখি রাস্তাঘাট খালি। সবাই টিভির সামনে বসে থাকে। সেদিন ওদের একজনকে জিজ্ঞেস করলাম, “ভাই, এত উত্তেজনা কেন?” সে বলল, “আমাদের ফুটবলাররা হারলে আমরা নাকি দেশ হিসেবে হেরে যাই।”
আমি মনে মনে হাসলাম। আর বললাম ব্যাটা বাংলাদেশেত জন্মাও নাই তাই বুঝবানা, প্রতি ম্যাচ হারার পরেও বেশরমের মত পরের ম্যাচে আবার ঠিকই এই হালাগোরে সাপোর্ট কইরা গলা ফাডাইয়া ফালাই। আর তুমি আমারে হার জিতের ছবক দেও।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


