চিন্তা দূষিত হলে দূষিত হয় মন। তারপর সেই দূষিত মনে ভালো কাজ করা কষ্টকর। তারচেয়েও কষ্টের তো সেই মনে ভালো মানুষ হওয়া!
সব তো বলে "অধীনস্থের ওপর আমার পুরা ছে পুরা কন্ট্রোল!" তাও বিদ্রোহ হয়। অধীনস্থরা দলে দলে ভাগ হয়।
"আচ্ছা ঠিকাছে। অধীনস্থ না হোক, আমার পরিবারের সবে তো আমার কথা মতো চলে।"____ জোর বিশ্বাসে বলবে কেউ কেউ। তবুও বৌ পরকিয়া করে অগোচরে। ছেলে গ্যাংয়ে ঘোরে। মেয়ের বালিশের নিচে মোবাইল। আর ভাই__ ইনকাম করতে শিখলে নিজের মতো। নিয়ন্ত্রণ কোথায়?
"অন্তত নিজের ওপর তো নিয়ন্ত্রণ আছে।"__ না রে ভাই। হঠাৎ যদি এই এখুনি আমার পা দুটি অবশ হয়ে যায়, তো? চলাতে পারবো পূর্বের মতো। হার্টকে এক সেকেন্ডের জন্যেও নিশ্চুপ করার নিয়ন্ত্রণ নাই তোমার/আমার। কারোরই নেই...
আসল চাবি আরেকজনের হাতে!
শুধু একটাতে নিতে পারি নিয়ন্ত্রণ; মনে। এখন মন চাইল, ঘুরতে যাব, নাও যেতে পারি। মন বলল, মুভি দেখবে/ সিগারেট খাবে/ পরের ফাঁকি দেবে/ অন্যের অধিকার ছিনিয়ে নেবে... এগুলোয় মনকে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা আমাদের আছে।
এগুলো নিয়ন্ত্রণে কিছু কিছুতে অঙ্গ (চোখ, পা, হাত...) লাগে। তখন নিয়ন্ত্রণ আসবে দেহে।
পরিবার কথা মান্য করবে, অধীনস্থ শ্রদ্ধা করবে আর ধীরে ধীরে সমাজে পাবেন গ্রহনযোগ্যতা।
এ হিসেবে সবটার মূলে মূলত মন। যেটায় নিয়ন্ত্রণে দরকার জ্ঞান; বিদ্যে নয়।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৩৩