এই তো ক'দিন আগে সেলিব্রিটি জয়া আহসানের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে পোস্ট করা এক ছবিতে ক্যাম্পাসের- হলের কিছু ছাত্রের মন্তব্যের স্ক্রিনশট দেখিয়েছিল কাছের এক বন্ধু। "ঢাবির ছাত্ররাও এমন হয়!"__ভাবখানা তার এমন।
যদিও আশ্চর্য আর মর্মাহত হবার মতোই ছিল মন্তব্যগুলো। যদিও "নববর্ষ কেলেঙ্কারি"র সূত্র ধরলে অতটা আশ্চর্য হবেন না। আর 'অশিক্ষিত গণ্ডমূর্খরা' এমন মন্তব্য করে না। 'শিক্ষিত-ধার্মিক-গণ্ডমূর্খরা'ই এমন মন্তব্য করতে পারে। (বিদ্যা-ধর্ম তো এখন অপরাধের অনেক বড় হাতিয়ার।)
আশঙ্কা হচ্ছে, (আল্লা না করুক), এমসির দাগ না জানি কবে "অপরাজেয় বাংলা"র পাদদেশে পড়ে!
ফেসবুক, ইন্স্টায় কোনো সেলিব্রেটির ছবির কমেন্টস অপশনে একটু ঢু মারেন। দু'/পাঁচ সেকেন্ডর মধ্যে বুঝবেন আপনি কোন দলে আছেন; মানসিক বিকারগ্রস্তদের দলে নাকি-বাইরে।
একে একে সবটা পাগলা গারদে ভরে আছে!
"কাদের সংখ্যা বেশি?"__এই প্রশ্ন যদি আপনাকে আতঙ্কগ্রস্ত করতে না পারে তো ভাবতে পারেন, "আপনার সন্তানকে কোথায়, কোন খাঁচায় রেখে বড় করেবেন? মানুষ হওয়া তো ঢের দূরে! কাদের সাথে মিশবে সে? কী শিখবে?"
ছেলে জন্ম দিলেন তো বন্ধনিতে বাসা/বয়স উল্লেখ করে আপনার নাম হবে পত্রিকার শিরোনাম, "উমুকের ছেলে উমুক স্কুল পড়ুয়া/কলেজ পড়ুয়া মেয়েকে... আরে স্কুল/কলেজ কী, শকুনের আবার মড়া বাছা!"
আর মেয়ের বাবা হলেন তো চিন্তা আরো বেশি...!
এখনো সময় আছে। যার যার জায়গা থেকে পরিবারের, পাড়ার ছেলেদের সচেতন করি। তাদের হাতে ফোনের পাশাপাশি বই ধরিয়ে দেই। (সিলেটি বই না.. মানিক, বিভূতি, ঠাকুর, শরৎ, আলী, নজরুল... যা পড়ে নিজের আর অপরের মূল্য বোঝে সেই বই।)
পরীক্ষায় কত মার্কসের সাথে সাথে "কোন কোন ভালো কাজ করেছে"__সেটাও জানতে চান।
যদি পত্রিকার শিরোনামে না থাকতে চান।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:০৬