গত ১৯ মে পরীক্ষা ছিল ধানমন্ডি ৩২ এর ঠিক উল্টো পারে, রাস্তার ওপারে। পুব পাশে। ফেরবার সরাসরি বাস নেই। তাই ভাবলাম চরণ বাবুর গাড়িতে চড়ে বঙ্গবন্ধুর বাড়িটুকু পার হয়ে পশ্চিমের রাস্তায় গিয়ে রিক্সা নেবো। সেই ভেবে হাঁটা শুরু।
লেকের হাওয়া মনে লাগলে যা হয়, গুণ গুণ করে গাইতে গাইতে ফিরছিলাম। 'মধুর তোমার শেষ যে না পাই…' হাঁটতে ভালোই লাগছিল। পরিবেশটা ফুড়ুৎ করে ফুরিয়ে যায় না। রিক্সা, বাসে উঠলে যেমনটা হয়।
মনের গুনগুনানি শান্তির-হাওয়া চারপাশের পরিবেশে লাগিয়ে ফিরতে ফিরতে লেকের ধারে এক অবহেলিত ভাঁটফুলের চোখে চোখ পড়তে থমকে গেল মন। রূপ নেই তার। বাহারও নেই, নেই ফুলের আড়ম্বর, নেই পত্র-পল্লবের পূর্ণতা। কিন্তু ওই মুক্ত হাওয়ায় সে যেন খুশির রাজা! খুশিতে দুলে দুলে সে নৃত্যনাট্য লিখিতেছে যেন। হা-করে দেখতেছিলাম। পাশ দিয়ে খান কতক গাড়ি গেল ঝাঁক ধরে।
তাদেরই সাইড দিতে গিয়ে সুরটা গেল কেটে। তালটাও থমকে হারিয়ে গেল। আবার হাঁটা শুরু। ততক্ষণে গান বদলে গেছে মনের আবহাওয়ার তালে তালে।
রিক্সায় ফিরতে ফিরতে বাকি পথটুকুতে যে অকাজ করেছিলাম __
তবে তাই হোক...।
ভাটের* ভেতরটা অবধি উথলে উঠুক
প্রচ্ছন্ন বিরহের লোভে। মরমে মরমে মরুক সে হতভাগী
সুখের কাঁটায় বিঁধিয়ে-শান্তিরে নিজ কুঞ্জে ঘরছাড়া হোক সে বিবাগী।
ললাটে যার মদন টিকা জ্বলজ্বলে
ছিড়ে কী হবে সায়ন্তনে গাঁথা-মালা পথে ছুঁড়ে ফেলে?
নয়ানে নয়ানে তার উফছায় পেয়ার।
হাল-বেহাল মে বেহুঁশ, হরদম মদে মত্ত পিয়ে পেয়ারকা পেয়ালা
তেজারতির পাল্লায় ফেলে জীবন, কেনে হৃদয়।
মচ্ছব করে দুখের আগমনে,
ইচ্ছে করে আরাধ্য সুখ-শান্তিরে পোড়ায়!!
লেগেছে আগুন কুঞ্জে কুঞ্জে-মনে।
কালের কলঙ্কিনী কয়, 'আয় আয় সখি পুড়ে মরি একসনে,
সবার কী ভাগ্য এত সুপ্রসন্ন হয়?'
(এবার নিচের থেকে কবিতার প্রতি লাইনের শুধু প্রথম বর্ণটাই পড়েন।
ছবি- newsg24
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১২:১৮