সামুতে কয়েকদিন ধরে লক্ষ্য করছি বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ নিয়ে কিছু স্বার্থবাদি ধর্মান্ধ মুসলমান ইসলামের দোহাই দিয়ে নানা আকথা-কুকথা ছড়াচ্ছে । সামুতে আগেও এসব সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক মতপ্রকাশের সম্মিলিত মহড়া দেখেছি।
যারা ইসলামের নামে সাম্প্রদায়িকতা আর ধর্মান্ধতার বিষ ছড়িয়ে যাচ্ছে, যারা বাঙালি হিসেবে জন্মপরিচয় দিতে কুণ্ঠা বোধ করে, যারা দেশের মাটির চেয়ে মরুভূমির বালিতে উটের বিষ্ঠা হতে ভালবাসে, যারা বাংলাদেশের নদী-জল-আলো-বাতাসে বড় হয়ে বাংলা ভাষায় মা-বাবার আদর-স্নেহ নিয়ে অবলীলায় তার কুৎসা গায় আর মুসলমান ছাড়া অন্য সকল ধর্মের মানুষদেরকে বিশ্বাসকে ঘৃণা করে তাদের জন্য পবিত্র কোরআন এবং হাদিস শরীফে অনেক হেদায়েত আছে । তার দু'একটি:
১.
তোমার প্রতিপালক ইচ্ছা করলে পৃথিবীতে যারা আছে সকলেই বিশ্বাস করত। তাহলে কি তুমি বিশ্বাসী হওয়ার জন্য মানুষের ওপর জবরদস্তি করবে ? (আল কুরআন ১০:৯৯)"
২. আর তারা আল্লাহ্ কে ছেড়ে যাদের ডাকে তাদেরকে তোমরা গাল দেবেনা, কেননা, তারা (সীমালঙ্ঘন করে) অজ্ঞানতাবশত আল্লাহকেও গাল দেবে। এভাবে প্রত্যেক জাতির চোখে তাদের কার্যকলাপ শোভন করেছি। (ঐ ৬ :১০৮)
৩.
হে মানুষ ! আমি তোমাদেরকে এক পুরুষ ও এক নারী থেকে সৃষ্টি করেছি, পরে তোমাদেরকে বিভক্ত করেছি বিভিন্ন জাতি ও গোত্রে, যাতে তোমরা এক অপরের সাথে পরিচিত হতে পার। (ঐ ৪৯:১৩)
এরপরও কি আমরা কিছু মূর্খ ও অজ্ঞান ধর্মান্ধ মানুষের মনগড়া কথায় বিধর্মী-কাফের-ইহুদী-পৌত্তলিক ইত্যাদি নানা অভিধায় মানুষকে অভিহিত করবো ? প্রত্যেক মানুষই আল্লাহর সৃষ্টি এবং প্রত্যেক মানুষের মত ও পথকে শ্রদ্ধা করার নির্দেশ আল্লাহ পবিত্র কুরআনে বারবার দিয়েছেন। এ বিষয়ে যদি কেউ হযরত অমুক-তমুকের ব্যাখ্যা এনে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায় তো তাদের জন্য পরকালে আল্লাহ নিশ্চয়ই কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা রেখেছেন। আমিন ।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




