১/ ইসলাম কি দাসপ্রথাকে আদৌ সমর্থন করে? (১ম- পর্ব) এবং
২/ ইসলাম কি দাসপ্রথাকে আদৌ সমর্থন করে? (২য়- পর্ব)
৩/ ইসলাম কি দাসপ্রথাকে আদৌ সমর্থন করে? (৩য়- পর্ব)] -দেখে নিলে বুঝতে সুবিধা হবে।
......................................................................................................
ইসলাম কি দাসপ্রথাকে আদৌ সমর্থন করে? (৪র্থ- পর্ব)
এক ভাই বলেছেন যে,
আল-কোরআনের (১৬:৭৬) নং আয়াতটিতে নাকি দাসপ্রথাকে ইসলামে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে!! যার মাধ্যমে আল্লাহ ন্যায়বান ও সত্যপন্থী মুক্ত মানুষ বা প্রভুদেরকে, বোবা, অকেজো ও বোঝাস্বরূপ ক্রীতদাসদের থেকে পৃথক করেছেন-
…………………………………………………………………
আমার জবাব-
অনেকে (১৬:৭৬) নং আয়াতটি খন্ডিতভাবে উল্লেখ কোরে আল-কোরআনে দাস-প্রথাকে অনুমোদন দেয়া হয়েছে বলে দাবি করে থাকেন। কিন্তু যা মোটেই ঠিক নয়। মূলত এই আয়তের বক্তব্য বুঝতে হলে এর আগের আয়াতের বক্তব্য, সেই সাথে এর আগের পর্বের আলোচনা এবং (৯০:১০ - ১৩), (০২:১৭৭), (০৪:৯২), (০৫:৮৯) নং আয়াতের বক্তব্যকেও অনুধাবন করতে হবে। (১৬:৭৫) ও (১৬:৭৬) নং আয়তে দাস-প্রথাকে অনুমোদন নয়, বরং উপমা হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে মাত্র-
সূরা নাহল (মক্কায় অবতীর্ণ)
(১৬:৭৫) অর্থ- আল্লাহ্ উপমা দিচ্ছেন একজন কৃতদাসের, যে অপরের অধিকার ভুক্ত এবং যার কোন ক্ষমতা নাই। এবং (অপর) একজন লোক যাকে আমার পক্ষ থেকে উত্তম অনুগ্রহ দান করা হয়েছে এবং সে সেখানে থেকে গোপনে এবং প্রকাশ্যে দান করে। এই দুজন কি সমান? সকল প্রশংসা আল্লাহ্র। কিন্তু তাদের অধিকাংশ তা জানে না।
এই আয়াত ও পরবর্তী আয়াতে দুইটি উপমা ব্যবহার করা হয়েছে। প্রথম উপমাটি হচেছ, একজন ক্রীতদাসকে একজন স্বাধীন ও পূণ্যবান লোকের সাথে তুলনা করা হয়েছে। যে ক্রীতদাস তার নিজস্ব কোনও ক্ষমতা নাই, ভালো বা মন্দ কিছু করারই স্বাধীনতা নাই- কারণ সে তার অভিভাবক বা মালিকের উপর নির্ভরশীল। অপর জন স্বাধীন ও মুক্ত মানুষ যে, তাঁর সম্পদ অভাবী ব্যক্তিকে দান করে, প্রকাশ্যে বা গোপনে। তাঁকে বাধা দেয়ার কেউ নাই। কারণ সে সামর্থবান ও ক্ষমতার অধিকারী হওয়ায় কারও উপরে নির্ভরশীল নয়। ক্রীতদাসকে এখানে মিথ্যা উপাস্যের উপাসকের সাথে তুলনা করা হয়েছে। সমাজ জীবনে এরূপ মিথ্যা উপাস্যের উপমা হাতে গড়া মূর্তি ব্যতীত আরও অনেক প্রকার হতে পারে। যেমন: প্রাকৃতিক শক্তি, যার নিজস্ব কোনও শক্তি নাই এবং যা আল্লাহ্র হুকুমে পরিচালিত হয় মাত্র। আবার অনেকে বীর পূজা করে এবং এই পূজাতে তাকে দেবতুল্য কোরে তোলে। কিন্তু মানুষ বুঝতে অক্ষম যে, বীরত্ব, মহত্ব ইত্যাদি সব আল্লাহ্রই দান - তার নিজস্ব কিছুই নাই। এরূপ পূজার শেষ নাই, প্রগতির নামে কেউ বিজ্ঞান, কেউ সাহিত্য, কেউ শিল্পের পূজারী। কিন্তু তারা বুঝতে অক্ষম যে এ সবই বান্দার জন্য আল্লাহ্র দান। বান্দার নিজস্ব কোন ক্ষমতা এখানে নাই। জগত সংসারের অধিকাংশ মানুষ নিজ প্রবৃত্তির দাস।
সূরা নাহল (মক্কায় অবতীর্ণ)
(১৬:৭৬) অর্থ- আল্লাহ্ দুইটি মানুষের (আরেকটি) উপমা দিতেছেন। তাদের একজন মূক, কোন কিছু করার শক্তি রাখে না। তার অভিভাবকের জন্য সে বোঝা স্বরূপ। তাকে যেখানেই পাঠানো হোক না কেন, সে ভালো কিছুই করতে পারে না। এই লোক কি সেই লোকের সমান হতে পারে যে ন্যায়ের নির্দেশ দান করে এবং সরল পথে থাকে?
দ্বিতীয় উপমাটি দেয়া হয়েছে দুই ব্যক্তির। যাদের একজন মূক এবং কোন কিছুই ব্যাখ্যা করতে বা বুঝতে পারে না। তার মালিক/অভিভাবক তাকে যাই করতে বলুক না কেন সে তা করতে অক্ষম - সে তার অভিভাবকের উপরে বোঝা স্বরূপ। যে ভালোর পরিবর্তে মিথ্যা উপাস্যকে গ্রহণ করে। তাদের মিথ্যা উপাস্যকে তুলনা করা হয়েছে- মূক ও শক্তিহীন অপদার্থ ব্যক্তিরূপে। অপর ব্যক্তির তুলনা হচ্ছে- যে ন্যায়বান, ন্যায়ের পথে চলে, এবং অন্যকে ন্যায়ের ও সত্য পথে চলতে নির্দেশ দান করে। সে কারও অধীন নয় বরং সে অন্যকে পরিচালনা করে। দ্বিতীয় উপমাটিতে সূক্ষ্ণভাবে আল্লাহ্র অবস্থানকে বর্ণনা করা হয়েছে। আল্লাহ্ কারও উপরে নির্ভরশীল নন। তিনি সমস্ত পৃথিবীর মালিক/প্রভু এবং তিনি তার নেয়ামত দান কোরে সৃষ্ট জগৎকে ধন্য করেন।
সুতরাং যারা আল্লাহ্ ব্যতীত অন্য কিছুকে উপাস্য রূপে গ্রহণ করে, উপরের আয়াতগুলোতে তাদের সম্বন্ধে বলা হয়েছে। তাদের অপরাধ দ্বিবিধ, যার সার সংক্ষেপ হচ্ছে-
(১) যারা মিথ্যা উপাস্যের অধিকারী তারা স্রষ্টা ও তার সৃষ্ট জীব বা বস্তুর মধ্যকার বিশাল ব্যবধানকে অনুধাবন করতে অক্ষম। তারা পার্থিব বিষয় বস্তুকে তাদের উপাসনার বিষয় বস্তুতে পরিণত করে। তারা সৃষ্ট জীব ও বস্তুতে দেবত্ব আরোপ করে। এভাবেই তারা আল্লাহ্র মহিমা ও শক্তিকে খর্ব করে দেখে। এসব লোকই তাদের শ্রেষ্ঠত্বের অংশ, যা আল্লাহ্রই তাদেরকে দান করেছেন তা কোনও অবস্থাতেই অন্য কারো সাথে ভাগ করে নিতে চায়না। কারণ তাদের ক্ষুদ্র স্বার্থ-বুদ্ধি, অহমিকা, আত্মম্ভরিতা তাদের বাঁধার সৃষ্টি করে। কিন্তু আল্লাহ্ সম্বন্ধে তারা নির্বিচারে আল্লাহ্র ক্ষমতাকে, মহিমাকে তাদেন সৃষ্ট উপাস্যে অর্পন করতে দ্বিধা করে না।
(২) এ সব লোকেরা আল্লাহ্র চোখে অকৃতজ্ঞ। কারণ তারা ভুলে যায় সকল মঙ্গল, সকল কল্যান ও সকল শ্রেষ্ঠত্ব আল্লাহ্ প্রেরিত। তাদের সমৃদ্ধ জীবনের জন্য একমাত্র আল্লাহ্র কাছেই কৃতজ্ঞতা জানানো উচিত ছিলো।
.....................................................................................................
জনৈক পাঠকের মন্তব্য-
ইন্টারনেটে যা দেখলাম তা যদি ইহুদী নাসারাদের অপপ্রচার না হয় নবীজি ১১ টি বিয়ে করেন এবং দুই জন রক্ষিতা বা concubine রাখেন। সমস্ত খলিফারাই ৪ বা ততধিক বিয়ে করেন। সোদি বাদশাহ এবং ধনীরা সবাই একাধিক বিয়ে করেন।
সুতরাং একমাত্র ইসলামের প্রবর্তক ই ১১ জন স্ত্রীকে সুখী করতে পারতেন। অন্যেরা পারবে না।
তারা কোরানের সুরা মানেন না কারন ঐ খানে মাত্র একবার বিয়ে করতে বলা আছে (আপনার মতে) তাহলে প্রকৃত মুসলিম কে? আপনার সুরা না নবিজী বা খলিফাদের কীর্তি?
....................................................................................................
আমার জবাব-
আপনি বলেছেন যে, নবীজি ১১ টি বিয়ে করেন এবং দুই জন রক্ষিতা বা concubine রাখেন। সমস্ত খলিফারাই ৪ বা ততধিক বিয়ে করেন। সোদি বাদশাহ এবং ধনীরা সবাই একাধিক বিয়ে করেন।
নবীজি ১১ টি বিয়ে করেন এবং যা ঐতিহাসিক সত্য। সেই সমযের প্রেক্ষাপটে বিশেষ কারনে আল্লাহতায়ালা তাঁকে আল-কোরআনে সেই পারমিশন দিয়েছিলেন। যদিও সঙ্গত কারনেই আল্লাহতায়ালা যুদ্ধবন্দীদের বিয়ে করার ব্যাপারে শুধুমাত্র তাঁর জন্য কোন সংখ্যা নির্দিষ্ট করে দেন নাই। তারপরও তিনি কিন্তু অসংখ্য যুদ্ধবন্দীনিকে বিয়ে করেন নাই। চাইলে সেটা করারও তাঁর জন্য পারমিশন ছিল-
এখানে দেখুন-
Why did Prophet Muhammad (pbuh) have Eleven wives?
সূরা আল আহযাব (মদীনায় অবতীর্ণ )
(৩৩:৫০) অর্থ- হে নবী! তোমার জন্য তোমার স্ত্রীদের হালাল করেছি, যাদেরকে তুমি মোহরানা প্রদান করেছ। আর (মা-মালাকাত-আইমিনুকা-'ডান হাতের অধিকারভূক্তদের') যুদ্ধ-বন্দিনীদের মধ্য থেকে যাদেরকে আল্লাহ তোমার জন্য মনোনীত করে দেন এবং তোমার চাচাতো ভগ্নি, ফুফাতো ভগ্নি, মামাত ভগ্নি, খালাত ভগ্নি- যারা তোমার সাথে হিজরত করেছে এবং কোন মুমিন নারী যদি নিজেকে নবীর কাছে সমর্পণ করে এবং নবী তাকে বিবাহ করতে চাইলে তা বৈধ। এটা বিশেষ করে তোমারই জন্য, অন্য মুমিনদের জন্য নয়। তোমার অসুবিধা দূরীকরণের উদ্দেশে। মুমিনদের স্ত্রী ও (মা-মালাকাত-আইমানুহুম-'ডান হাতের অধিকারভূক্তদের') যুদ্ধ-বন্দিনীদের/দাসীদের ব্যাপারে যা নির্ধারিত করেছি তা আমার জানা আছে। আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়ালু।
(৩৩:৫১) অর্থ- তুমি তাদের (বিবাহিত স্ত্রীদের) মধ্যে যাকে ইচ্ছা দূরে রাখতে পার এবং যাকে ইচ্ছা কাছে রাখতে পার। তুমি যাকে দূরে রেখেছ, তাকে কামনা করলে তাতে তোমার কোন দোষ নেই। এতে অধিক সম্ভাবনা আছে যে, তাদের চক্ষু শীতল থাকবে; তারা দুঃখ পাবে না এবং তুমি যা দাও, তাতে তারা সকলেই সন্তুষ্ট থাকবে। তোমাদের অন্তরে যা আছে, আল্লাহ জানেন। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সহনশীল।
(৩৩:৫২) অর্থ- এরপর তোমার (বিয়ের) জন্যে কোন (স্বাধীন) নারী হালাল নয় এবং তাদের (পূর্বের স্ত্রীদের) পরিবর্তে অন্য স্ত্রী গ্রহণ করাও হালাল নয়, যদিও তাদের রূপলাবণ্য তোমাকে মুগ্ধ করে, তবে (মা-মালাকাত-আইমিনুকা-'ডান হাতের অধিকারভূক্তদের') যুদ্ধ-বন্দিনীদের (বিয়ের করার) ব্যাপার ভিন্ন। আল্লাহ সর্ব বিষয়ের উপর সজাগ নজর রাখেন।
সুতরাং অবৈধ কোন প্রকার সম্পর্ক করার তাঁর কোন প্রয়োজনই ছিলনা এবং তিনি তা করেনও নাই। অন্য কারো (স্বাধীন/যুদ্ধবন্দী নারী) সাথে তাঁর সম্পর্ক ছিল না। কোন যুদ্ধবন্দীনি তাঁর পরিবারে আশ্রয় পেলেও পরিবারের অন্যান্য সাধারন সদস্য হিসেবেই থাকতেন।
খলিফা ও সাহাবাদের সময় যুদ্ধ বিগ্রহের কারণে ৪ বিয়ে করা যে জায়েজ ছিল (০৪:০৩) তা আগেই বলেছি। আল-কোরআনের সাথে সামঞ্জস্যহীন কোন হাদিছ বা অন্য কারো মনগড়া ফালতু কথার কোন ভিত্তি নেই। ইহুদিদের মিথ্যা প্রচারে যারা কান দেয় তারাই পথভ্রষ্ট-
তবে সৌদি বাদশা বা ধনীরা কি করে তা কখনই মুসলিমদের আদর্শ নয়- আমি সব সময়ই এসবের ঘোর বিরোধিতা করি-
...................................................................................................
জনৈক পাঠকের মন্তব্য-
আপনার বক্তব্যের অসারতা হচ্ছে " Circular argument" বা বৃত্তাকার যুক্তি। কোরান নবীজি, আল্লাহ একের দোহাই দিয়ে অন্যকে সঠিক প্রমান করার প্রয়াস । যেমন আল্লাহ সঠিক কারন কোরানে আল্লহ'র ওহী নাজিলের বর্ননা আছে, আবার কোরান সঠিক কারন আল্লহই তা পাঠিয়েছেন পৃথিবীতে।
আর হযরত মোহাম্মদের (সাঃ) বা খলিফাদের সমস্ত বিয়ে গুলোই সঠিক হিসেবে ধরে নিয়েই তার ব্যাখ্যা করা যেমনঃ- আল্লাহ'র ওহী নাজিল, কোন পরিস্থিতিতে তারা বিয়ে করেছিলেন ইত্যাদি। ঐ সময়কার পরিস্থিতির দোহাই দেওয়াই বা কতটা যুক্তিসঙ্গত? আল্লাহ'র বানী তো চিরন্তন তার তো কোন পরিবর্তন হওয়ার কথা নয়। তিনি যে সবাইকে আশ্রয় দেওয়ার জন্যই বিয়ে করেন তা ও নয়। যেমন আয়েশা(রাঃ) দুস্থ ছিলেন না। হযরত ঊমরের মেয়ে হাফসা ও দুস্থ ছিলেন না বা সেখানে কোন রাজনৈতিক হিসেব নিকেশ ও ছিল না। আর যদি আশ্রয় দেওয়ার প্রশ্ন উঠেই থাকে অন্যভাবেও তা করা যেত। যুদ্ধের কথা বলছেন? মোহাম্মদের(সাঃ) জীবদ্দশায় যে যুদ্ধ গুলো হয় যেমন বদরের যুদ্ধ, ওহুদের যুদ্ধ, খন্দকের যুদ্ধ বা খাইবারের যুদ্ধ সব মিলিয়ে নিহতের সংখ্যা ২, ০০০ (দু' হাজার) জনের বেশী হবে না। সুতরাং দুস্থদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য বিয়ে- এই যুক্তি ও টেকে না।
....................................................................................................
আমার জবাব-
আল-কোরআনকে যারা মহান আল্লাহর ঐশী বাণী হিসেবে বিশ্বাস করে না, তারা আপনার মত একই বৃত্তে আমৃত্যু ঘুরপাকই খেতে থাকে-
আপনার কথাগুলো এতই অসার যে সেগুলো নিজেই নিজের অসারতা প্রমাণের জন্য যথেষ্ট-
হযরত মোহাম্মদের (সাঃ) বা খলিফাদের সমস্ত বিয়ে গুলোই সেই সমযের পরিস্থিতি অনুসারে আল্লাহর ওহী নাজিল হওয়ার মাধ্যমে যেমন সঠিক ছিল। তেমনি এখনও যদি সেরূপ পরিস্থিতি এরাইজ করে, তাহলে আল্লাহর ওহী সেরূপই কার্যকর হবে। কোন নির্দিষ্ট সময় বা পরিস্থিতির দোহাই দেয়া নয়, বরং সকল সময়ে এ ধরনের পরিস্থিতিতে মুসলিমদের জন্য আল্লাহর আইন খুবই যুক্তিসংগত এবং কার্যকর বৈকি?
আশ্চর্য, যাদেরকে বিয়ে করেছিলেন তারা সবাই দুস্থ ছিলেন!! আর সবাইকেই শুধু আশ্রয় দেবার জন্যই বিয়ে করার কথা কি কখনও কেউ বলেছে নাকি? তখন যাদেরকে যেভাবে আশ্রয় দেয়া যুক্তি সঙ্গত ও মানবিক ছিল, সেভাবেই ব্যাবস্থা নেয়া হয়েছে। আপনি এ যুগে বসে বসে অন্য রকম ভাবলে তাতে বিশ্বাসীদের কিচ্ছু যায় বা আসে না। মনের বাঁকা ভাবনাগুলো আপনার বিবেককে সোজা পথে ভাবতে দিচ্ছেনা, তাই বিবেককে আগে জাগান-
আপনি নিহতের সংখ্যার যে হিসেব দিলেন তা কি শত্রু-মিত্র সব মিলিয়ে বলতে চাচ্ছেন!!?
খুবই ভাল কথা। নিহতের সংখ্যার এই হিসেবটা যদি মোটামুটি সত্যের কাছাকাছিও ধরে নেয়া হয়, সেক্ষেত্রে তখনকার অর্থাৎ মক্কা বিজয়ের আগে পর্যন্ত মুসলিমদের মোট সংখ্যার সাথে নিহতের সংখ্যার অনুপাত আপনার মতে কিরূপ দাঁড়ায়? সেই সাথে তখনকার কারাগারের অপ্রতুলতার কথাও ভাবতে হবে। যুদ্ধবন্দীদেরকে একটি সামাজিক ও পারিবারিক সু-সম্পর্কের মধ্যে থাকার ব্যবস্থা করা যে কতটা মানবিক ছিল, সেটা বোঝার জন্য যে মানবিক মগজ ও বিবেক দরকার তা অনেকেরই নেই-
(ক্রমশ চলবে--------------)
..................................................................................................
বিঃ দ্রঃ- এখন নয়, শেষ পর্বের পরে প্রশ্নের জবাব দেয়া হবে-
কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য মুছে ফেলা হবে, প্রয়োজনে ব্লক করতে বাধ্য হব-
৫/ ইসলাম কি দাসপ্রথাকে আদৌ সমর্থন করে? (৫ম- পর্ব)
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ৮:৩৭