টাকা লেনদেন করেন, আর জাল নোট সম্পর্কে জানেন না কিংবা জাল নোট দেখেননি এমন লোক বোধ হয় বাংলাদেশে খুঁজে পাওয়া যাবেনা। যারা ব্যাংকে ক্যাশ ডিপার্টমেন্টে চাকরী করেন, তারাতো প্রায় সময়ই জাল নোটের খপ্পরে পড়ে পকেট থেকে গচ্চা দেন । এটিএম বুথেও এখন জাল নোট পাওয়া যায়। আমার এক আত্মীয় কিছুদিন আগে একটি স্বনামধন্য ব্যাংকের (ব্যাংকের নামটি বলছিনা) এটিএম বুথ থেকে টাকা তুলে একটি ৫০০ টাকার জাল নোট পান। পরবর্তীতে ব্যাংকের সাথে যোগাযোগ করেও কোনো লাভ হয় নাই। যাই হোক, বুথ থেকে টাকা তোলার সময় কোনো ধরণের সতর্কতা অবলম্বন করতে না পারলেও কারো কাছ থেকে টাকা নেওয়ার সময় আমরা কিভাবে বুঝতে পারব- নোটটি জাল না আসল?
আজ আপনাদের জাল নোট ধরার সহজ দুটি পদ্ধতি জানিয়ে দিচ্ছি-
উপরের নোটগুলির ছবিগুলোতে নীল মার্ক করা অংশটিতে রং পরিবর্তনশীল হলোগ্রাফিক সুতা দেখতে পাচ্ছেন। এটি দেখতে অনেকটা সেলাই করা সুতার মত, যা একবার কাগজের উপর দিয়ে এবং আরেকবার নিচে দিয়ে যাচ্ছে। বেশীরভাগ জাল নোটে এই সুতাটি স্টিকারের মত কাগজের উপরে লাগানো হয়, যা আপনি নখ দিয়ে ঘষা দিলেই উঠে আসবে। আর নোটগুলোকে নাড়াচাড়া করলে সবুজ মার্ক অংশটিতে রং পরিবর্তন হবে। জাল নোটের ক্ষেত্রে রংয়ের কোনো পরিবর্তন হবেনা। এই দুটি ব্যাপারে খেয়াল করলে আমরা খুব সহজেই বেশীরভাগ জাল নোটকে খালি চোখেই শনাক্ত করতে পারব । তবে কিছু জাল নোট আছে, যা জাল নোট ধরার যন্ত্র কিংবা ল্যাবরেটরীতে পরীক্ষা করা ছাড়া নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হয়না ।
প্রযুক্তি যত উন্নত হচ্ছে, জাল নোট ধরাও তত কঠিন হয়ে যাচ্ছে। তাই আমাদেরকে আরো বেশি সচেতন হতে হবে এবং জাল নোট সম্পর্কে আরো বেশি জানতে হবে।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ২:১৩