somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গল্প: রবিন হুডি

২৪ শে জুলাই, ২০১০ সকাল ৯:৩৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গ্রামের হাইস্কুল থেকে এসএসসি পাশ করে রবিন ভর্তি হল থানা সদরের খলিলুর রহমান ডিগ্রী কলেজে। প্রথম মাসখানেক রবিন বাড়ি থেকে সাইকেলে চড়ে কলেজ করল। কিন্তু সাইকেলে চড়ে কলেজে আসায় রবিনের সহপাঠীদের কাছে সে ‘দরিদ্র কৃষকের ব্রিলিয়ান্ট ছেলে’ হিসেবে অল্প দিনেই পরিচিত হয়ে গেল। সহপাঠী কয়েকটি মেয়ের অতিÑসহানুভূতি দিনদিন বাড়তেই থাকল। এই অতিÑসহানুভূতি রবিনের আত্মসম্মানে বুলডোজার দিয়ে আঘাত হানল। তাতে আত্মসম্মান ভাঙ্গল, নাকি বুলডোজার ভাঙ্গল? অবশ্যই বুলডোজার। যাদের ধন-দৌলত-টাকা-পয়সা থাকেনা তাদের আত্মসম্মান খুব মজবুত হয়। আর যাদের এই সব থাকে তাদের আত্মসম্মান থাকে না বললেই চলে। সবার সব কিছু থাকেনা।

বুলডোজার ভেঙ্গে যাওয়ায় রবিনকে বিকল্প চিন্তা করতে হল। প্রতিদিন ভ্যানে চড়ে এসে কলেজ করা অসম্ভব, অনেক খরচ। থানা সদরে বাসা ভাড়া করে থাকার তো প্রশ্নই উঠে না। আরও বেশী খরচ। কিছু একটাতো করতেই হবে। কলেজে একটা হোস্টেল আছে বটে কিন্তু সেটাতো ডিগ্রী ক্লাসের ছাত্রদের জন্যে, ইন্টারমিডিয়েটের ছাত্ররা সেখানে সিট পাবে না। কিন্তু রবিনকে সেখানে উঠতেই হবে, বাই হুক অর বাই ক্রুক। কলেজ সংসদের ভিপির পিছু লাগল রবিন। টানা এক সপ্তাহ পিছ পিছ ঘুরে এবং দলের জন্যে “প্রয়োজনে জীবন উৎসর্গ করার” প্রতিজ্ঞায় হোস্টেলের এক রুমের ফ্লোরে সিট পেল রবিন। শুরু হল রবিনের রাজনৈতিক জীবন। নিজের ফিগারের এবং সাহসের গুণে অল্প দিনেই রবিন হয়ে গেল ‘রবিন ভাই’। ভিপির ওয়ালথার পি৯৯ সেমি অটোমেটিক পিস্তলটা এখন প্রায়ই রবিন ভাইয়ের কোমড়ে গোঁজা থাকে। এই জিনিস কাছে থাকলে শরীরটা কেমল হালকা হয়ে যায়, ভাসতে থাকে, চিৎকার করে অট্টহাসি হাসতে ইচ্ছে করে। এই জিনিসের একটা গন্ধ আছে। মেয়েদের শরীরের মত, খুব টানে। ভিপির বাইকটাও মাঝে মাঝে পায় রবিন ভাই।

যে মেয়ে সহপাঠীরা একদিন তার প্রতি খুব সহানুভূতিশীল ছিল আজ তারাই তাকে যমের মত ভয় পায়। একদিন কলেজগেটে মোটর সাইকেলের উপর বসেছিল রবিন-
Ñওই সোনিয়া, এত দূরে দূরে থাকিস ক্যান? চিনিসÑইÑনা মনে হয়!
Ñনা মানে, রবিন ভাই, পড়াশুনা নিয়ে একটু ব্যস্ত। তাই-
Ñআর পড়াশুনা! চল কোথাও থেকে একটু ঘুরে আসি। ওঠ বাইকে।
Ñরহমত স্যারের একটা জরুরী ক্লাস ছিল ভাই। না গেলে-
Ñআরে ঐ রহমত মিয়ারে আমি কইয়া দিবো, তুই ওঠ। আর আপনিÑআপনি করছিস কেন?

ততক্ষণে সোনিয়ার হার্ট বানরের মত লাফাতে শুরু করেছে। ‘না’ বলার যে প্রিপারেশন সে নিয়েছিল, দ্রুত হার্টবিটের ধাক্কায় সেই ‘না’ শব্দটা তার মুখের মধ্যেই আটকে গেল। সেখানেই তার সমাধি। মুখের লালার সাগরে সলিল সমাধি। হিপনোটাইজড মানুষের মত সোনিয়া রবিনের বাইকের পিছনে ওঠে। ভ্রুম-ম-ম-ম-
প্রথমে ক্যাম্পাসের মধ্যেই একটা চক্কর দেয় রবিন তারপর সোজা রওনা দেয় নদীর পাড়ের দিকে। বাইকের পিছনে সোনিয়া তাদের দুজনের মধ্যকার ‘সম্পর্ক নিরূপক’ দূরত্ব বজায় রেখেই বসেছে। কিন্তু নিতান্ত প্রয়োজনের খাতিরেই রবিন যখন কষে ব্রেক করছে তখন আর সেই দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব হচ্ছে না।

ওরা কলেজ ক্যাম্পাস ছাড়ার পড়ই শুরু হয়ে গেল কানাঘুষা, বিশেষ করে মেয়েরা-
Ñকিরে রবিন কি এইÑসবÑও শুরু করে দিল নাকি? সোনিয়াই কি প্রথম, নাকি আরো অনেককেই খেয়েছে?
Ñসোনিয়া কি শেষ পর্যন্ত রবিনের প্রেমে পড়ল? এই রকম মাস্তান একটা ছেলের সাথে?
Ñও! তলে তলে এতদূর!

নদীর পাড়টা খুবই সুন্দর, সবুজ ঘাঁসে মোড়া। সাধারণত এই টাউনের কোন বাড়িতে কোন মেহমান বেড়াতে এলে বিকাল বেলায় তাদের এইখানে বেড়াতে নিয়ে আসে বাড়ির লোকজন। অন্য সময় গরু-ছাগল চড়ে। একটা তাল গাছের ছায়ায় বসল সোনিয়া-রবিন। ৫/৭ মিনিট নিতান্তই অপ্রয়োজনীয় কয়েকটি বিষয়ে কথা বলতে না বলতেই রবিনের মোবাইল ফোন বেজে উঠল। রবিন কার সঙ্গে কথা বলল তা সোনিয়া বুঝল না, কিন্তু সে গুণে রেখেছে, রবিন মোট ৪৩ বার ‘ভাই’ শব্দটা উচ্চারণ করেছে। ‘ভাই’ শব্দটা গোনার উদ্দেশ্য; রবিন ঠিক কোন বিষয়ে কথা বলছে, এবং সেটা কোনভাবে সোনিয়ার জন্যে ক্ষতিকর কিনা তা বোঝা। কিন্তু সোনিয়া বুঝল ফোনের আলাপ তার সম্পর্কে নয়, অন্য কিছু।

“চল তোকে ক্যাম্পাসে আগায় দিয়ে আসি। আমার অন্য একটা কাজ পড়ছে।” ঠিক কি কারণে সোনিয়াকে এখানে এনেছিল রবিন, তা সোনিয়া বুঝতে পারল না। এমনকি রবিনের চেহারায় ‘কোনকিছু প্রকাশ না করতে পারার অতৃপ্তি’ও নেই। বরং এই মুহুর্তে সে অন্য কিছু ভাবছে। ফেরার পথে রবিন একবারও ব্রেক কষল না। বেশ রিস্কে, বেশ দ্রুত বাইক চালাচ্ছে। শক্ত করে পিছনের ক্যারিয়ার ধরে রেখেছে সোনিয়া। ‘সম্পর্ক নিরূপক’ দুরুত্বটা এখন আগের চেয়েও বেশী।

এভাবে তিন বছর পেরিয়ে গেল। কোন রকম পড়াশুনা ছাড়াই এইচএসসিতে রবিন ফার্স্ট ডিভিশনে পাশ করল। সে শুধু পরীক্ষার হলে অ্যাটেন করত, উপজেলা চেয়ারম্যানের নির্দেশে প্রতিদিন তার খাতা পাল্টে যেত, এভাবেই এই ফলাফল। রবিন এখন কলেজের ভিপি। একবার শাকিব খানের একটা পোস্টারে সে দেখল শাকিব খান একটা লাল হুডওয়ালা পুলওভার পড়ে আছে। খুবই পছন্দ হল তার। পরের মাসে ঢাকায় গিয়ে ঠিক ঐ রকম একটা হুডি কিনল রবিন। তারপর সেই হুডি পড়ে পার করল আরও ২ বছর। লোকজন সামনে তাকে বলে রবিন ভাই আর আড়ালে আবডালে বলে রবিন হুডি। নিজেও নিজেকে রবিন হুড ভাবে সে। চাঁদাবাজি-টেন্ডারবাজি-দালালি থেকে যে বিপুল অংকের টাকা আয় হয় তার বেশির ভাগই সে বিলিয়ে দেয় গ্রামের অসহায় দরিদ্র মানুষদের। অসহায়-দরিদ্র মানুষ রবিন ভাই বলতে অজ্ঞান। কন্যাদায়গ্রস্থ পিতার শেষ আশ্রয় স্থল রবিন হুডি, অসুস্থ রোগীর শেষ আশ্রয়স্থল রবিন হুডি, রেজিস্ট্রেশনের টাকা না থাকা মেধাবী ছাত্রের বাবার শেষ গন্তব্য রবিন হুডি। এই এলাকায় রবিন হুডি ঈশ্বরের চেয়েও বেশী জনপ্রিয়।

উৎসাহিত হয়ে রবিন হুডি চাঁদার পরিমাণও বাাড়িয়ে দেয়। বাড়তি টাকায় বাড়তি সমাজ সেবা, বাড়তি নাম-ডাক। হুডির জনপ্রিয়তা এলাকার “রাজধানী প্রবাসী” এমপি সাহেবের কানেও পৌছায়। সেই উপজেলা চেয়ারম্যানও এ বছর নমিনেশন চাইবে জাতীয় সংসদ ইলেকশনে। কাজেই হুডিকে হাত করা ছাড়া এমপি সাহেবের আর কোন উপায় নেই। গোপনে হুডিকে ঢাকায় ডেকে পাঠায় এমপি সাহেব। এমপি সাহেবের ফ্লাটে গিয়ে হুডির মাথা ঘুরে যায়। এত চাকচিক্য- এত আভিজাত্য- এত ঐশ্বর্য্য।

“শোন রবিন, তুমি আমার ভাইয়ের মত। আমার এলাকার মানুষ তোমার প্রশংসায় পাগল। এটা আমার জন্যেও গর্বের। আমিতো সেদিন সংসদেই তোমার কথা বললাম। ম্যাডাম পর্যন্ত তোমার কথা শুনে অবাক হল। আমি ম্যাডামকে বলেছি, তোমাকে উপজেলা চেয়ারম্যান বানাতে চাই। ম্যাডাম রাজি। আরে, আমরাতো সাধারণ মানুষের মঙ্গলের জন্যেই পলিটিক্স করি। যে গরিবের বন্ধু সে আমাদেরও বন্ধু।”

চাকচিক্য-আভিজাত্য-ঐশ্বর্য্যে বিমুগ্ধ রবিনের কাছে এমপি’র বাণী দ্বৈব্যবানীর চেয়েও দামী মনে হয়। ঠোট নড়ল বটে কিন্তু কি বলল বোঝা গেল না। শুধু দেখা গেল হুডির মাথাটা ডানদিকে বাক নিয়ে ডান কাধ ছোয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করছে। পারছে না। না পারুক, যতটুকু ডানদিকে টার্ণ নিয়েছে এমপি সাহেব তাতেই খুশি। তারপর আরও কিছু গায়েবী বাণী নিয়ে হুডি ফিরে এল গ্রামে। এই বাণীতে মানব জাতির কতটা কল্যাণ হবে তা অনিশ্চিত হলেও আমাদের রবিন হুড যে ইংল্যান্ডের সিংহাসনে বসতে যাচ্ছে তা নিশ্চিত। অবশ্য গায়েবী পরিকল্পনা যদি সফল হয়!

রবিন হুডরা কি কখনও সিংহাসনে বসতে পারে? না, রবিন হুডরা বিপ্লবী, সিংহাসনে বসলে তারাও কিং জন হয়ে যায়। কাজেই অধিকাংশ সময় রবিন হুডরা সিংহাসনে বসতে চাইলে প্রকৃতি তাদের মেরে ফেলে।

কিছুদিন পর একটা মিষ্টির প্যাকেটে করে তিনটা আর্জেস গ্রেনেড এল হুডির কাছে। সুযোগ বুঝে উপজেলা চেয়ারম্যানের উপর ছুড়ে মারতে হবে। তারপর সোজা চাকচিক্য-আভিজাত্য-ঐশ্বর্য্য। মাইক্রোবাস রেডিই আছে।

শুক্রবার সকালে মটর বাইকে চড়ে কোথাও যাচ্ছিলেন চেয়ারম্যান। একটা মাইক্রো তাকে ক্রস করার সময় ছুড়ে মারে একটা গ্রেনেড। ব্যাস সব শেষ। লোকজন জড়ো হওয়ার আগেই মাইক্রো গায়েব। কিন্তু হুডির কপাল খারাপ। বাকি দুটি গ্রেনেড তার কাছেই ছিল। পথে ধরা পড়ল রবিন হুডি, পুলিশের কাছে। এমপি সাহেবের আর কোন খবর পাওয়া গেল না।

দরিদ্র বাবা-মা যথাসাধ্য চেষ্টা করলেন রবিনকে জামিনে মুক্ত করতে। পারলেন না। রবিন তখন তার বাবা-মাকে বলল, এতদিন যাদের সে উপকার করেছে, সেই গ্রামবাসীকে নিয়ে একটা মিছিল বের করতে পারলে রাজনৈতিক প্রভাবে জামিন করানো যাবে।
রবিনের মা-বাবা ছুটে গেল সেই সব মানুষের কাছে এতদিন যারা হুডিকে ঈশ্বরের চেয়েও মহান ভাবত, হুডির দয়া-দাক্ষিণ্যে যাদের জীবন চলত, যারা হুডিকে প্রাণ ভরে আশির্বাদ দিত। কিন্তু হায় প্রকৃতি বড়ই বেঈমান। রবিনের বিপদে আজ কেউ তাকে চেনে না। অনেক চেষ্টা করে ব্যর্থ হল বাবা-মা। একেক জন একেক কথা বলে এড়িয়ে গেল-
Ñদেখ বাপু এই সব পলিটিক্সে জড়ায়ে আবার কোন বিপদ ডেকে আনি!
Ñএই সব মিছিল টিছিল করে লাভ নেই, এমপি সাহেবের পা ধর গিয়ে।
Ñএই জন্যেই গরিব মাইনষের পলিটিক্সে যাইবার নাই। কি দরকার আছিল।
Ñআহারে বেচারা আমাদের কত উপকারটাই না করেছিল। কিন্তু কি করব বল, জমির মামলাটা নিয়ে এত ব্যস্ত, নিঃশ্বাস নেওয়ার সময় পর্যন্ত পাচ্ছি না।

উপায় না দেখে বাবা-মা এমপি সাহেবের কাছে গেল। কিন্তু গ্র“প ফোর্সের দাড়োয়ান তাদের ভিতরে ঢুকতে দিল না। আমি কি ঈশপ? তাহলে এই গল্পের শেষ বাক্যটি হবে “সুসময়ে অনেকেই বন্ধু বটে হয়, অসময়ে হায় হায় কেউ কারো নয়।”
৯টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=আকাশে তাকিয়ে ডাকি আল্লাহকে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০১


জীবনে দুঃখ... আসলে নেমে
শান্তি গেলে থেমে;
আমি বারান্দায় দাঁড়িয়ে হই উর্ধ্বমুখী,
আল্লাহকে বলি সব খুলে, কমে যায় কষ্টের ঝুঁকি।

আমি আল্লাহকে বলি আকাশে চেয়ে,
জীবন নাজেহাল প্রভু দুনিয়ায় কিঞ্চিত কষ্ট পেয়ে;
দূর করে দাও সব... ...বাকিটুকু পড়ুন

"ছাত্র-জনতার বেপ্লবের" ১৮ মাস পরে, আপনার ভাবনাচিন্তা ঠিক আগের মতোই আছে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৭



২০২৪ সালের পহেলা জুলাই "ছাত্র-জনতার বেপ্লব শুরু হয়, "৩৬শে জুলাই" উহা বাংলাদেশে "নতুন বাংলাদেশ" আনে; তখন আপনি ইহাকে ব্যাখ্যা করেছেন, ইহার উপর পোষ্ট লিখেছেন, কমেন্ট করেছেন; আপনার... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৩



৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

টাঙ্গাইল শাড়িঃ অবশেষে মিললো ইউনস্কর স্বীকৃতি

লিখেছেন কিরকুট, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৭



চারিদিকে যে পরিমান দুঃসংবাদ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এর মধ্যে নতুন এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা হলো বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের তাতের শাড়ি এর জন্য, ইউনেস্কো এই প্রাচীন হ্যান্ডলুম বুননের শিল্পকে Intangible Cultural... ...বাকিটুকু পড়ুন

×