আজ আমার সবচাইতে বেশি মনে পড়ছে মাহা ভাইয়ার কথা। যদিও মাহাভাইয়াকে আমি আজও অনেক মিস করি। তবে এই লেখাটা প্রকাশ করার পেছনে তার অনেক অবদান আছে। এই লেখা কেনো লিখেছি বা কেনো লিখতাম তা আমি আমার গল্পের পিছনের গল্পে ইতিমধ্যে লিখেছি। আর লেখাটা লেখার সময় আমি আমার মূল নিকে লিখিনি কারণ আমি নিভৃতে বসে সম্পূর্ণ অচেনা কেউ হয়েই লিখতে চেয়েছিলাম। চেনা নিকে লিখলে ঠিক যেন মন খুলে লিখতে পারিনা আমি। তবে হ্যাঁ যতই অচেনা নিকে যাই লিখিনা কেনো লেখা শেষে আমি জানিয়ে দেই আমি কে ছিলাম।
এই লেখা লিখতে গিয়ে আমি কত যে কেঁদেছি আর মন্তব্যগুলো পড়তে গিয়ে আর উত্তর দিতে গিয়ে কত যে হেসেছি তা কেউ চিন্তাও করতে পারবে না। সাড়ে চুয়াত্তর ভাইয়াকে আমি এই লেখা থেকেই চিনেছিলাম। ভাইয়া আমার গল্পের নায়কের পিছে লেগেই থাকতো সারাক্ষন। আমার গল্পের নায়ক শুভ্রকে ভাইয়া তো উপাধি দিয়েই দিয়েছেন ভাদাইম্যা নাম্বার ওয়ান।
এই গল্পের পাঠক ছিলেন এই ব্লগে আজও টিকে থাকা প্রায় সবাই। তবে নিয়মিত পাঠক ও কমেন্টারদের মাঝে করুণাধারা আপু, পুলক ঢালীভাইয়া,ভুয়া মফিজ ভাইয়া, আহমেদ জী এস ভাইয়া, মোঃ মাইদুল সরকার ভাইয়া, আমি সাজিদ ভাইয়া, আনমোনা আপুনি, মনিরা সুলতানা আপুনি, ওমেরা আপুনি, ইসিয়াক ভাইয়া,সম্রাট ইজ বেস্ট ভাইয়া, ফয়সল রকি ভাইয়া, পবিত্র হোসাইন ভাইয়া, নিয়াজ সুমন ভাইয়া,বিদ্রোহী ভৃগু ভাইয়া, কাজী ফাতেমা ছবি আপুনি, পদাতিক চৌধুরি ভাইয়া, মাহমুদুর রহমান সুজন ভাইয়া, কবিতা ক্থ্য ভাইয়া, জুন আপুনি, অনল চৌধুরী ভাইয়া, মোহামমদ কামরুজজামানভাইয়া, রাজীব নুর ভাইয়া, হাসু মামা ভাইয়া, নেওয়াজ আলি ভাইয়া, সাগর শরীফ ভাইয়া, সাহাদাত উদরাজী ভাইয়া, কামাল১৮ ভাইয়া, শেরজা তপন ভাইয়া, দেয়ালিকা বিপাশা পিচ্চি আপুনি, কালো যাদুকর ভাইয়া, ,আখেনাটেন ভাইয়া, জটিল ভাইয়া, সোহানী আপুনি, স্থিতধী ভাইয়া, রানার ব্লগ ভাইয়া, নির্জন অঙ্কন ভাইয়া, রামিসা রোজা আপুনি, প্রয়াত নূর মোহাম্মদ নূরু ভাইয়া, নিঃশব্দ অভিযাত্রী ভাইয়া, জাহিদ হাসান ভাইয়া, স্বপ্নের শঙ্খচিল ভাইয়া, অধীতি এরা ছিলেন গল্পের প্রাণ।
আর বিশেষ কৃতজ্ঞতা থাকলো আমার কবিতা গল্পের গুরু সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই ভাইয়ার কাছে। ভাইয়া আমাকে তার পত্রিকাতে আমার এই ব্লগে লেখা কবিতা প্রথম ছেপে আমার জীবনের এক অমূল্য স্মৃতির জন্ম দিয়েছিলেন। আরেকজন ভাইয়া খায়রুল আহসান। এই ভাইয়া আমাকে আমার লেখাকে চুলচেরা বিশ্লেষন করেছেন। এবং সব সময় ভালো হোক আর মন্দ হোক মুগ্ধতা প্রকাশ করেছেন। তার কাছেও আমার কৃতজ্ঞতার শেষ নেই। ঢুকিচেপা ভাইয়া। এই ভাইয়াটা হারিয়েই গেলো সামু থেকে। আর আসেইনা একেবারে। সামু পাগলা০০৭ আপুনিও হারিয়ে গেছে। তার কাছে আমার বিশেষ কৃতজ্ঞতা থাকবে যেখানেই থাকুক সে। আমার এই লেখার একনিষ্ঠ পাঠক ছিলো সে। মিরোরডডল ওরফে মিররমনি, শুভ_ঢাকা বা একলব্য২১ ভাইয়ু। তারা ছিলো এই গল্পের সবচাইতে সেরা পাঠক। তাদের কাছে থাকবে আমার আজীবনের কৃতজ্ঞতা।
আমার এই বইটি আমি উৎসর্গ করেছি এই প্রিয় মানুষগুলিকেই। তোমরা তোমাদের ঠিকানা দিলেই আমি পৌছে দেবো আমার এই উপহার সে দেশে হোক কিংবা বিদেশে। কারণ তোমরা না পড়লে আমার এই লেখা এত সার্থক হয়ে উঠতো না।
আর যারা যারা পড়োনি বা যাদের নাম এখানে লেখা নেই তাদের জন্য বইমেলা ২০২৫ এর ৬৬৯ নং স্টল হতে বইটি নিলেও নিতে পারো যদি পড়তে চাও।

বইটি প্রকাশ করেছে অনন্য প্রকাশ আর প্রচ্ছদ আমি এঁকেছি। একটু কার্টুন স্টাইলে। তবে প্রথমে একটু পৌরানিক স্টাইল এঁকেছিলাম।
যাইহোক আমি এঁকেছি এতেই আমি খুশি!

সবার জন্য ভালোবাসা অনেক অনেক........
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১১:৫২