somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কোথায়ই সেই ধর্মীয় বয়ানগুলো

১৬ ই জুন, ২০১৫ রাত ১:৫৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ইসলামি ব্যাংক এত গ্রাহক কখনও সেবা দিয়ে পায় না।তারা গ্রাহক সংখ্যা বাড়ায় মানুষের ধর্মীয় অনুভূতি কাজে লাগিয়ে। তাদের এই পদ্ধতিটা যে বেশ কাজের সেটা দেখা যায় যখন অন্য ব্যাংকগুলো সাধারন ব্যাংকিং এর পাশাপাশি ইসলামি ব্যাংকিং বুথ চালু করে। মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিটা তারাও একটু আধটু কাজে লাগাতে চেষ্টা করে। ধর্মীয় অনুভূতিটা শুধু যে আর্থিকখাতে কাজে লাগাচ্ছে তা নয়। রাজনৈতিকভাবেও কাজে লাগাচ্ছে। সবাই বিপক্ষ দলকে ফাঁদে ফেলার একটাই ফরমুলা। কোনোভাবে যদি বিপক্ষ দলের কারো মুখ দিয়ে ধর্মীয় বেফাঁস কিছু বের করা যায়। বিষয়টা এমন দাঁড়িয়েছে যে কয়েকদিন পরে প্রত্যেক রাজনৈতিক দল নামকরন পরিবর্তন করা শুরু করবে। যেমন-
= বাংলাদেশ আওয়ামি ইসলামি লীগ!
= বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ইসলামি দল!
= ইসলামি জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল!
= ইসলামি কমেনিস্ট পার্টি বাংলাদেশ!
এখন অনেকের প্রশ্ন সমস্যা কোথায়?
আগে মসজিদে জুমার নামাযের পূর্বে ইমাম সাহেব খুব সুন্দর করে আখিরাত,ইহকাল,পরকাল, সর্ম্পকে বর্ণনা করত। আমাদের নবীদের জীবন বিধান নিয়ে আলোচনা করত। শুনতে ভালো লাগত। এখন মসজিদে আলোচনা হয় রাজনীতি নিয়ে।যার দরুন অনেক মানুষ এখন আর মসজিদে ইমামের বয়ান শুনতে যেতে চায় না। হয়তো খুদবা শুরু হলে যায় নতুবা নামাজ শুরু হওয়ার আগে।

গত মাসে বাড়িতে গিয়েছিলাম। জুমার নামায পড়তে মসজিদে গেলাম। অনেক আগ্রহ করেই আগে গেলাম। হুজুর বয়ান শুরু করলেন “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক খবিশ!আমি নাম বলব না। ওই খবিশ তার মৃত দেহ কবর না দিয়ে জাদুঘরে রাখতে বলছে। এইসব খবিশের জন্য ইসলামের এই অবস্থা।” প্রকৃতপক্ষে এটি যে জাদুঘরে নয়... বরং চিকিৎসা শাস্ত্রের জন্য নিজের দেহ দান করলেন সেটা ওদের বুঝাতে যাওয়ার মত আহমক আমি নই!


এখন মসজিদে যাই ঠিক নামাজ শুরু হওয়ার আগে। আর চেষ্টা করি নিজে বাসায় পড়ার জন্য। মসজিদকেও যে আজ কলুষিত করে ফেলেছে।
আগে মসজিদে মানুষ উচ্চবাক্যে কথা বলতে বড় পেত। কারণ আল্লাহ ঘর। কিন্তু এখন দেখি মসজিদে দুনিয়ার যত কলুষিত বিষয়গুলো সেগুলো উঠানো হয়।

ব্যাপারটা কেমন যেন হয়ে গেল।সব কিছুতে কেমন যেন প্রতিহিংসা চলে এলো। এমনকি ধর্মেতেও।

সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই জুন, ২০১৫ রাত ১:৫৩
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছেলেবেলার অকৃত্রিম বন্ধু

লিখেছেন ঢাবিয়ান, ১২ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৯

খুব ছোটবেলার এক বন্ধুর গল্প বলি আজ। শৈশবে তার সাথে আছে দুর্দান্ত সব স্মৃতি। বন্ধু খুবই ডানপিটে ধরনের ছিল। মফস্বল শহরে থাকতো। বাবার চাকুরির সুবাদে সেই শহরে ছিলাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দেশ ও জাতি সম্পর্কে আমাদের ১ জন ব্যুরোক্রেটের ধারণা!

লিখেছেন সোনাগাজী, ১২ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৭



নীচে, আমাদের দেশ ও জাতি সম্পর্কে আমাদের ১ জন ব্যুরোক্রেটের ধারণাকে ( পেশগত দক্ষতা ও আভিজ্ঞতার সারমর্ম ) আমি হুবহু তুলে দিচ্ছি। পড়ে ইহার উপর মন্তব্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ড্রেনেই পাওয়া যাচ্ছে সংসারের তাবৎ জিনিস

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১২ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫০



ঢাকার ড্রেইনে বা খালে কী পাওয়া যায়? এবার ঢাকা সিটি কর্পোরেশন (উত্তর) একটি অভুতপূর্ব প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে। তাতে ঢাকাবাসীদের রুচিবোধ অথবা পরিচ্ছন্নতাবোধ বড় বিষয় ছিল না। বড় বিষয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

মোজো ইদানীং কম পাওয়া যাচ্ছে কেন?

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ১২ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৩৭


শুনলাম বাজারে নাকি বয়কটিদের প্রিয় মোজোর সাপ্লাই কমে গেছে! কিন্তু কেন? যে হারে আল্লামা পিনাকী ভাট ভাঁওতাবাজিদেরকে টাকা দিয়ে 'কোকের বিকল্প'-এর নামে 'অখাদ্য' খাওয়ানো হচ্ছিলো, আর কোককেই বয়কটের ডাক... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিউ ইয়র্কের পথে.... ১

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১২ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৮

আজ (১০ মে ২০২৪) রাত দুইটা দশ মিনিটে নিউ ইয়র্কের পথে আমাদের যাত্রা শুরু হবার কথা। এর আগেও পশ্চিমের দেশ আমেরিকা ও কানাডায় গিয়েছি, কিন্তু সে দু’বারে গিয়েছিলাম যথারীতি পশ্চিমের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×