-তুমি গতকাল রাতে ফোন করেছিলে একাধিকবার। আমি ধরিনি। তুমি হয়তো ভেবেছিলে আমি ঘুমিয়েছিলাম। হয়তো তারপর খুব মন খারাপ করে তুমি ঘুমাতে গিয়েছিলে, কেদেঁওছো বোধহয়। আমি জানি তুমি প্রতিরাতে ঘুমানোর আগে আমার সংগে কথা না বলে ঘুমাতে পারো না। অথচ আমি কালকে ইচ্ছা করে তোমার ফোন ধরিনি। তোমার উপর কোন রাগ করে নয়। ধরিনি কারন মনটা খুব বিক্ষিপ্ত ছিল। কষ্ট পাচ্ছিলাম খুব। ঢাকা শহরে বাস করতে হলে এরকম অনেক কষ্টই হরহামেশা পেতে হবে এটা কয়েকদিন আগেই তুমি বলেছো। কিন্তু কি করবো বলে, কষ্ট তো দৃশ্যমান বস্তু না যে বেঁধে রাখবো। মাঝে মাঝে এই ঢাকা ছেড়ে ঠিক গ্রামে চলে যেতে ইচ্ছে করে জানো। খুব করে ইচ্ছে করে। কিন্তু তাতে লাভ কি বলো! কেউ না কাউকে তো থাকতে হবে। সেখানে আমার চলে যাওয়াটা নিতান্তই স্বার্থপরতা, তাই না? আমি চলে গেলেও যারা থাকবে তারা তো ঠিক ধানমন্ডি লেক কিংবা চন্দ্রিমা উদ্যানে একটু ফ্রেশ বাতাস কিংবা ব্যায়াম করতে যাবে। তারা তো ঠিক-ই ফ্রেশ এয়ার (Fresh ) এর সংগে বাড়তি হিসেবে গাঁজার গন্ধ পেয়ে সেখানেই বমি করে ফেলেবে , তাই না। আর ছিনতাই কারীদের কবলে সবকিছূ খোয়াবে। তুমি ভয় পেয়ো না আমাকে ছিনতাইকারীদের কবলে পড়তে হয়নি, কিন্তু বিদ্যুৎহীন লেকে হাঁটতে গা ছমছম করছিল। যার ফলে গাঁজার গন্ধ নাকে আসতে বমিটা হয়ে গেল। তারপর থেকে মনটা খুব খারাপ হয়ে গিয়েছিল বুঝলে। তুমি রাগ করো না ল²িটি তোমার ফোন ধরিনি বলে!!
তুমি কয়েকদিন আগে আবদার করেছো আগামী পূর্নিমায় ধানমন্ডি লেকে সন্ধ্যার পর হাঁটতে যাবে। আমি তোমার কথাটা রাখতে পারবো না আর। আমি নিশ্চিত জানি তুমি জোৎস্না স্নান করতে গেলে তোমাকে পরদিনই হাসপাতালে ভর্তি করতে হতে পারে। হয়তো গাঁজার গন্ধে, নয়তো ছিনতাইকারীতের ঘটানো কোন দূর্ঘটনার কারনে। আমি সেটা হতে দিতে পারি না। তুমি হয়তো ভাবছো আমি দিন দিন খুব স্বার্থপর হয়ে যাচ্ছি। দেশের মানুষের কথা না ভেবে শুধু নিজের কথাই ভাবছি। হ্যাঁ, আজকাল আমারও এই জিনিসটা খুব মনে হচ্ছে। কেমন জানি হয়ে যাচ্ছি আমি।
গন্ডগোলের কারনে একটার পর একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাচ্ছে আর আমার মনে হচ্ছে আমরা মূর্খ হয়ে যাচ্ছি। মাথার সেই চিনচিনে ব্যাথাটা আবার চাড়া দিয়ে উঠছে। প্রতিদিন অফিস আসার সময় আমি তোমাকে মেসেজ দিই দোয়া করে বাসায় ফিরি যেন! কেন দিই জানো- এটা একটু ভেবে বের করো তো!!

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




