গত ২২ শে মার্চ ২০১২!
বাংলাদেশ ক্রিকেট দল একটি অসম্ভব সাধন করে ফেলেছে! যা বাংলাদেশের ইতিহাসে স্বাধীনতা প্রাপ্তির মতোই (এই মার্চ-স্বাধীনতার মাসেই) আর একটি ইতিহাস রচনা করে দিল ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য। আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম এমন একটি বাংলাদেশ পেল যা নিয়ে গর্ব করা যায়। একটি বাসযোগ্য বাংলাদেশ,যার বায়ু অতি নির্মল। যেখানে সব মানুষের ভাষা অতীব শ্লীল। যে দেশের মানুষ দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ একটি সুখি জাতিস্বত্তায় ভরপুর। আর এই অসম্ভবটি হলো- তারা এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে, দুই নেত্রী (এখন লিঙ্গান্তর বিলুপ্ত,পড়তে হবে নেতা) শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়া পাশাপাশি হাস্যবদনে একই মঞ্চে দাঁড়িয়ে পুরস্কার বিতরণ করছেন আর আমাদের আর এক নেতা জনাব এরশাদ তাদের হাতে পুরষ্কার এগিয়ে দিচ্ছেন। কী মনোরম দৃশ্য! মিডিয়ার লোকজর সুশৃঙ্খলভাবে সেটা কাভারেজ করছে। কোটি কোটি বাঙ্গালী উপভোগ করছে এই দৃশ্য!!
পরদিন ২৩ শে মার্চ ২০১২।
মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ও মির্জা ফখরুল ইসলাম এক যৌথ প্রেস কনফারেন্স এ জানালেন আরো বিস্তারিত। গতকালকের পর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জ্যেষ্ঠ মন্ত্রীদের সংগে এক সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছেন, আগামী দু’একদিনের মধ্যে বিরোধী দল থেকে কয়েকজন জ্যেষ্ঠ সাংসদ কে মন্ত্রীত্ব দেয়া হচ্ছে। বিরোধী দলীয় নেত্রী এই সংবাদ শোনার পর শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। এবং এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন- ‘প্রধানমন্ত্রী একজন বিজ্ঞ মানুষ উনার উপর আমাদের ভালো আস্থা আছে। সেই সংগে আমরা উদাত্ত কন্ঠে বলতে চাই-এখন থেকে আমরা একটি দায়িত্বশীল বিরোধী দলের ভুমিকা পালন করব। মানুষের কল্যাণে নিজেদের বিলিয়ে দেব’ ।
এই সংবাদ প্রচারের পর বাংগালীরা এ এক নতুন কেীতুক ভেবে মুখে চেপে হাসি দিল।
কিন্তু সময় যত গড়াল বাংগালী জাতি দেখতে পেল সত্যি দেশ আস্তে আস্তে সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে যেমনটি এগিয়ে যাচ্ছে আমাদের ক্রিকেট টিম। মানুষ আবেগঘন কিংবা সাংসারিক জটিলতায় সমৃদ্ধ ইন্ডিয়ান মেগাসিরিয়াল বন্ধ করে সংসদ টিভি ছেড়ে অতি মনোযোগী হয়ে সাংসদদের বক্তব্য শুনছে!!

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




